দুর্গা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন, সম্প্রসারণ
সংশোধন
২৫ নং লাইন:
দুর্গার [[দুর্গাপূজা|আরাধনা]] [[বঙ্গ|বাংলা]], [[অসম]], [[ওড়িশা]], [[ঝাড়খণ্ড]] এবং [[বিহার|বিহারের]] কোনো কোনো অঞ্চলে প্রচলিত। [[ভারত|ভারতের]] অন্যত্র [[দুর্গাপূজা]] [[নবরাত্রি]] উৎসব রূপে উদযাপিত হয়। বছরে দুইবার দুর্গোৎসবের প্রথা রয়েছে – [[আশ্বিন]] মাসের শুক্লপক্ষে শারদীয়া এবং [[চৈত্র]] মাসের শুক্লপক্ষে বাসন্তী দুর্গাপূজা। সম্ভবত খ্রিষ্টীয় দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতাব্দীতে [[বঙ্গ|বাংলায়]] দুর্গোৎসব প্রবর্তিত হয়। জনশ্রুতি আছে, রাজশাহীর তাহিরপুরের রাজা কংসনারায়ণ প্রথম মহাআড়ম্বরে শারদীয়া দুর্গাপূজার সূচনা করেছিলেন।<ref name="ReferenceA"/>
 
দুর্গা মূলত [[শক্তি]] দেবী। ঋগ্বেদে দুর্গাদেবীরদুর্গার বর্ণনা নেই, তবে ঋগ্বেদোক্ত [[দেবীসূক্ত]]কে দুর্গাদেবীরদেবী দুর্গার সূক্ত হিসাবেই মান্যতা দেওয়া হয়। দুর্গার বিশেষ আলোচনা ও পূজাবিধি [[তন্ত্র]] ও পুরাণেই প্রচলিত। যেসকল পুরাণ ও উপপুরাণে দুর্গা সংক্রান্ত আলোচনা রয়েছে সেগুলি হল: ''[[মৎস্যপুরাণ]],'' ''[[মার্কণ্ডেয় পুরাণ]],'' ''[[দেবীপুরাণ]],'' ''[[কালিকাপুরাণ]]'' ও ''[[দেবী ভাগবত]]''। তিনি '''জয়দুর্গা''', '''জগদ্ধাত্রী''', '''গন্ধেশ্বরী''', '''বনদুর্গা''', '''চণ্ডী''', '''নারায়ণী''' প্রভৃতি নামে ও রূপে পূজিতা হন।
 
দেবী দুর্গা শাক্ত ধর্মে সর্বোচ্চ আরাধ্য দেবী, বৈষ্ণব ধর্মে তাঁকে ভগবান [[বিষ্ণু]]র ''অনন্ত মায়া'' হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয় এবং শৈবধর্মে দুর্গাকে শিবের অর্ধাংগিনী পার্বতী হিসাবে অর্চনা করা হয়। [[বেদ|বৈদিক সাহিত্যে]] দুর্গার উল্লেখ পাওয়া যায়। কেনোপনিষদে বর্ণিত হৈমাবতীকে দুর্গা হিসাবেই আখ্যায়িত করা হয়েছে; ভাগবতে শ্রীকৃষ্ণের যোগমায়াকে দুর্গা আখ্যা দেওয়া হয়েছে যিনি হরি সহায়িনী তথা হরিভক্তিপ্রদায়িনী। এইসমূহ ছাড়াও দুর্গাদেবীর বর্ণনা মহাভারতের বিরাট পর্ব ও অন্যান্য পুরাণে পাওয়া যায়। দুর্গাদেবীর ভিন্ন ভিন্ন অবতার সমূহ হল: কালিকা, নন্দা, ভ্রামরী, শাকম্ভরী, রক্তদণ্ডিকা, সতী, পার্বতী, কৌশিকী ইত্যাদি।
==দুর্গাপূজা==
দুর্গাপূজা হল শক্তির অধিষ্ঠাত্রী দুর্গাদেবীর উপাসনার উৎসব। দুর্গাপূজা শরৎ (আশ্বিন) এবং বসন্ত (চৈত্র) ঋতুর শুক্লপক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ''মার্কণ্ডেয় চণ্ডী'' অনুযায়ী, দুর্গাপূজার প্রথম প্রচলন হয়েছিল বসন্ত ঋতুতে রাজা সুরথ এবং বৈশ্য সমাধি কর্তৃক।
৭৬ নং লাইন:
{{অসম্পূর্ণ}}
 
<-- ত্রিনয়নী, দশভূজা, সিংহের উপর অধিষ্ঠিতা। দশটি হাতে দশটি আয়ুধ (অস্ত্র): ত্রিশূল, চক্র, খড়্গ, সর্প, শঙ্খ, গদা, ধনু, তরবারি, পদ্ম, বজ্র
 
শ্রী শ্রী চন্ডীপাঠে জানা যায়, কালান্তরে বল-গর্বী ও অত্যাচারী দৈত্য সম্রাট মহিষাসুর নিধনের জন্য দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটেছিল এই মর্ত্যলোকে।
৮২ নং লাইন:
স্বর্গ থেকে বিতাড়িত ক্রুদ্ধ দেবতাদের দেহ নিঃসৃত সম্মিলিত তেজরাশি থেকে আবির্ভূতা হয়েছিলেন, অগ্নিবর্ণা, মহাতেজস্বিনী পরম রূপবতী মহাদেবী। আনন্দাকুল দেবতার, মা দুর্গাকে সুসজ্জিতা করেছিলেন মনের মাধুরী মিশিয়ে নানাবিধ অলংকারে এবং অস্ত্র-শস্ত্রে।
 
এই অস্ত্র দ্বারা দেবী দুর্গা বধ করেছিলেন ত্রিলোকত্রাস মহাপরাক্রমশালী মহিষাসুরকে -->
 
[[বিষয়শ্রেণী:হিন্দু দেবদেবী]]