পরেশ দত্ত (তুলসী চক্রবর্তী)) একজন সাধারণ কেরানী। তিনি বৃষ্টির দিনে অফিসখেলা থেকে ফেরার পথে কার্জন পার্কে কুড়িয়ে পান একটি গোলাকৃতি পাথর। তার ভাইপো পল্টুকে খেলার জন্যে দিলে হঠাৎ জানা যায় লোহা ওই পাথরে স্পর্শ করলেই তা সোনা হয়ে যাচ্ছে। পরেশবাবু 'পরশ পাথর' পাওয়ার আনন্দে বিহ্বল হয়ে পড়েন। তিনি প্রচুর লোহা কিনে তা সোনা করতে থাকেন। রাজনীতি এবং ব্যবসা জগতের একজিনএকজন কেউকেটা হয়ে যান। সেক্রেটারি রাখেন প্রিয়তোষ হেনরী বিশ্বাস ([[কালী বন্দ্যোপাধ্যায়]]) নামে একটি খৃষ্টান তরুনকে। বিভিন্ন সভা সমতি-সমিতি, পার্টি এবং অনুষ্ঠানে তার ডাক পড়তে থাকে। একদিন ফাঁস হয়ে যায় পরেশবাবু এত সম্পত্তি কিভাবে করেছেন। দেশে তোলপাড় শুরু হয়, সোনার দাম পড়ে যাওয়ার আশংকায় লোকে জমানো সোনা বেচতে থাকে। প্রিততোষকে পাথরটি ও অন্যান্য সম্পত্তি দান করে পরেশ বাবুপরেশবাবু স্ত্রীর সাথে তীর্থ দর্শনে বেরিয়ে পড়েন কিন্তু পুলিশ তাদের আটকায় ও থানায় ধরে নিয়ে যায়। ইরিমধ্যেইতিমধ্যে প্রিয়তোষ প্রেমে ব্যর্থ হয়ে পাথরটি খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। হাসপাতালে এক্স-রে করে দেখা যায় প্রিয়তোষ পাথড়টা ক্রমশ হজম করে ফেলছে। ডাক্তার (মনি শ্রীমানি) জানান এই অবস্থায় অপারেশন সম্ভব নয়। পুলিশ কোনোভাবেই সেটা উদ্ধার করতে পারেনা। পাথরটি সম্পুর্ন হজম হয়ে গেলে এযাবৎ যত লোহা সোনায় রূপান্তরিত হয়েছিল সব পূর্বাবস্থায় চলে আসে। মুক্তি পেয়ে পরেশবাবু স্ত্রী, সেক্রেটারি ও চাকরকেচাকর (জহর রায়)কে নিয়ে গড়ের মাঠে জুড়িগাড়ি চড়ে বেরিয়ে পড়েন। তার পরিশ্রমী ও বাস্তব জীবন আবার নতুন করে অনুভূত হয়।