জোড়াসাঁকো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
টেমপ্লেটে সংশোধন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
আইএসবিএন টেমপ্লেট যোগ
১০৯ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
জোড়াসাঁকো অঞ্চলের আদি নাম ছিল মেছুয়াবাজার।<ref name = "Deb">Deb, Chitra, ''Jorasanko and the Thakur Family'', in ''Calcutta, the Living City'', Vol I, edited by Sukanta Chaudhuri, pp. 64-66, Oxford University Press, ISBN {{আইএসবিএন|0-19-563696-1}}</ref> ইতিহাসপ্রসিদ্ধ [[জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি]] ছিল [[বাংলার নবজাগরণ|বাংলার নবজাগরণের]] অন্যতম মুখ্য ধারক ও বাহক [[ঠাকুর পরিবার|ঠাকুর পরিবারের]] ভদ্রাসন। ঠাকুর পরিবার ছাড়াও নবজাগরণের অন্যান্য পৃষ্ঠপোষক সিংহ পরিবার ([[কালীপ্রসন্ন সিংহ|কালীপ্রসন্ন সিংহের]] পরিবার), পাল পরিবার ([[কৃষ্ণদাস পাল|কৃষ্ণদাস পালের]] পরিবার), এবং দেওয়ান বানারসি ঘোষ ও চন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের ভদ্রাসনও এই অঞ্চলে অবস্থিত ছিল। এইভাবে জোড়াসাঁকো হয়ে উঠেছিল “বাংলার নবজাগরণের শিশুশয্যা।” <ref name = "Nair">Nair, P. Thankappan in ''The growth and Development of Old Calcutta'' in ''Calcutta, the Living City'', Vol I, edited by Sukanta Chaudhuri, pp. 15 - 17, Oxford University Press, ISBN {{আইএসবিএন|0-19-563696-1}}.</ref>
 
জোড়াসাঁকো থানা কলকাতার প্রাচীনতম থানাগুলির অন্যতম। ১৭৮৫ সালে শহরের পৌর প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের জন্য যে ৩১টি থানা সৃষ্টি করা হয়েছিল, জোড়াসাঁকো ছিল তার অন্যতম।<ref name = "Nair"/>
১১৫ নং লাইন:
[[আদি ব্রাহ্মসমাজ]], জোড়াসাঁকো ভারতী নাট্যসমাজ, কলিকাতা হরিভক্তিপ্রদায়িনী সভা, মিনার্ভা লাইব্রেরি, [[ওরিয়েন্টাল সেমিনারি]] প্রভৃতি ইতিহাসখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলি জোড়াসাঁকো অঞ্চলেই স্থাপিত হয়েছিল।<ref name = "Nair"/> ১৯২৯ সালে শিক্ষাবিদ গৌরমোহন আঢ্য প্রতিষ্ঠিত [[ওরিয়েন্টাল সেমিনারি]] ছিল কলকাতার প্রাচীনতম বেসরকারি ও প্রথম শ্রেণির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হিন্দুদের দ্বারা চালিত এই বিদ্যালয়ে কেবলমাত্র মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত হিন্দু ছাত্ররাই পড়াশোনার সুযোগ পেতেন।<ref>Kopf, David, ''The Brahmo Samaj and the Shaping of the Modern Indian Mind'', p 49, Princeton University Press.</ref>
 
১৯৬২ সালে [[জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি]] প্রাঙ্গনে কলকাতার তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয় [[রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়]] স্থাপিত হয়। প্রথম দিকে এই বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সঙ্গীত ও চারুকলা শিক্ষাকেন্দ্র; পরবর্তীকালে এখানে কলা ও মানবীয় বিদ্যা পঠনপাঠন শুরু হয়।<ref>Chaudhuri, Sukanta, in ''Education in Modern Calcutta'' in ''Calcutta, the Living City'', Vol II, edited by Sukanta Chaudhuri, p 205, Oxford University Press, ISBN {{আইএসবিএন|0-19-563697-X}}.</ref>
 
== রবীন্দ্র সরণি ==
১২৭ নং লাইন:
১৮৬৫ সালে [[গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর]] পারিবারিক থিয়েটার হিসেবে দ্বিতীয় জোড়াসাঁকো নাট্যশালাটির প্রতিষ্ঠা করেন। এই বছরই এই নাট্যশালায় [[মাইকেল মধুসূদন দত্ত|মাইকেল মধুসূদন দত্তের]] ''কৃষ্ণকুমারী'' নাটকটি অভিনীত হয়। এই নাটকে তরুণ [[জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]] প্রথম নাট্যাভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি অহল্যাদেবীর চরিত্রে অভিনয় করেন।<ref>Bannerjee, Hiranmay, ''Thakurbarir Katha'', {{Bn icon}}, p.103 , Sishu Sahitya Sansad.</ref> প্রথম দিকে পুরুষেরা মহিলা চরিত্রে অভিনয় করলে পরবর্তীকালে ঠাকুরবাড়ির মহিলারা আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সম্মুখে মঞ্চাভিনয়ে এগিয়ে আসেন। পরবর্তীকালে তাঁরা জনসমক্ষেও অভিনয় করেছেন।<ref name = "Deb"/>
 
সেযুগে বাংলা ভাষায় অভিনয়োপযোগী নাটকের সংখ্যা কমই ছিল। এই কারণে গণেন্দ্রনাথ একটি নাট্যরচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন। রামনারায়ণ তর্কালঙ্কার রচিত ''নবনাটক'' এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে। গণেন্দ্রনাথ নাট্যকারকে ২০০ টাকা পুরস্কার স্বরূপ দেন; যা সেযুগের হিসেব অনুযায়ী ছিল মহার্ঘ্য। এছাড়াও তিনি নাটকের এক হাজার কপি প্রকাশের খরচ বহনের প্রতিশ্রুতিও দেন।<ref>Bannerjee, Hiranmay, p. 219.</ref><ref>Sengupta, Subodh Chandra and Bose, Anjali (editors), 1976/1998, ''Sansad Bangali Charitabhidhan'' (Biographical dictionary) Vol I, {{Bn icon}}, p. 127, ISBN {{আইএসবিএন|81-85626-65-0}}</ref> অভিনয়ে অংশ নিয়েছিলেন অক্ষয় মজুমদার, সারদাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | url = http://banglapedia.search.com.bd/HT/T_0148.htm | title = Theatre Stage | accessdate = 2007-04-24 | last = Mukhopadhyay | first = Ganesh | work = Banglapedia | publisher =Asiatic Society of Bangladesh }}</ref>
 
বর্তমানে জোড়াসাঁকো কলকাতার শঙ্খশিল্পের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি