এরিক হোলিস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রারম্ভিক জীবন - অনুচ্ছেদ
Suvray (আলোচনা | অবদান)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ - অনুচ্ছেদ
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে}}
{{Infobox cricketer
| name = এরিক হোলিস
৪৯ ⟶ ৪৮ নং লাইন:
| catches/stumpings2 = 179/–
| source = http://content-aus.cricinfo.com/ci/content/player/14240.html ক্রিকইনফো
| date = জুন
| year = ২০১৭
}}
৫৬ ⟶ ৫৫ নং লাইন:
 
== প্রারম্ভিক জীবন ==
১৯৩২ সালে ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর। এজবাস্টনের সাধারণ ও সহজ বোলিং উপযোগী পিচে স্বীয় ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের পর ১৯৩৫ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্টে অভিষিক্ত হন। অধিকাংশ লেগস্পিনারেরলেগ স্পিনারের ন্যায় হোলিস বলকে স্পিন করাতেন না। তবে নিখুঁতভাবে বোলিং করায় ফলাফল পেতেন। নিরবিচ্ছন্নভাবে কাউন্টির পক্ষে দীর্ঘসময় ধরে বোলিং করারও অভ্যাস ছিল তাঁর। ১৯৪৯ সালে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে এক ইনিংসে একাধারে ৭৩ ওভার বোলিং করেছেন। টপ স্পিন ও গুগলি সহযোগে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে ভিন্নতা আনতেন যা ব্যাটসম্যানের পক্ষে সনাক্ত করা বেশ কঠিন ছিল। ফলশ্রুতিতে তিনি অনেকগুলো উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। তন্মধ্যে [[১৯৪৮ অ্যাশেজ সিরিজ|১৯৪৮]] সালের অ্যাশেজ সিরিজে ব্র্যাডম্যানেরকেব্র্যাডম্যানকে আউট করে বেশ সুনাম কুড়ান।
 
== দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ==
[[1940 to 1944 English cricket seasons|বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে]] যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরিকরণে শ্রমিকের চাহিদা ও সামরিক বাহিনীর সেবা নিরসনকল্পে তিনদিনের ক্রিকেট খেলা পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ সময়ে তিনি [[Birmingham and District League|বার্মিংহাম ও জেলা লীগে]] পশ্চিম ব্রোমিচ ডার্টমাউথ দলে খেলেন। তাঁর অসম্ভব ক্রীড়াশৈলীতে দলটিকে অপরাজেয় করে তোলে। পেশাদারী পর্যায়ে ৪৯৯ উইকেট দখল করেন। ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সময়কালে পশ্চিম ব্রোমিচ ডার্টমাউথ প্রত্যেক বছরই লীগের শিরোপা জয় করে। যুদ্ধকালীন সময়ে দলটি কেবলমাত্র সাত খেলায় পরাজিত হয়েছিল।<ref>Midwinter, Eric; ''The Lost Seasons: Cricket in Wartime 1939-45'', p. 122 ISBN 0413142302</ref>
 
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
[[ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান|ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের]] খেলোয়াড়ী জীবনের চূড়ান্ত টেস্ট ইনিংসে [[duck (cricket)|শূন্য]] রানে আউট করে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন তিনি। তখন ব্র্যাডম্যানের টেস্ট [[ব্যাটিং গড়]] ১০০.০০ হবার জন্য দরকার ছিল কেবলমাত্র চার রানের।
শীর্ষে অবস্থানকালে তিনি ইংল্যান্ডের সেরা বোলারদের অন্যতম ছিলেন। [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|এমসিসি]] ইচ্ছাকৃতভাবে [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া]] সফরে নেয়নি। ১৯৪৬ সালে ওয়ারউইকশায়ার দলকে টেনে তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা চালান ও দেশের শীর্ষস্থানীয় উইকেট সংগ্রাহকে পরিণত হন। ঐ বছর তুলনামূলকভাবে অনুপযোগী পিচে কোন ফিল্ডারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছাড়াই দশ উইকেটের সবগুলো লাভ করেন। [[Nottinghamshire County Cricket Club|নটিংহ্যামশায়ারের]] বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় তিনি সাতজনকে বোল্ড ও তিনজনকে [[লেগ বিফোর উইকেট|এলবিডব্লিউ]] করেন।<ref name="Cap"/>
 
১৯৪৭ সালে তাঁর খারাপ সময় কাটে। তবে ১৯৪৮ সালে স্বরূপ ধারন করেন। একমাত্র বোলার হিসেবে অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে তাঁকে সম্ভাব্যরূপে গণ্য করা হতো। নিজস্ব দ্বিতীয় বলেই [[ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান|ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের]] খেলোয়াড়ী জীবনের চূড়ান্ত টেস্ট ইনিংসে [[duck (cricket)|শূন্য]] রানে আউটবোল্ড করে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন তিনি। তখন ব্র্যাডম্যানের টেস্ট [[ব্যাটিং গড়]] ১০০.০০ হবার জন্য দরকার ছিল কেবলমাত্র চার রানের। পাশাপাশি ওভাল টেস্টে শক্তিশালী ব্যাটিং দলের বিপক্ষে ১০৭ রান দিয়ে ৮ উইকেট তুলে নেন। I
 
১৯৪৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চার টেস্টের সবকটি টেস্টেই তিনি অংশগ্রহণ করেন। তবে পীচে তাঁর বোলিংয়ের কার্যকারিতা প্রকাশ পায়নি। ১৯৫১ সাল থেকে ইংরেজ বোলিং আক্রমণ কিছুটা দ্বিতীয়-বিশ্বযুদ্ধোত্তর পর্যায়ে চলে গেলেও তিনি আর টেস্টে অংশগ্রহণের জন্য উপযুক্তরূপে বিবেচিত হননি। তাস্বত্ত্বেও ১৯৫১ সালে ওয়ারউইকশারের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ে প্রধান ভূমিকা অবলম্বন করেছিলেন।
 
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবনের সবটুকু সময়ই ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে খেলেছেন। ২১ রানেরও কম গড়ে ২৩২৩ [[উইকেট]] দখল করেন।