গণেশপুরাণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
টেমপ্লেটে সংশোধন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
আইএসবিএন টেমপ্লেট যোগ
৩৮ নং লাইন:
|align = left
}}
''গণেশপুরাণ'' দুটি ‘খণ্ড’ বা ভাগে বিভক্ত। এগুলি হল: ‘উপাসনাখণ্ড’ ও ‘ক্রীড়াখণ্ড’। উপাসনাখণ্ডে ভক্তিতত্ত্ব আলোচিত হয়েছে। এই খণ্ডে ৯২টি অধ্যায় রয়েছে। অন্যদিকে ক্রীড়াখণ্ডের উপজীব্য বিষয় হল গণেশের লীলা। এই খণ্ডে ১৫৫টি অধ্যায় রয়েছে।{{Sfn|Bailey|1995|p=ix, 115}} ক্রীড়াখণ্ডটিকে পরিশিষ্টে ‘উত্তরখণ্ড’ নামেও অভিহিত করা হয়েছে।<ref>Encyclopaedia of Hinduism edited by Nagendra Kumar Singh , First edition 2000, published by Anmol Publistions Pvt. Ltd., New Delhi ISBN {{আইএসবিএন|978-81-7488-168-7}} (set) P. 883</ref> উপাসনাখণ্ডের ৪৬তম অধ্যায় একটি [[স্তোত্র]] অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এটি [[গণেশ সহস্রনাম]] (গণেশের ১০০০টি নাম ও গুণাবলির প্রশস্তিমূলক তালিকা-সম্বলিত স্তোত্র) নামে পরিচিত স্তোত্রটির সর্বাধিক পরিচিত সংস্করণের প্রধান সূত্র।{{cn|date=February 2016}}
 
''গণেশপুরাণ'' গ্রন্থে অন্যান্য সকল পুরাণে প্রাপ্ত পাঁচটি সাহিত্যিক বিভাগ বর্তমান রয়েছে। এগুলি হল: ‘খণ্ড’, ‘মাহাত্ম্য’, ‘উপাখ্যান’, ‘গীতা’ ও একটি আখ্যানমূলক বিভাগ।{{Sfn|Bailey|1995|p=116}} হিন্দু পুরাণে উল্লিখিত পৌরাণিক বন নৈমিষারণ্যে এক ঋষিসমাবেশে ঋষি [[ব্যাস (ঋষি)|ব্যাসের]] কথকতার আদলে এই পুরাণটি রচিত।{{Sfn|Bailey|1995|p=116}} রচনার ভঙ্গিমাটি শিক্ষামূলক ও পৌরাণিক। এই পুরাণে উপাখ্যানগুলির কল্পনা ও কাঠামো অন্যান্য পুরাণগুলির মতোই।{{Sfn|Bailey|1995|p=116}} বেইলির মতে, এই পুরাণের চারটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথমত, এতে পুরাণের ‘পঞ্চলক্ষণ’ ধারণাটি লক্ষিত হয় না। দ্বিতীয়ত, এতে ‘ধর্মশাস্ত্রে’র শিক্ষামূলক উপস্থাপনা খুবই কম। তৃতীয়ত, পৌরাণিক উপাখ্যানগুলির কাঠামো এমনভাবে সৃজিত হয়েছে, যাতে দেখা যায় গণেশ প্রাচীন হিন্দু পুরাণের উপাখ্যানগুলিতে হস্তক্ষেপ করছেন। এবং চতুর্থত, পৌরাণিক আখ্যানটি গণেশকে সর্বদাই অন্যান্য সকল হিন্দু দেবতার জীবনস্বরূপ ও আদর্শস্থানীয় রূপে উপস্থাপনা করেছে।{{Sfn|Bailey|1995|pp=116-120}}
৪৮ নং লাইন:
 
=== ক্রীড়াকাণ্ড: গণেশগীতা ===
ক্রীড়াকাণ্ড অংশের ১৩৮তম থেকে ১৪৮তম অধ্যায়গুলি ''গণেশগীতা'' নামে পরিচিত। শুধু এই অংশে গণেশ ঈশ্বরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।<ref>Rocher, Ludo. "{{IAST|Gaṇeśa}}'s Rise To Prominence", p. 73 in: Ganesh: Studies of an Asian God, Robert L. Brown, editor. (State University of New York: Albany, 1991) ISBN {{আইএসবিএন|978-0-7914-0657-1}}</ref> এই অংশটি রাজা বরেণ্য ও গণেশের গজানন অবতারের কথোপকথনের আকারে রচিত।
 
{{Quote box
৭০ নং লাইন:
=== ক্রীড়াকাণ্ড: চার যুগে গণেশ ===
[[File:Ganesha statue, Asian Civilisations Museum Singapore - 20061231.jpg|thumb|200px|চতুর্ভূজ গণেশমূর্তি; এশিয়ান সিভিলাইজেশন্স মিউজিয়াম, সিঙ্গাপুর।]]
''গণেশপুরাণ'' গ্রন্থের ক্রীড়াকাণ্ডে গণেশের চার [[অবতার|অবতারের]] উপাখ্যান রয়েছে। এই চার অবতার চার [[যুগ (হিন্দুধর্ম)|যুগে]] অবতীর্ণ হয়েছেন।<ref name="Krishan 1999 79–80"/><ref>Brief summaries of events in each incarnation are given in John A. Grimes. Ganapati: Song of the Self. pp. 100–105. (State University of New York Press: Albany, 1995) ISBN {{আইএসবিএন|978-0-7914-2440-7}}</ref> এই অংশের ১৫৫টি অধ্যায় চার যুগের ভিত্তিতে বিভক্ত। ১ম থেকে ৭২তম অধ্যায় পর্যন্ত [[সত্যযুগ]], ৭৩তম থেকে ১২৬তম অধ্যায় পর্যন্ত [[ত্রেতাযুগ]] এবং ১২৭তম থেকে ১৩৭তম অধ্যায় পর্যন্ত রয়েছে [[দ্বাপর যুগ|দ্বাপর যুগের]] বর্ণনা।{{Sfn|Bailey|2008|p=5}} ১৩৮তম থেকে ১৪৮তম অধ্যায় নিয়ে ''গণেশগীতা'' অংশটি রচিত। এরপর ১৪৯তম অধ্যায়ে সংক্ষেপে [[কলিযুগ|কলিযুগের]] (বর্তমান যুগ) বর্ণনা পাওয়া যায়।{{Sfn|Bailey|2008|p=5}} অবশিষ্ট ১৪৯তম থেকে ১৫৫তম অধ্যায় পর্যন্ত অংশটি আলোচনামূলক। একটি প্রামাণ্য পুরাণগ্রন্থে যে সাহিত্যিক গুণাবলি থাকা প্রয়োজন, তা এই অংশে সন্নিবেশিত হয়েছে।{{Sfn|Bailey|2008|p=5}}
 
সত্যযুগে গণেশকে ‘বিনায়ক’ রূপে প্রদর্শিত হয়েছে। বিনায়ক দশভূজ, বৃহদাকার, দানশীল ও সিংহবাহন।{{Sfn|Bailey|2008|p=5 with footnote 2}}<ref>Ganesha Purana I.46.28 in the 1993 Sharma edition. In the version used by Bhāskararāya in his Khadyota commentary on the Ganesha Sahasranama the verse is numbered I.46.33 and the name is given as Kaśyapasuta.</ref> ত্রেতাযুগের গণেশ ‘ময়ূরেশ্বর’ রূপধারী। ময়ূরেশ্বর ষড়ভূজ, শ্বেতবর্ণ ও ময়ূরবাহন।{{Sfn|Bailey|2008|p=5}} দ্বাপর যুগে গণেশ ‘গজানন’ রূপ ধারণ করেছেন। গজানন চতুর্ভূজ, রক্তবর্ণ ও মুষিকবাহন।{{Sfn|Bailey|2008|p=5 with footnote 2}} এই যুগে তিনি [[শিব]] ও [[পার্বতী|পার্বতীর]] পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেন। কলিযুগে গণেশ ‘ধুম্রকেতু’। ধূম্রকেতু দ্বিভূজ, ধূম্রবর্ণ ও অশ্ববাহন।{{Sfn|Bailey|2008|p=5}}<ref>Yuvraj Krishan, op. cit. p. 84, footnote 13, says that in the Ganesha Purana 2.131.32, Dhūmraketu is said to have four arms but in ibid. 2.1.21 and 2.85.15 he is said to have only two arms. The version given in Grimes mentions only two arms.</ref> ''গণেশপুরাণ'' অনুসারে, কলিযুগে গণেশ বর্বর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ও দৈত্যদানব হত্যা করেন।{{Sfn|Bailey|2008|p=5 with footnote 2}}
৯৭ নং লাইন:
*{{বই উদ্ধৃতি |last=Krishan |first=Yuvraj |authorlink= |coauthors= |title=Gaņeśa: Unravelling An Enigma |year=1999 |publisher=Motilal Banarsidass Publishers |location=Delhi |isbn= 978-81-208-1413-4|ref=harv }}
*{{বই উদ্ধৃতি|first=Ludo |last=Rocher| year= 1986| title= The Puranas| publisher= Otto Harrassowitz Verlag| isbn= 978-3447025225|ref=harv}}
*Sharma, Ram Karan (editor) (1993). ''Ganesha Purana''. Nag Publishers. ISBN {{আইএসবিএন|978-81-7081-279-1}}.
*{{বই উদ্ধৃতি |last=Thapan |first=Anita Raina |authorlink= |coauthors= |title=Understanding Gaņapati: Insights into the Dynamics of a Cult |year=1997 |publisher=Manohar Publishers |location=New Delhi |isbn=978-81-7304-195-2 |ref=harv}}
 
==আরও পড়ুন==
{{commons category|Ganesha|গণেশ}}
*Mani, Vettam. ''Puranic Encyclopaedia: A Comprehensive Dictionary With Special Reference to the Epic and Puranic Literature''. 1st English edition, Motilal Banarsidass, New Delhi, 1975. Reprint editions: Motilal Banarsidass (2006) ISBN {{আইএসবিএন|978-81-208-0597-2}}.
{{গণেশ}}
{{পুরাণ}}