ধূসর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অনুবাদ
অনুবাদ
২৩ নং লাইন:
'''ধূসর''' বা '''ছাই রঙ''' [[সাদা]] ও [[কালো|কালোর]] মধ্যবর্তী একটি রঙ। এটি একটি নিরপেক্ষ বা অ্যাক্রোম্যাটিক (নিবর্ণী) রঙ, আক্ষরিক অর্থে "বর্ণহীন রঙ"।<ref>''Webster's New World Dictionary of the American Language'', Third College Edition.</ref> ধূসর মেঘ-ঢাকা আকাশ, [[ছাই]] ও [[সীসা|সীসার]] রঙ।<ref>''Shorter Oxford English Dictionary'', 5th edition, 2002.</ref>
 
ধূসরের ইংরেজি ''grey'' শব্দটি লিখিতরূপে প্রথম ব্যবহৃত হয় খ্রিস্টপূর্ব 700৭০০ অব্দে।<ref name="Paul Page 196">Maerz and Paul ''A Dictionary of Color'' New York:1930 McGraw-Hill Page 196</ref> ''Grey'' বানানটি ইউরোপীয় ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশে বেশি প্রচলিত, তবে যুক্তরাষ্ট্রে 20২০ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত ''gray'' ব্যবহৃত হয়েছে।<ref>{{cite book
| title = Teaching pronunciation: a reference for teachers of English to speakers of other languages
|author1=Marianne Celce-Murcia |author2=Donna Brinton |author3=Janet M. Goodwin | publisher = Cambridge University Press
৩০ নং লাইন:
| page = 282
| url = https://books.google.com/books?id=twC-H4a8VcYC&pg=PA282
}}</ref> ''Gray'' বানানটিকে আমেরিকান বলে ভাবা হচ্ছে সম্ভবত 1825১৮২৫ সাল হতে,<ref>{{cite web |url=http://grammarist.com/spelling/gray-grey/ |title=Gray vs. grey |work=Grammarist |date=February 17, 2011 |accessdate=May 3, 2012}}</ref> তবে ''grey'' বানানটিও একটি রূপভেদ হিসেবে গৃহীত হয়েছে।<ref>{{cite web|title=Grey - Definition and More|url=http://www.merriam-webster.com/dictionary/grey|work=Merriam-Webster Online Dictionary|publisher=Merriam-Webster|accessdate=6 April 2012}}</ref><ref>{{cite web|title=Gray - Definition and More|url=http://www.merriam-webster.com/dictionary/gray|work=Merriam-Webster Online Dictionary|publisher=Merriam-Webster|accessdate=6 April 2012}}</ref>
 
ইউরোপ ও আমেরিকায় পরিচালিত জরিপে দেখা যায় যে ধূসর রঙকেধূসরকে ভাবা হয় নিরপেক্ষতা, একঘেয়েমী, অনিশ্চয়তা, বুড়ো বয়স, উদাসীনতা এবং ভদ্রতা।ভদ্রতার রঙ। মাত্র এক শতাংশ লোক এটিকে তাদের পছন্দের রঙ বলে জানিয়েছে।<ref>Heller, Eva, ''Psychologie de la Couleur'', p. 224-242</ref>
{{TOC limit|2}}
 
==ব্যুৎপত্তি==
ধূসরের ইংরেজি নাম ''Grey'' এসেছে মধ্য ইংরেজি ''grai'' বা ''grei'', যার উৎস অ্যাংলো-স্যাক্সন ''graeg''; সম্পর্কিত ভাষা ডাচে আছে ''grauw'' ও ''grijs'' এবং জার্মানে ''grau''।<ref>''Webster's New World Dictionary of the American Language'', 1964.</ref> খ্রিস্টপূর্ব 700৭০০ অব্দে ''grey'' শব্দটি লিখিতরূপে প্রথম ব্যবহৃত হয়।<ref name="Paul Page 196"/>
 
==প্রকৃতি এবং সংস্কৃতিতে==
৪৫ নং লাইন:
File:Grey wolf P1130270.jpg|একটি ধূসর [[নেকড়ে]]
File:USMA Graduation Hat Toss 2008.jpg|যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট পয়েন্ট মিলিটারি একাডেমীর ক্যাডেটরা ধূসর রঙের পোষাক পরে।
File:Missouri post refit.JPG|যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য অনেক দেশের নৌবাহিনীতে যুদ্ধজাহাজের রঙ হলো ব্যাটলশিপ গ্রে বা এর রূপভেদ, কারণ রঙটি দূর থেকে কম দেখা যায়। চিত্রস্থ যুদ্ধজাহাজটি ইউএসএস ''মিসৌরি'' , 1944১৯৪৪ সালে নির্মিত।
</gallery>
 
৬২ নং লাইন:
তৈলচিত্র বা অয়েল পেইন্টিং আঁকতে ধূসর রঙ প্রায়ই ব্যবহৃত হতো, এই কৌশলকে বলা হতো গ্রিসেল। চিত্রকর্মটি প্রথমে শুধু ধূসর ও সাদা দিয়ে আঁকা হতো, এরপর তার ওপর পাতলা স্বচ্ছ চকচকে রঙ ব্যবহার করা হতো। গ্রিসেলের কারণে রঙের স্তরের মধ্যে [[শেড (রঙ)|শেড]] সৃষ্টি হতো। কখনোবা গ্রিসেলের ওপর রঙ দেয়া হতো না, দেখে খোদাই-করা পাথরের মতো লাগতো।
 
সোনা ও ত্বকের রঙের পটভূমি হিসেবে ধূসর রঙ বেশ ভালো কাজ করে। [[রেমব্রন্ট|রেমব্র্যান্টের]] আঁকা প্রতিকৃতি বা এল গ্রেকোর ছবিগুলোতে ধূসর পটভূমি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, ছবিতে ব্যক্তির চেহারা বা পোষাক হাইলাইট করার জন্য। রেমব্র্যান্টের প্যালেটে বেশিরভাগ রঙই ছিলো গাঢ় ম্লান ধরনের। তিনি ধূসর রঙে উষ্ণতা আনার জন্য কালো পিগমেন্টের ([[চারকোল]] বা পশুর হাড়ের ছাই হতে তৈরি) সাথে সীসা বা চুনের সাদা রঙ এবং সামান্য রেড লেক রঙ (কচিনিয়েল রঞ্জক বা ম্যাডার লতা হতে) মেশাতেন। মার্গারেতা ডি গীয়ারের প্রতিকৃতি (1661১৬৬১) আঁকার ক্ষেত্রে পটভূমির ধূসর দেয়ালের একাংশের রঙ করতে গিয়ে আইভরি ব্ল্যাক ও সীসা-সাদার সাথে কমলা, লাল ও হলুদ মেটে রঙের স্তরের ওপর গাঢ় বাদামির প্রলেপ দেন। এর ওপরে আবার নীল স্মল্ট, লাল ওকার ও ইয়োলো লেক রঙের চকচকে আস্তর দেন। ঐতিহাসিক ফিলিপ বলের মতে, রেমব্র্যান্ট এরকম সব উপাদান মিশিয়ে যে ধূসর রঙ তৈরি করেছিলেন তাতে "অবিশ্বাস্য রকমের রঙময়তা প্রচ্ছন্নভাবে" বিদ্যমান।"<ref>Philip Ball (2001), ''Bright Earth, Art and the Invention of Coulour'', pp. 214–215 (French translation).</ref> উষ্ণ, গাঢ় এবং সমৃদ্ধ ধূসর ও বাদামি রঙগুলো ছবিতে মুখমণ্ডলে সোনালি আলো স্পষ্ট করেছে।
 
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:El Greco - The Burial of the Count of Orgaz.JPG|এল গ্রেকোর আঁকা ''Burial of the Count of Orgaz'' (1588) ছবিটি যেন ধূসর রঙের ঘূর্ণায়মান মেরি-গো-রাউন্ড।
File:Rembrandt van Rijn 198.jpg|[[রেমব্রন্ট|রেমব্র্যান্টের]] আত্ম-প্রতিকৃতি (1629১৬২৯)। রেমব্র্যান্ট ছবিতে চেহারা হাইলাইট করার জন্য তার অবয়বের পেছনে অনেক টোন-মিশ্রিত জটিল ধূসর রঙ সৃষ্টি করেছেন।
</gallery>
 
===আঠারো ও ঊনিশ শতাব্দী===
18শ১৮শ শতকে নারীদের পোষাক ও পুরুষদের কোট ও ওয়েস্টকোটে ফ্যাশনেবল রঙ হিসেবে ধূসর জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অভিজাত ও ধনীদের পরিহিত রেশম ও সাটিনের তন্তুগুলো বাস্তবেই ধূসর রঙে উজ্জ্বল দেখাতো।
 
19শ১৯শ শতকে নারীদের ফ্যাশনের আদর্শ ছিলো প্যারিস, পক্ষান্তরে পুরুষরা অনুসরণ করতো লন্ডনকে। ঊনিশ শতকের প্রথমভাগে পুরুষদের পোষাক হতো বর্ণিল কিন্তু এ মধ্যভাগে লন্ডনে ধূসর রঙের বিজনেস স্যুট প্রচলিত হয় এবং বাজার দখল করে নেয়; গ্রীষ্মে হালকা ধূসর, শীতে গাঢ়।
 
19শ১৯শ শতকে প্যারিসে কারখানা ও কর্মশালায় কর্মরত নারীদের পোষাক হতো সাধারণত ধূসর, যেকারণে তাদের ''grisettes'' ডাকা হতো। "Gris" বা গ্রে বলতে মাতালও বোঝানো হয়, আর প্যারিসের নিচু মানের পতিতাদেরকেও ''grisettes'' বলা হয়।
 
সামরিক ইউনিফর্মের রঙ হিসেবে ধূসর বেশ কমন। লম্বা রেঞ্জের রাইফেলের যুগে ধূসর পোষাকের সৈন্যরা লাল/নীল পরিহিতদের থেকে কম দৃষ্টিগোচর হতো। [[যুক্রাষ্ট্রের জাতীয় গৃহযুদ্ধ|আমেরিকান গৃহযুদ্ধে]] কনফেডারেট আর্মির ইউনিফর্ম ছিল ধূসর; 1870১৮৭০ সালের ফ্র্যাঙ্কো-জার্মান যুদ্ধে প্রুশীয় সৈন্যদের পোষাকও ছিল ধূসর।
 
মধ্য-19শ শতকের অনেক শিল্পী ধূসরের বিভিন্ন টোন ব্যবহার করে স্মরণীয় কিছু ছবি এঁকেছেন। জাঁ ব্যাপ্তিস ক্যামিল করোট তার আঁকা ল্যান্ডস্কেপে সমন্বয় আনার জন্য সবুজ-ধূসর ও নীল-ধূসর ব্যবহার করেছেন। ম্যাকনেইল হুইসলার তার মায়ের প্রতিকৃতি এবং আরেকটি আত্ম-প্রতিকৃতি আঁকার জন্য একটা বিশেষ রকমের ধূসর রঙ তৈরি করেন।
 
হুইসলারের ধূসর রঙের বিভিন্ন টোনের সজ্জা সঙ্গীতজগতে প্রভাব ফেলে, ফরাসী সুরকার ক্লদ ডেবুসির ওপরও। 1894১৮৯৪ সালে ডেবুসি ভায়োলিনিস্ট ইউজিন ইয়াসাকে চিঠি লেখেন যে তার ''নকচার্নস'' ছবিটি "একটা রঙ থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন কম্বিনেশন নিয়ে পরীক্ষা - যা হবে চিত্রশিল্পে ধূসর নিয়ে গবেষণা।"<ref>Weintraub, Stanley. 2001. ''Whistler: a biography'' (New York: Da Capo Press). {{ISBN|978-0-306-80971-2}}. p. 351</ref>
 
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:Captain the Honourable Augustus Keppel 1725-86 by Sir Joshua Reynolds.jpg|স্যার জোশুয়া রেনল্ডসের আঁকা ক্যাপ্টেন অগাস্টাস কেপেলের প্রতিকৃতি (1752১৭৫২)।
File:Charlotte Walsingham, Lady Fitzgerald by John Hoppner.jpg|জন হপনারের আঁকা ''Portrait of Charlotte Walsingham, Lady Fitzgerald'' (১৮শ শতক)। সেসময় ধূসর রঙ ছিল উঁচুদরের ফ্যাশন।
File:Private Edwin Francis Jemison.jpg|আমেরিকার গৃহযুদ্ধে কনফেডারেট আর্মির সৈনিক প্রাইভেট এডউইন ফ্রান্সিস জেমিসন ধূসর ইউনিফর্ম পরিহিত (1860১৮৬০ এবং 1862১৮৬২-র মধ্যে)। এই যুদ্ধকে অনেকসময় নীল বনাম ধূসরের যুদ্ধও বলা হতো।
File:Jean-Baptiste-Camille Corot 049.jpg|জাঁ ব্যাপ্টিস্টে ক্যামিলে করোটের আঁকা ''An oak in the Forest of Fontainbleau'' (সম্ভাব্য 1830১৮৩০).
File:James Abbott McNeill Whistler - Portrait of the Artist's Mother - Google Art Project.jpg|জেমস ম্যাকনেইল হুইসলারের আঁকা ''Arrangement in grey and black no.1'' (1871১৮৭১), 'হুইসলারস মাদার' নামে ছবিটি পরিচিত।
File:Whistler Selbstporträt.jpg|জেমস ম্যাকনেইল হুইসলারের আত্ম-প্রতিকৃতি, আরেক নাম "Arrangement in grey" (1872১৮৭২) ধূসরের বিভিন্ন মাত্রার দক্ষ সমন্বয়।
File:Princess Isabel and Leopoldina 1855 frame removed.png|ব্রাজিলের রাজা দ্বিতীয় পেড্রোর কন্যা লেপল্ডিনা ও ইসাবেল (বসা) ধূসর গাউন পরিহিতা (1855১৮৫৫)।
</gallery>
 
===বিশ ও পরবর্তী শতাব্দী===
1930১৯৩০ দশকের শেষাংশে ধূসর রঙ শিল্পায়ন ও যুদ্ধের প্রতীক হয়ে পড়ে। [[স্পেনের গৃহযুদ্ধ|স্পেনের গৃহযুদ্ধের]] ওপর ভিত্তি করে [[পাবলো পিকাসো|পাবলো পিকাসোর]] আঁকা ''[[গুয়ের্নিকা]]''য় প্রধান রঙ ছিলো ধূসর।.<ref>Stefano Zuffi, (2012), ''Color in Art'', pg. 310</ref>
 
যুদ্ধের পর ধূসর বিজনেস কোট হয়ে ওঠে চিন্তাভাবনার অভিন্নতার প্রতীক, যেমন ''দ্য ম্যান ইন দ্য গ্রে ফ্লানেল স্যুট'' (1955১৯৫৫) জাতীয় জনপ্রিয় বইগুলোয়।<ref>Eva Heller, ''Psychologie de la couleur- effets et symboliques'', pg. 236-237</ref>
 
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:Sangshad 2.jpg|আধুনিক স্থাপত্যে ধূসর রঙের কংক্রিট একটি জনপ্রিয় নির্মাণ-উপাদান। চিত্রটিচিত্রস্থ স্থাপনাটি [[লুই কান|লুই কানের]] গড়া বাংলাদেশের [[জাতীয় সংসদ ভবন]]।
File:Cristo Redentor - Rio de Janeiro, Brasil.jpg|ব্রাজিলের [[রিও ডি জেনেরিও|রিও ডি জেনেরিওতে]] [[ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার (মূর্তি)|ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার]] মূর্তি (1931১৯৩১)। আর্ট ডেকো স্টাইলের এই মূর্তিটি শক্ত কংক্রিট দিয়ে নির্মিত এবং সোপস্টোনে আবৃত।
</gallery>
 
১১৩ নং লাইন:
মানুষের চুলের রঙ তৈরি হয় মেলানিন নামক একটি পিগমেন্টের কারণে যা অরতিটি চুলের গোড়ায় থাকে। ত্বক ও চোখের রঙের জন্যও মেলানিন দায়ী। এই পিগমেন্ট দু'রকমের: গাঢ় ইউমেলানিন বা হালকা ফাইয়োমেলানিন। বিভিন্ন বিন্যাসে মিশে এই পিগমেন্টগুলো চুলের সব প্রাকৃতিক রঙ তৈরি করে।
 
মেলানিন উৎপাদিত হয় এক বিশেষ ধরনের কোষ থেকে: মেলানোসাইট যা প্রতিটি চুলের গ্রন্থিতে থাকে; সেখান থেকে চুল গজায়। চুল বড় হবার সময় মেলানোসাইট চুলের প্রতিটি কোষে মেলানিন প্রবিষ্ট করে দেয়; এতে থাকে কেরাটিন প্রোটিন যা আমাদের চুল, ত্বক ও নখ তৈরি করে। যতদিন মেলানোসাইট কোষো কোষে মেলানিন দেয়া অব্যাহত রাখে, ততদিন চুলের আসল রঙ বজায় থাকে।একটা নির্দিষ্ট বয়সে, ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন, মেলানোসাইট মেলানিন দেয়া কমিয়ে দেয় এবং ক্রমে ক্রমে বন্ধ করে দেয়। পিগমেন্ট না থাকায় চুল ধূসর ও ক্রমান্বয়ে সাদা হয়ে যায়। মেলানোসাইটের এই উৎপাদন বন্ধ করার কারণ অনিশ্চিত। ''সাইন্স'' পত্রিকার ফ্রেব্রুয়ারি ২০০৫ সংখ্যায় হার্ভার্ডের একদল বিজ্ঞানী অভিমত দেন যে, নির্দিষ্ট সময়ের পরে বয়স বা জিনগত কারণে কোষটি মেলানিন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। কোনো কোনো লোকের 20২০-30৩০ বছর বয়সেই এটা হয়, অন্যদের হয় অনেক পরে।<ref>[http://www.loc.gov/rr/scitech/mysteries/grayhair.html Library of Congress Science Reference Services]</ref> ''সায়েন্টিফিক আমেরিকান'' সাময়িকীর ওয়েবসাইটের ভাষায়, "সাধারণত, 50৫০ বছর বয়সের মধ্যেই শতকরা 50৫০ ভাগ ককেশীয়র 50৫০ শতাংশ চুল পেকে যায়।"<ref>[http://www.scientificamerican.com/article.cfm?id=why-does-hair-turn-gray ''Scientific American'', "Why does hair turn gray?"]</ref> পূর্ণবয়স্ক পুরুষ [[গরিলা|গরিলাদেরও]] চুল ধূসর হয়, তবে শুধু তাদের পিঠে।
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:UMP regional elections IlM 2010-02-18 n07.jpg|আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের প্রধান ক্রিস্টিনা ল্যাগ্রেড
২০৪ নং লাইন:
 
===ওয়েব রঙ===
[[এইচটিএমএল]] ও ক্যাসকেডিং স্টাইল শিট (CSS)-এ ধূসরের অনেকগুলো [[টোন (রঙ)|টোন]] নাম লিখে ব্যবহার করা যায়, আর 254টি২৫৪টি প্রকৃত ধূসর রঙের জন্য আরজিবি মানের পৃথক পৃথক হেক্স ট্রিপলেট ব্যবহার করতে হবে। কোডিং ইংরেজিতে হওয়ায় ধূসরের ইংরেজি ''gray'' ব্যবহার করতে হবে। ''grey'' বানান ব্যবহার করা যাবে না কারণ [[ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার|ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের]] ট্রিডেন্ট ব্রাউজার ইঞ্জিন ''grey'' শব্দটা শনাক্ত করতে পারে না, একে ''green'' ভেবে নেয়। আরেকটি অসঙ্গতি হলো কম্পিউটারে ''gray'' রঙটি ''darkgray''-র চেয়ে বেশি গাঢ়। সমস্যাটি হয়েছে এইচটিএমএল gray ও এক্স11 gray সাংঘর্ষিক হবার কারণে। এক্স11 gray এইচটিএমএলের ''silver'' (রুপালি) রঙের কাছাকাছি। ''slategray'' রঙতিনটি গ্রস্কেলে না থাকলেও [[সায়ান]] (নীলাভ সবুজ) রঙের দিকে স্যাচুরেটেড। যেহেতু ধূসরের স্যাচুরেটেড-না-হওয়া টোনসমূহের একটি সংখ্যা জোড় (256, কালো ও সাদা সহ), 8-বিট গ্রেস্কেলের মধ্যবিন্দুতে দুটি ধূসর টোন বিদ্যমান। ''gray'' রঙনামটি তাই হালকা শেডের জন্য প্রযোজ্য (128, অন্য নাম #808080)।
 
===পিগমেন্ট===
19শ১৯শ শতাব্দী পর্যন্ত চিত্রশিল্পীরা প্রথাগতভাবে কালো ও সাদা মিশিয়ে ধূসর তৈরি করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, রেমব্র্যান্ট সীসা সাদা এবং কার্বন কালো বা আইভরি কালো ব্যবহার করতেন, সাথে উষ্ণ/শীতল আবহের জন্য নীল/লালের পরশ।
 
19১৯ শতকের প্রথমাংশে একটি নতুন ধূসর রঙ বাজারে আসে: পেইনস গ্রে (Payne's grey)। রঙটি আসলে গাঢ় নীলাভ-ধূসর, আল্ট্রামেরিন এবং কালো বা সিয়েনার মিশ্রণ। 18১৮ শতকের শেষাংশের ব্রিটিশ জলরঙশিল্পী উইলিয়াম পেইনের নামে এর নামকরণ করা হয়। ''পেইনস গ্রে'' রঙনাম হিসেবে প্রথম ব্যবার হয় 1835১৮৩৫ সালে।<ref>Maerz and Paul ''A Dictionary of Color'' New York:1930 McGraw-Hill Page 201; Colour Sample of Payne’s Grey: Page 117 Plate 47 Color Sample A9</ref>
 
===প্রাণী রঙ===
২৫২ নং লাইন:
 
===সামরিক===
আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময়, কনফেডারেট আর্মির সৈন্যরা ধূসর রঙের ইউনিফর্ম পরতো। যুদ্ধের শুরুর দিকে উত্তরের সেনাবাহিনী ও দক্ষিণের সেনাবাহিনী কাছাকাছি রঙের পোষাক পরতো; অনেক কনফেডারেট দল পযরতো নীল, আবার ইউনিয়নের অনেক ইউনিট পরতো ধূসর। স্বাভাবিকভাবেই এতে দ্বিধা সৃষ্টি হতো এবং কখনোবা সৈন্যরা তাদের নিজ সেনাবাহিনীর দিকেই গুলি ছুঁড়তো। 1861১৮৬১ সালের 6 জুন কনফেডারেট সরকার রেগুলেশন জারি করে তাদের সৈন্যদের ক্যাডেট গ্রে রঙের ইউনিফর্ম পরার নির্দেশ দেয়। এই রঙটি ছিল (এবং এখনো আছে) ওয়েস্ট পয়েন্টের ইউনাইটেড স্টেটস মিলিটারি একাডেমীর ক্যাডেটদের ইউনিফর্মের রঙ। ভার্জিনিয়া মিলিটারি ইন্সটিটিউটের ক্যাডেটদের পোষাকরঙও একই, আর এখান থেকে বহু সেনা কর্মকর্তা কনফেডারেট দলে যোগদান করে।
 
ইউনিফর্মের নকশা করেছিলেন জার্মান-আমেরিকান শিল্পী নিকোলা মার্শাল, মূল কনফেডারেট পতাকার নকশাও তারই করা। তিনি সমকালীন ফরাসী ও অস্ট্রেলীয় সামরিক উর্দির নকশার অনেকটা অনুসরণ করেছিলেন।<ref name="ADAH">{{cite web |title=Nicola Marschall: Artist of the Deep South |url=http://www.archives.state.al.us/marschall/NM_dsth.html |publisher=Alabama Department of Archives and History |accessdate=26 September 2009}}</ref> ধূসর রঙটি তার ক্যামোফ্লেজ গুরুত্বের জন্য নির্বাচন করা হয়নি; বরং একারণে যে দক্ষিণাঞ্চলে বড়সড় রঞ্জক কারখানা ছিল না এবং ধূসর রঙ ছিল সস্তা ও সহজে প্রস্তুতযোগ্য। কোনো কোনো দলের পোষাক হতো ভালো মানের রঞ্জক দিয়ে, যেটা আসলে নিরেট নীলাভ-ধূসর; অন্যদের পোষাক হতো সুমাক বা লগউড-জাতীয় লতাগুল্ম-উদ্ভূত রঞ্জক হতে যা সূর্যালোকে মলিন হয়ে বাটারনাট স্কোয়াশ রঙ ধারণ করতো।
২৫৮ নং লাইন:
যুদ্ধের শেষ বারো মাসে দক্ষিণীরা আয়ারল্যান্ডের লিমেরিক ফার্ম থেকে বিশেষভাবে তাদের জন্য তৈরি করা উন্নতমানের নীলাভ-ধূসর রঞ্জকে রঞ্জিত ইউনাফর্ম আমদানি করতে সক্ষম হয়, কিন্তু ততদিনে তারা যুদ্ধ হারতে বসেছে।
 
1907১৯০৭ হতে 1945১৯৪৫ হাল পর্যন্ত জার্মান সেনাবাহিনী ধূসর ইউনিফর্ম পরতো, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও তা পরেছে। রঙটি ছিল মূলত ধূসর-সবুজ বা ফিল্ড গ্রে। জার্মান ইউনিফর্মের আগের রঙ প্রুশিয়ান ব্লুর চেয়ে এটা কম দৃশ্যমান হয়। এটি প্রথমদিকের সেসব ইউনিফর্ম রঙের একটি যেগুলো ক্যামোফ্লেজ বৈশিষ্ট্যের জন্য বেছে নেয়া হয়েছিল। এর ফলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে জার্মানরা বিশেষ সুবিধা পেত; পক্ষান্তরে ফরাসী সৈনিকদের পোষাক ছিল নীল জ্যাকেট এবং লাল পাজামা।
 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, অধিকাংশ জার্মান সৈন্য ঐতিহ্যবাহী ফিল্ড গ্রে ইউনিফর্ম পরতো। তবে জেনারেল [[আরউইন রোমেল|আরউইন রোমেলের]] আফ্রিকা কর্পসের সৈনিকরা পরতো মরুভূমির উপযোগী ও তুলনামূলক হালকা ধূসর রঙের ইউনিফর্ম।
২৬৪ নং লাইন:
জার্মান সেনাবাহিনী ও পূর্ব-জার্মান সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক ছু ইউনিফর্ম ছিল ফিল্ড গ্রে, যেম ছিল সুইডিশ সেনাবাহিনীতে। চিলির সৈন্যরা এখনো ফিল্ড গ্রে পরে।
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:Stonewall Jackson.jpg|চ্যান্সেলরসভিল যুদ্ধে (১৮৬৩) কপফেডারেট জেনারেল স্টোনওয়াল জ্যাকসন। ছবিটি তোলার সাত দিন পর যুদ্ধে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।
File:Stonewall Jackson.jpg|Confederate General [[Stonewall Jackson]] at the [[Battle of Chancellorsville]] (1863). He was mortally wounded seven days after the picture was taken.
File:Andrew J. Winn 1864.jpg|কনফেডারেট সৈন্য অ্যান্ড্রু জে উইন (১৮৩৮-১৮৬৪), স্পটসিলভানিয়ার যুদ্ধে (১৮৬৪) আহত হয়ে পরে মারা যান।
File:Andrew J. Winn 1864.jpg|Confederate soldier Andrew J. Winn (1838-1864), died from his wounds after the battle of [[Spotsylvania Courthouse]] (1864)
File:German soldiers Battle of Marne WWI.jpg|Germanমার্নের soldiersপ্রথম wearingযুদ্ধে [[field(১৯১৪) grey]]জার্মান atসৈন্যরা theফিল্ড [[Firstগ্রে Battleরঙ of the Marne]] (1914)পরিহিত
File:"German Army" - NARA - 514350.tif|Uniformsজার্মান ofসেনাদের German Armyইউনিফর্ম (1939–45১৯৩৯–৪৫), (U.S.ইউএস Nationalন্যাশনাল Archivesআর্কাইভস)
File:Rommel's Africa uniform.jpg|"ডেজার্ট ফক্স" নামে খ্যাত জেনারেল [[আরউইন রোমেল|আরউইন রোমেলের]] আফ্রিকা কর্পস ইউনিফর্ম
File:Rommel's Africa uniform.jpg|The [[Afrika Korps]] uniform of General [[Erwin Rommel]], the "Desert Fox" (1941–42).
File:Nva-ehrenwache.jpg|পূর্ব জার্মান আর্মির সৈনিকরা [[বার্লিন প্রাচীর]] পতনের আগে পর্যন্ত ধূসর ইউনিফর্ম পরতো।
File:Nva-ehrenwache.jpg|Soldiers of the [[East German Army]] wore grey until the [[fall of the Berlin Wall]].
</gallery>
 
===ধূসররঙা স্যুট===
19১৯ শতকে নারীদের ফ্যাশনের নির্দেশক ছিল প্যারিস, আর পুরুষদের আদর্শ লন্ডন। বিজনেস স্যুটের মূল উদ্দেশ্য ছিল সিরিয়াসনেস দেখানো, পাশাপাশি সমাজে ও ব্যবসায় নিজের অবস্থান জানানো। সময়ের সাথে সাথে পুরুষদের ফ্যাশন থেকে উজ্জ্বল রঙ উঠে যায়, জায়গা করে নেয় কালো বা গাঢ় চারকোল ধূসর রঙের শীতের ফ্রককোট, গ্রীষ্মে হালকা ধূসর। 20২০ শতকের শুরুতে ফ্রককোটের পরিবর্তে চালু হতে থাকে লাউঞ্জ স্যুট, সান্ধ্য পোষাকের খানিকটা অনানুষ্ঠানিক রূপ, সেটাও কালো বা চারকোল ধূসর। 1930১৯৩০ দশকে ইংরেজদের স্যুট স্টাইলকে বলা হতো ড্রেপ স্যুট, চওড়া কাঁধ এবং কোমরের কাছে চাপা, সাধারণত কালো বা হালকা ধূসর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্টাইলটা বদলে খানিকটা পাতলা হয়, যেটাকে বলে কন্টিনেন্টাল কাট, তবে রঙ ধূসরই থাকে।<ref>Eva Heller, ''Psychologie de la couleur - effets et symboliques'', pg. 236</ref>
 
20২০ শতকের শেষার্ধে লন্ডনের দর্জিদের পাশাপাশি হলিউডের ফ্যাশনও পুরুষদের প্রভাবিত করতে থাকে। 1950১৯৫০1960১৯৬০-এর দশক ছিলো ধূসর স্যুটের সোনালী যুগ, পরতেন সিনেমা তারকা ক্যারি গ্র্যান্ট ও হামফ্রে বোগার্ট এবং প্রেসিডেন্ট [[জন এফ কেনেডি]] (দুই বোতামঅলা ধূসর স্যুট)। 1965১৯৬৫ সালে [[লিন্ডন বি. জনসন]] প্রথম যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে অক্সফোর্ড গ্রে বিজনেস স্যুট পরে অভিষিক্ত হন; তার পূর্বসুরীরা অভিষেকের সময় পরতেন আনুষ্ঠানিক কাটওয়ে কোট ও ডোরাকাটা পাজামা।<ref>http://www.lbjlib.utexas.edu/johnson/inauguration/index.shtm#interesting |Johnson Library, University of Texas</ref> নিউইয়র্কের বিজ্ঞাপনশিল্পের কেন্দ্র ম্যাডিসন এভিনিউয়ের অলিখিত ইউনিফর্ম হলো ধূসর স্যুট।
 
21২১ শতাব্দীর প্রথমদিকে, স্টাইল বদলাতে শুরু করলো, ধূসরকে মনে হলো একঘেয়ে এবংব্যক্তিত্বহীন রঙ। ধীরে ধীরে গাঢ় নীল স্যুট প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলো। G-20 ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সাম্প্রতিক সন্মেলনগুলোয় বিশ্বের প্রায় সব রাষ্ট্রপ্রধানরা নীল বিজনেস স্যুট পরেছেন।
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:Sabrina5.jpg|''সাবরিনা'' (1954) চলচ্চিত্রে ধূসর বিজনেস স্যুটে উইলিয়াম হোল্ডেন এবং হামফ্রে বোগার্ট। চলচ্চিত্রে সিরিয়াস বড় ভাই চরিত্রে বোগার্ট গাঢ় ধূসর স্যুট পরেছেন।
File:John F Kennedy Official Portrait.jpg|ধূসর স্যুটে প্রেসিডেন্ট [[জন এফ কেনেডি|জন এফ কেনেডির]] অফিশিয়াল প্রতিকৃতি (1963১৯৬৩)।
File:Dilma Rousseff 2009.jpg|ধূসর কোট পরেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট [[দিলমা রৌসেফ]] (2009২০০৯)।
</gallery>
 
২৯৬ নং লাইন:
 
===খেলাধুলা===
* [[বেসবল]] খেলায় ধূসর রঙ সাধারণত ব্যবহার করা হয় রোড ইউনিফর্মে। এর কারণ ১৯ ও ২০ শতকে সফরকারী দল রোডে লন্ড্রি সুবিধা পেতোনা, তাই কাপড়ের দাগ ঢাকতে গাঢ় ধূসর ইউনিফর্ম পরা হতো। পক্ষান্তরে স্বাগতিক দল পরতো সাদা পোষাক।
In [[baseball]], grey is the color typically used for road [[Baseball uniform|uniforms]]. This came about because in the 19th and early 20th century, away teams didn't normally have access to laundry facilities on the road, thus stains were not noticeable on the darker grey uniforms as opposed to the white uniforms worn by the home team.
 
<gallery mode="packed" heights="150px">
File:A-Rod3.jpg|নিউইয়র্ক ইয়াঙ্কির অ্যালেক্স রদ্রিগেজ সাধারণত ধূসর রোড বেসবল ইউনিফর্ম পরে (2007২০০৭)।
</gallery>
 
৩০৭ ⟶ ৩০৬ নং লাইন:
 
===সমকামী সংস্কৃতি===
* পুরুষ সমকামীদের স্ল্যাং ভাষায় ''গ্রে কুইন'' (grey queen) হলো একজন সমকামী যে কিনা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কাজ করে (কথাটার উৎস ঘটনা হলো- 1950১৯৫০ দশকে অর্থনৈতিক পেশায় কর্মরতরা প্রায়ই ধূসর ফ্লানেল স্যুট পরতেন)।<ref>Rodgers, Bruce ''Gay Talk (The Queen’s Vernacular): A Dictionary of Gay Slang'' New York:1972 Parragon Books, an imprint of G.P. Putnam’s Sons Page 99</ref>
 
==ভাবপ্রকাশ ও প্রতীক==
আমেরিকা ও ইউরোপে ধূসর সবচেয়ে কম জনপ্রিয় রঙগুলোর একটি। এক ইউরোপীয় জরিপে কেবল 1 শতাংশ লোক ধূসরকে তাদের পছন্দের রঙ বলে এবং 13১৩ শতাংশ সর্বনিম্ন পছন্দের রঙ মত দিয়েছিল; নারীদের ক্ষেত্রেও ফলাফল অনুরূপ। রঙবিষয়ক ঐতিহাসিক ইভা হেলারের মতে, "ধূসর রঙটা এতো দুর্বল যে পুরুষালি নয়, আবার মেয়েলি হবার পক্ষেও ভীতিকর। এটা উষ্ণও না, শীতলও না, পদার্থও না অ-পদার্থও না। ধূসর দিয়ে কোনোকিছুই নিশ্চিতভাবে বোঝায় না।"<ref>Eva Heller, ''Psychologie de la couleur, effets et symboliques''. (Pg. 226)</ref>
 
অনেক সংস্কৃতিতেই ধূসর রঙটিকে প্রবীণ ও বয়স্কদের রঙ ধরা হয়, কারণ বয়সের সাথে সাথে চুল পাকে। পাশাপাশি এটি বৃদ্ধবয়সের প্রজ্ঞা, মর্যাদা ও অভিজ্ঞতারও প্রতীক। আমেরিকান সাংবাদিকতায় দীর্ঘ ইতিহাস এবং অর্জিত অবস্থানের কারণে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে মাঝেমধ্যে বলা হয় ''দ্য গ্রে লেডি''।<ref>Eva Heller, ''Psychologie de la couleur- effets et symboliques'', pg. 234.</ref>
৩২৬ ⟶ ৩২৫ নং লাইন:
 
==তথ্যসূত্র==
{{Reflistসূত্র তালিকা|33em}}
 
==গ্রন্থপঞ্জী==
'https://bn.wikipedia.org/wiki/ধূসর' থেকে আনীত