পাণ্ডবগণ তাদের নতুন রাজ্যে অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করলে সেখান থেকে মামা শকুনির পরামশে [[তক্ষক]] নাগ পাণ্ডবদের সকল অশ্ব নিয়ে পালিয়ে যায়।
সেই অশ্ব রক্ষা করার জন্য [[অর্জুন]] অস্ত্র আনতে সঙ্গমরত [[যুধিষ্ঠির]] ও [[দ্রৌপদী]] এর শয়ন-গৃহে ঢুকতে বাধ্য হলেন। [[যুধিষ্ঠির]] এতে নিয়ম ভঙ্গ হয় নি বললেও, [[অর্জুন]] বনবাসে চলে যান। সেই সময়ে [[অর্জুন]] একে একে উলুপী, চিত্রাঙ্গদা সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এবং তাদের বিয়ে করেন। স্বামীহীনা উলুপী স্নানরত অর্জুনকে হরণ করে নিয়ে আসেন পিত্রালয়ে। সেখানে তিনি অর্জুনের কাছে এক ক্ষেত্রজ পুত্র কামনা করেন। উলুপীর নিমন্ত্রণে তার সঙ্গে সহবাসগর্ভসঞ্চার করেন অর্জুন। এই মিলনের ফলে অর্জুনের ঔরসে উলুপী গর্ভবতী হন ও এক পুত্রের জন্ম দেন। এই অর্জুন- উলূপীর মিলনজাত পুত্রের নাম হয় ইরাবান। পূর্ব-বিবাহিতা বলে [[অর্জুন]] প্রথমে তাকে বিয়ে করেন নি। পরে [[অর্জুন]] উলুপীকেও ভার্যার সম্মান দেন।অর্জুন দ্বাদশবর্ষব্যাপী ব্রহ্মচর্য ব্রত পালনের সময় ভ্রমণ করতে করতে এলেন মণিপুররাজ্যে। সেই সময়ে অর্জুন চিত্রাঙ্গদার প্রেমে পড়েন। তার ও চিত্রাঙ্গদার বিবাহ হল । তাঁদের মিলনের ফলে অর্জুনের ঔরসে চিত্রাঙ্গদার গর্ভে সন্তান জন্মায়। তাদের সেই মিলনজাত পুত্রের নাম হয় বভ্রুবাহন। অর্জুন বভ্রুবাহন কে মণিপুরের রাজা বানিয়ে দেন। পরে [[অর্জুন]] তার মিত্র [[কৃষ্ণ]] এর সাহায্যে [[কৃষ্ণ]] ও [[বলরাম]] এর একমাত্র বোন [[সুভদ্রা|সুভদ্রাকে]] বিয়ে করেন। অর্জুনের ঔরসে দেবী সুভদ্রার গর্ভে এক বলশালী পুত্র হয় । তার নাম অভিমন্যু। অগ্নিদেবের হিতার্থে খাণ্ডব অরণ্য যাতে [[কৃষ্ণ]] ও [[অর্জুন]] দহনে করতে পারেন,তারজন্য বরুণদেব অর্জুনকে একটি রথ আর সেই সঙ্গে বিখ্যাত গাণ্ডীবধনু দিয়েছিলেন। এই অস্ত্র পেয়ে অর্জুন বিশেষভাবে বলশালী হন।<ref>কৃষ্ণচরিত্র - প্রথম খণ্ড</ref>