সতীনাথ ভাদুড়ী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
আইএসবিএন টেমপ্লেট যোগ
২৫ নং লাইন:
 
==কর্ম ও সাহিত্য জীবন==
১৯৩২ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত সতীনাথ পিতার সহকর্মীরূপে পূর্ণিয়া কোর্টে ওকালতি শুরু করেন। এই সময় নানাবিধ সমাজসেবামূলক কাজেও জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বলিপ্রথা ও মদের দোকানে পিকেটিং আন্দোলন। সাহিত্যচর্চা শুরু হয় এই সময়েই। বাড়ি বাড়ি বই সংগ্রহ করে পূর্ণিয়া গ্রন্থাগার স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে পিতা ইন্দুভূষণের নামে গ্রন্থাগারটির নাম হয় [['ইন্দুভূষণ সাধারণ পাঠাগার']]। বলা যায় প্রায় তাঁর একক উদ্যমে বাংলা ম্যাগাজিন ক্লাব গঠন, [[সাহিত্যপাঠ]], স্মরণশক্তি প্রতিযোগিতা, সাহিত্য আড্ডা প্রভৃতির প্রচলন হয়। এই কাজের সূত্রেই তিনি স্বনামধন্য সাহিত্যিক [[কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়|কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের]] স্নেহ সান্নিধ্য লাভ করেন। পাশাপাশি তাঁর রাজনৈতিক জীবনেরও সূচনা ঘটে। গান্ধীজীর অহিংস অসহযোগ আন্দোলন তাঁকে আকৃষ্ট করে এবং গান্ধিবাদী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পুলিশের চোখ এড়িয়ে গভীর রাতে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে স্বাধীনতা আন্দোলনের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন ঘরে ঘরে। ১৯৪০ সালের জানুয়ারি মাসে সতীনাথ ভাদুড়ী প্রথমবারের জন্য কারারুদ্ধ হন।<ref>SATINATH BHADURI RACHANABALI VOL-1, ISBN {{আইএসবিএন|978-93-5020-049-0}}, জুন-২০১৪</ref> ১৯৪২ সালে [[ভারত ছাড়ো আন্দোলন|ভারত ছাড়ো আন্দোলনে]]<nowiki/>র সময় তিনি দ্বিতীয়বার কারাবাসকালে জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করেন ; এর ফলে তাঁকে [[ভাগলপুর]] সেন্ট্রাল জেলে বদলি করা হয়। এই কারাবাসকালীন সময়ই তাঁর [['জাগরী']] উপন্যাস রচনার প্রস্তুতিকাল। ১৯৪৪ সালে তিনি তৃতীয়বার কারাবরণ করেন। এই কারাবাসের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন [[ফণীশ্বরনাথ রেণু]], [[অনাথবন্ধু বসু]] [[ফণীগোপাল সেন|,ফণীগোপাল সেন]], [[জয়প্রকাশ নারায়ণ]], [[শ্রীকৃষ্ণ সিংহ]], [[অনুগ্রহনারায়ণ সিংহ]] প্রমুখ। ১৯৪৫ সালে তাঁর সাড়া জাগানো উপন্যাস 'জাগরী' প্রকাশিত হয়। 'চিত্রগুপ্ত' এই সাহিত্যিক ছদ্মনামে তিনি পরিচিত ছিলেন।
 
==কংগ্রেসপার্টি ত্যাগ==
স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় তিনি কংগ্রেসের একজন সক্রিয়কর্মী ছিলেন এবং পূর্ণিয়া জেলা কংগ্রেসের সম্পাদকের পদে আসীন ছিলেন ; কিন্তু দলের আভ্যন্তরীন কাজকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে ১৯৪৭ সালে কংগ্রেস ত্যাগ করে সমাজতন্ত্রী দলে যোগ দেন।<ref>^ Amaresh Datta (1987). Encyclopaedia of Indian Literature: A-Devo (ইংরেজি ভাষায়) সাহিত্য একাডেমি। pp. 419–420. ISBN {{আইএসবিএন|978-81-260-1803-1}}.</ref> পার্টির দুর্নীতি আর দলাদলি তাঁর অসহ্য বোধ হয়। জনৈক্য পুরনো গ্রামীন কর্মী তাঁর কাছে [[কংগ্রেস]] ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি অকপটে জানিয়েছিলেন যে কংগ্রেসের কাজ ছিলো স্বাধীনতা লাভ করা। সে কাজ হাসিল হয়ে গেছে। এখন 'রাজকাজ' ছাড়া তার আর কোনো কাজ নেই।
 
==সম্মান ও শেষজীবন==