পর্বতারোহণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
টেমপ্লেটে সংশোধন
INobody (আলোচনা | অবদান)
৬১ নং লাইন:
যে পর্বতারোহী আলপাইন রীতিতে আরোহণ করেন, তাকে আলপাইন মাউন্টেনিয়ার বলা হয়। এধরণের আরোহীরা সাধারণত মধ্যম উচ্চতার বরফাবৃত পর্বত যেমন- আল্পস বা রকি পর্বতে আরোহণ করেন। মধ্যম উচ্চতা বলতে ৭০০০ ফুট থেকে ১২০০০ ফুট বা এর চেয়েও বেশি ১২০০০ থেকে ১৮০০০ ফুট। এর চেয়েও বেশি উচ্চতার ক্ষেত্রে আলপাইন রীতিতে পর্বতারোহণের নজির পৃথিবীতে অবশ্য রয়েছে। এই রীতিতে বরফ, তুষারের বা হিমবাহের উপর দিয়ে আরোহণ করা হয়। আরোহীরা তাদের সব জিনিসপত্র একা একবারে নিয়ে উঠেন এবং এক পথ একবারই ব্যবহার করেন।
 
এক্সপিডিশন রীতি আলপাইন রীতির উল্টো। এই উপায়ে আরোহী ধীরে ধীরে তার সাথে ভারী জিনিসপত্র যেমন- তাবু, খাবার, পোশাক ইত্যাদি নিজে কয়েকবারে বা তা ওঠানোর জন্য কোন পালিত পশপশু কিংবা অন্য কোন ব্যক্তির সাহায্য নিয়ে আরোহণ করেন। যেসব পর্বতে আরোহণ করতে কয়েক দিন, সপ্তাহ এমনকি কয়েক মাস পর্যন্ত লাগে; সেসব ক্ষেত্রে এক্সপিডিশন রীতি ব্যবহৃত হয়। যেমন- হিমালয় পর্বতমালার অনেক শৃঙ্গে আরোহণ করতে কয়েক সপ্তাহ থেকে মাস পর্যন্ত লেগে যায়। তাই এই ক্ষেত্রে এক্সপিডিশন রীতি ব্যবহৃত হয়। বেশি উচ্চতার পর্বতে এই রীতিতে ওঠা হয়। ইউরোপের এবং আমেরিকার অধিকাংশ পর্বতে একদিনে আরোহণ করা যায়, তাই এই রীতির দরকার হয় না। তবে কিছু কিছু পর্বত যেমন আলাস্কা এবং সেন্ট ইলিয়াস পর্বতের বেস ক্যাম্পে উঠতেই ২ সপ্তাহ লাগে। তাই এক্ষেত্রে এক্সপিডিশন রীতিতে ওঠা হয়। শীতকালে উত্তর আমেরিকার উচু শৃঙ্গগুলোতে উঠতে ৩০ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত লাগে। তাই এক্ষেত্রে একমাত্র এক্সপিডিশন রীতিই ব্যবহৃত হয়।
 
== তথ্যসূত্র ==