মির্যা আগা মুহম্মদ বাকের: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
বানান সংশোধন
৩০ নং লাইন:
}}
 
'''মির্জা আগা মুহম্মদ বাকের''' ({{lang-en|Mirza Agha Muhammad Bakar}}) ছিলেন একজন [[পারস্য|পারসিক]] অভিজাত। তিনি তৎকালীন [[বরিশাল জেলা|বরিশাল জেলার]] প্রধান অংশ বুযুর্গ [[উমেদপুর ইউনিয়ন|উমেদপুর]] এবং [[সলিমাবাদ ইউনিয়ন|সলিমাবাদ]] পরগনার জমিদার ছিলেন। [[মুঘল আমল|মুঘল আমলের]] এ-দুটি পরগনা বৃহত্তর বরিশাল জেলার বিশাল অংশে বিস্তৃত ছিলো।ছিল।<ref name="আগা মুহম্মদ বাকের, মির্যা-বাংলাপিডিয়া">{{বই উদ্ধৃতি |author=মুয়ায্যম হুসায়ন খান |editor=[[সিরাজুল ইসলাম]] |title=[[বাংলাপিডিয়া]] |url=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=আগা_মুহম্মদ_বাকের,_মির্যা |accessdate=আগস্ট ১০, ২০১৪ |edition= |publication-date=জানুয়ারি ২০০৩ |publisher=[[এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ]] |location=[[ঢাকা]] |language=[[বাংলা ভাষা|বাংলা]] |isbn=984-32-0576-6 |page= |chapter=আগা মুহম্মদ বাকের, মির্যা |quote= }}</ref> বাকের ছিলেন নবাব [[সরফরাজ খান|সরফরাজ খানের]] অধীনে [[ওড়িশা|উড়িষ্যার]] নায়েব নাযিম [[দ্বিতীয় মুর্শিদ কুলি খান]]|দ্বিতীয় রুস্তমমুর্শিদ জঙ্গেরকুলি খানের]] জামাতা। উড়িষ্যার অধিকার নিযে়নিয়ে রুস্তমদ্বিতীয় জঙ্গমুর্শিদ কুলি এবং [[আলীবর্দী খান|আলীবর্দী খানের]] মধ্যকার সংঘর্ষে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিলো।ছিল।<ref name="আগা বাকের, মির্জা-বাংলাপিডিয়া">{{বই উদ্ধৃতি |author=মুয়ায্যম হুসায়ন খান |editor=[[সিরাজুল ইসলাম]] |title=[[বাংলাপিডিয়া]] |url=http://www.ebanglapedia.com/bn/article.php?id=2129&title=আগা-বাকের,-মির্জা#.U-dG8xaA4dW |accessdate=আগস্ট ১০, ২০১৪ |edition= |publication-date=জানুয়ারি ২০০৩ |publisher=[[এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ]] |location=[[ঢাকা]] |language=[[বাংলা ভাষা|বাংলা]] |isbn=984-32-0576-6 |page= |chapter=আগা বাকের, মির্জা |quote= }}</ref>
 
== জীবনী ==
১৭৪০ সালের ৯ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের অদূরে গিরিয়ার মাঠেপ্রান্তরে আলিবর্দীর সঙ্গে সরফরাজ খাঁরখানের যুদ্ধ হয়।<ref name="কিশোরগঞ্জ">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |author=তাহমীদুল ইসলাম |title=মির্জা মুহম্মদ আলিবর্দী খাঁ |url=http://www.kishorgonj.com/?p=8665 |date=আগস্ট ০৭, ২০১১ |accessdate=আগস্ট ১০, ২০১৪ |publisher=কিশোরগঞ্জ ডট কম}}</ref> এ-যুদ্ধে [[সরফরাজ খান|সরফরাজ খানের]] পতনের পর [[বাঙলাবঙ্গ|বাংলার]] নওয়াবনবাব হন আলীবর্দী খাঁ।খান। কিন্তু উড়িষ্যা তখন বাঙলারবাংলার অন্তর্ভুক্ত হলেও আলীবর্দী খাঁখানন তা অধিকার করতে পারেন নি। উড়িষ্যার নায়েব নাযিম রুস্তমদ্বিতীয় মুর্শিদ জঙকুলি আলীবর্দীর আধিপত্য অস্বীকার করেন, ফলে উড়িষ্যা তাঁর অধীনেই থেকে যায়। এ- অবস্থায় আলীবর্দীর নিকট থেকে বাঙলাবাংলা পুনরূদ্ধারেরপুনর্দখলের জন্য আগা বাকের তাঁর শ্বশুর রুস্তমদ্বিতীয় জঙেরমুর্শিদ কুলির সাথে যোগ দেন। তিনি উড়িষ্যা রাজ্যের [[কটক]] থেকে বালাশোরবালাসোর অভিমুখে অগ্রসর হন এবং ১৭৪০-এর সালের ডিসেম্বরের দিকে [[বিহার]] রাজ্যের [[ফুলওয়ারী শরিফ|ফুলওয়ারী শরিফে]] শিবির স্থাপন করেন। তিনি যুদ্ধে মারাত্মকভাবে আহত এবং ১৭৪১ সালের ৩ মার্চ পরাজিত হন। এরপর রুস্তমতিনি তাঁর আহত জামাতা বাকেরকে নিযে়নিয়ে মসলিপল্টমে পালিযে়পালিয়ে যান। রুস্তমদ্বিতীয় জঙেরমুর্শিদ কুলির বন্ধু উডি়ষ্যারউড়িষ্যার [[খুর্দা জেলা]]র জমিদারের সমোচিত হস্তক্ষেপের ফলে তাঁদের পরিবার আলীবর্দীর সৈন্যদের কবল থেকে রক্ষা পায়। পরবর্তী সময়ে রূস্তমদ্বিতীয় জঙেরমুর্শিদ কুলির সেনাপতি শাহ মুরাদ তাঁদেরকে বাকেরের নিকট নিযে়নিয়ে যান। [[দাক্ষিণাত্য মালভূমি|দাক্ষিণাত্যে]] তাঁদেরকে চরম দুঃখকষ্টের মধ্যে দিনযাপন করতে হয়। এরপর আলীবর্দী তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র ও জামাতা সৈয়দ আহমদ খান সওলত জঙকেখানকে উড়িষ্যার নায়েব নাজিমনাযিম নিযুক্ত করে [[মুর্শিদাবাদ|মুর্শিদাবাদে]] ফিরে যান। আরোগ্য লাভের পর আগা বাকের ১৭৪১ সালের আগস্ট মাসে [[মীর হাবিব-সহ|মীর হাবিবের]] নেতৃত্বাধীন একদল [[মারাঠা সাম্রাজ্য|মারাঠা]] পদাতিক সৈন্য সহযোগে কটকে পৌঁছেন। তাঁরা সৈয়দ আহমদকে তাঁর পরিবার-পরিজনসহ বন্দি করে কড়া পাহারায় আটকে রাখেন এবং [[মেদিনীপুর]] এবং হিজলি দখল করে নেন। আলীবর্দী এ- সংবাদ পাবার পর বাকেরের বিরূদ্ধে অগ্রসর হন এবং ১৭৪১ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁকে মহানদীর দক্ষিণ তীরবর্তী [[রায়পুর|রায়পুরে]] এক [[রায়পুরের যুদ্ধ|যুদ্ধে]] পরাজিত করেন। ফলে বাকের এবং তাঁর সহযোগী মারাঠা সৈন্যগণ দাক্ষিণাত্যে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। আগা বাকের সম্ভবত ১৭৪২ সালের গোড়ার দিকে আলীবর্দীর নিকট আত্মসমর্পণ করেন। এবং মির্জা আগা বাকেরকে বুযুর্গ উমেদপুর এবং সলিমাবাদ পরগনার জায়গীরদারজায়গিরদার নিযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ১৭৫৪ সাল,সালে মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত তিনি এ-দ্বায়িত্বে দায়িত্বে বহাল ছিলেন।<ref name="আগা বাকের, মির্জা-বাংলাপিডিয়া"/>
 
১৭৪১ সালে আগা বাকের বুযুর্গ উমেদপুরে একটি বড় গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন। নিজের নামে এ- গঞ্জের নামকরণ করেরকরেন [[বাকেরগঞ্জ উপজেলা|বাকেরগঞ্জ]]। বাকেরগঞ্জ তৎকালীন একটি গুরূত্বপূর্ণ বন্দর-শহর রৃপে গডে়গড়ে ওঠে। এ অঞ্চলে [[পারস্য|পারসিক]] ও [[আর্মেনিয়া|আর্মেনীয়]] বণিক এবং [[কাশ্মীর|কাশ্মীরি]] খাজারা লবণ ও চামড়ার ব্যবসা করতেন। আগা বাকের সম্ভবত ঢাকায় অবস্থান করতেন এবং তাঁর প্রতিনিধির মাধ্যমে জমিদারি পরিচালনা করতেন। আগা বাকের ও তাঁর পুত্র আগা সাদেক মুর্শিদাবাদ প্রাসাদ ষড়যন্যেষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন এবং তারাতাঁরা স্পষ্টভাবে নবাব [[সিরাজউদ্দৌলা|সিরাজউদ্দৌলার]] অনুসারী ছিলেন। ঢাকার নায়েব নাজিমনাযিম [[নওয়াজিশ মুহম্মদ খান|নওয়াজিশ মুহম্মদ খানের]] দুজন প্রতিনিধি ছিলেন হোসেন কুলি খান এবং হোসেনউদ্দীনহোসেনউদ্দিন খান, যারাযাঁরা তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র ছিলেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলা হোসেন কুলীকুলি খান ও হোসেনউদ্দীনহোসেনউদ্দিন খানকে ষড়যন্ত্রে জড়িত বলে অভিযুক্ত করেন এবং আগা সাদেকের সহায়তায় ১৭৫৪ সালে হোসেনউদ্দীনকেহোসেনউদ্দিনকে হত্যা করান। একই বছর ১৯৫৪১৭৫৪ সালে, নিহত হোসেনউদ্দীনেরহোসেনউদ্দিনের আত্মীয় এবং ঢাকা শহরের কোতোয়াল মির্জা আলী নকী এ- হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য আগা বাকেরের বাড়ি আক্রমণ করেন। আগা সাদেক তাঁর বৃদ্ধ পিতা মির্জা আগা বাকেরকে জনতার রোষের মধ্যে ফেলে রেখে পেছনের দরজা দিয়ে [[মুর্শিদাবাদ|মুর্শিদাবাদে]] পালিয়ে যান। বর্তমান [[ঢাকা]]র আগা সাদেক ময়দানের উত্তর পাশের একটি সমাধিতে মির্জা আগা বাকেরকে সমাহিত করা হয়।<ref name="আগা বাকের, মির্জা-বাংলাপিডিয়া"/>
 
== আরওআরো দেখুন ==
* [[বাকরখানি]]
* [[বাকেরগঞ্জ উপজেলা]]