বিচারক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১২ নং লাইন:
| average_salary=
}}
'''বিচারক''' [[আদালত]] কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি মামলার নিষ্পত্তি করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|last=শারমিন |first=শাহিদা |url=http://www.ntvbd.com/law-and-order/66231/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF |title=বিচারক ও বিচারপতি কি একই ব্যক্তি? |work=এনটিভি অনলাইন |location=ঢাকা |publisher=এনটিভি |date=২৯ জুলাই ২০১৬ |deadurl=no |archiveurl=http://web.archive.org/web/http://www.ntvbd.com/law-and-order/66231/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF |archivedate=৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ |accessdate=৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ }}</ref> তিনি একা অথবা আরও বিচারকদের সাথে নিয়ে [[বিচারবিভাগীয় প্যানেল]] গঠন করেও আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। [[অধিক্ষেত্র]] অনুযায়ী বিচারকের ক্ষমতা, কার্যাবলী, নিয়োগ পদ্ধতি, আইনকানুন ও প্রশিক্ষণ ভিন্ন হয়ে থাকে। বিচারক সাধারণত ভরা আদালতে নিরপেক্ষভাবে বিচার কাজ পরিচালনা করে থাকে। বিচারক সকল [[সাক্ষী]]র জবানবন্দী শুনেন এবং ব্যারিস্টারের দাখিলকৃত মোকাদ্দমার প্রমাণাদির সত্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করেন, এবং বাদী-বিবাদী দুই দলের যুক্তি উত্থাপনের পর আইনানুযায়ী সিদ্দান্তসিদ্ধান্ত প্রদান করেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার বিচারকের ক্ষমতা [[জুরি]]দের সাথে বন্টিত হয়। অপরাধের তদন্তের [[বিচার বিভাগীয় তদন্ত পদ্ধতি]]তে বিচারক [[তদন্তকারী ম্যাজিস্ট্রেট]] হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
 
==দাপ্তরিক প্রতীক==
২৫ নং লাইন:
ইতালি ও পর্তুগালে বিচারক এবং উকিল উভয়ই এক ধরনের কালো আলখাল্লা পরিধান করেন।
 
চীনে বিচারকগণ ১৯৮৪ সালের পূর্ব পর্যন্ত প্রাত্যাহিকপ্রাত্যহিক পোশাকই পরিধান করত।করতেন। ১৯৮৪ সালের পর থেকে তারা সামরিক-বাহিনীর উর্দির মত এক ধরনের পোশাক পরিধান করতে শুরু করে। এই ধরনের পোশাক পড়ার মূল কারণ হল তাদের কর্তৃত্ব প্রকাশ করা। ২০০০ সালের মধ্যে এই পোশাক পরিবর্তন করে বিশ্বের বাকি দেশসমূহের সাথে মিল রেখে কালো আলখাল্লা পরিধান করা শুরু করে।
 
ওমানে বিচারকগণ লম্বা ডোরাকাটা ধরনের (লাল, সবুজ, সাদা) পোশাক পরিধান করেন, এবং এটর্নিগণ কালো গাউন পরিধান করেন।
৩১ নং লাইন:
==নাম ও সম্বোধন==
<!---বর্ণানুক্রমিকভাবে মহাদেশসমূহ--->
 
===ইউরোপ===
<!---বর্ণানুক্রমিকভাবে দেশসমূহ--->
;আয়ারল্যান্ড
আয়ারল্যান্ডের সুপ্রীম আদালত ও উচ্চ আদালতে বিচারকদের ''দ্য অনারেবল মিস্টার'', ''দ্য অনারেবল মিসেস'' বা ''দ্য অনারেবল মিস জাস্টিস'', বা সংক্ষেপে ''মিস্টার জাস্টিস'', ''মিসেস জাস্টিস'', বা ''মিস জাস্টিস'' বলে সম্বোধন করা হয় এবং আদালতকে নাম ও ধরনধরণ অনুযায়ী ''দ্য কোর্ট'' বা শুধু ''জজ'' বলে সম্বোধন করা হয়। কিছু ব্যারিস্টার পুরনো ঐতিহ্য অনুসারে ''মাই লর্ড'' নামেও সম্বোধন করতেন, যা ২০০৬ সালের পর থেকে নিষেধ করা হয়। আইনি প্রতিবেধনে [[আয়ারল্যান্ডের প্রধান বিচারপতি]]র নামের পরে ''সিজে'', উচ্চ আদালতের সভাপতি নামের পরে ''পি'' এবং অন্যান্য বিচারকদের নামের পরে ''জে'' যুক্ত করা হয়; যেমন স্মিথ জে.।
 
সার্কিট আদালতের বিচারকদের ''হিজ অনার জজ'' বা ''হার অনার জজ'' নামে ডাকা হয় এবং আদালতে ''জজ'' বলে সম্বোধন করা হয়। ২০০৬ সালের পূর্বে তাদের ''মাই লর্ড'' বলে সম্বোধন করা হত। আইনি প্রতিবেধনে ''জজ'' লেখা হয়।
৫৭ ⟶ ৫৬ নং লাইন:
 
;ফিনল্যান্ড
ফিনল্যান্ডে অধিষ্ঠিত পুরুষ বিচারকদের ''হেরা পুহিনইয়োহতাইয়া'' ("মিস্টার চেয়ারম্যান") এবং অধিষ্ঠিত নারী বিচারকদের ''আর্ভোইসা পুহিনইয়োহতাইয়া'' ("এস্টীমডএস্টিমড্ চেয়ার") বলে সম্বোধন করা হয়। তবে দ্বিতীয় সম্বোধনটি পুরুষ বিচারকদের ক্ষেত্রেও করা যায়, কারণ ফিনীয় শব্দ "পুহিনইয়োহতাইয়া" কোন লিঙ্গ নির্দেশ করে না। ফিনীয় আদালতে কোন আলখাল্লা পরিধান করা হয় না।
 
;ফ্রান্স
৬৬ ⟶ ৬৫ নং লাইন:
 
;যুক্তরাজ্য
'''ইংল্যান্ড ও ওয়েলস''' - [[ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আদালত|ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আদালতের]]-এর সুপ্রীম আদালতের বিচারকদের সুপ্রীম আদালতের বিচারপতি ডাকা হয়। সুপ্রীম আদালতের বিচারপতিদের ''লর্ড'' বা ''লেডি'' বলে সম্বোধন করা হয়।<ref>http://www.supremecourt.uk/docs/pr_1013.pdf</ref> আইনি প্রতিবেদনে, সুপ্রীম আদালতের বিচারপতিদের ''লর্ড/লেডি এন'' বলা হয়, যদিও সাপ্তাহিক আইনি প্রতিবেদনে বিচারকদের নামের পরে ''জেএসসি'' (যেমন, লেডি স্মিথ জেএসসি) লেখা হয়। আদালতের সভাপতি ও উপ সভাপতিকে তাদের নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ''পিএসসি'' এবং ''ডিপিএসসি'' লেখা হয়। শুধুমাত্র অভিজ্ঞ [[ব্যারিস্টার]] বা [[মোক্তার]]গণই সাধারণত বিচারক হতে পারেন।
 
[[উচ্চ আদালত]] ও [[আপীল বিভাগীয় আদালত|আপীল বিভাগীয় আদালতের]]-এর বিচারকদের ''মাই লর্ড'' বা ''মাই লেডি'' অথবা ''ইউর লর্ডশিপ'' বা ''ইউর লেডিশিপ'' বলে সম্বোধন করা হয়। আপীল বিভাগীয় আদালতের বিচারকদের [[লর্ড জাস্টিস অফ আপীল]] বলা হয় এবং তাদের ''লর্ড জাস্টিস এন'' বা ''লেডি জাস্টিস এন'' বলে সম্বোধন করা হয়। লেখার ক্ষেত্রে লর্ড জাস্টিস অফ আপীলদের নামের পরে ''এলজে'' বসে, যেমন স্মিথ এলজে।
'''ইংল্যান্ড ও ওয়েলস''' - [[ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আদালত]]-এর সুপ্রীম আদালতের বিচারকদের সুপ্রীম আদালতের বিচারপতি ডাকা হয়। সুপ্রীম আদালতের বিচারপতিদের ''লর্ড'' বা ''লেডি'' বলে সম্বোধন করা হয়।<ref>http://www.supremecourt.uk/docs/pr_1013.pdf</ref> আইনি প্রতিবেদনে, সুপ্রীম আদালতের বিচারপতিদের ''লর্ড/লেডি এন'' বলা হয়, যদিও সাপ্তাহিক আইনি প্রতিবেদনে বিচারকদের নামের পরে ''জেএসসি'' (যেমন, লেডি স্মিথ জেএসসি) লেখা হয়। আদালতের সভাপতি ও উপ সভাপতিকে তাদের নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ''পিএসসি'' এবং ''ডিপিএসসি'' লেখা হয়। শুধুমাত্র অভিজ্ঞ [[ব্যারিস্টার]] বা [[মোক্তার]]গণই বিচারক হতে পারেন।
 
[[উচ্চ আদালত]] ও [[আপীল বিভাগীয় আদালত]]-এর বিচারকদের ''মাই লর্ড'' বা ''মাই লেডি'' অথবা ''ইউর লর্ডশিপ'' বা ''ইউর লেডিশিপ'' বলে সম্বোধন করা হয়। আপীল বিভাগীয় আদালতের বিচারকদের [[লর্ড জাস্টিস অফ আপীল]] বলা হয় এবং তাদের ''লর্ড জাস্টিস এন'' বা ''লেডি জাস্টিস এন'' বলে সম্বোধন করা হয়। লেখার ক্ষেত্রে লর্ড জাস্টিস অফ আপীলদের নামের পরে ''এলজে'' বসে, যেমন স্মিথ এলজে।
 
যখন উচ্চ আদালতের বিচারকগণ উপস্থিত না থাকেন, তখন তাদের সম্বোধনের জন্য ''মিস্টার/মিসেস/মিস জাস্টিস এন'' ব্যবহার করা হয়। আইনি প্রতিবেদনে তাদের নামের পরে ''জে'' লেখা হয়, যেমন স্মিথ জে। উচ্চ আদালতের প্রধানদের ''মাস্টার'' বলে অভিহিত করা হয়।
৭৭ ⟶ ৭৫ নং লাইন:
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের লে ম্যাজিস্ট্রেটদের এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে ''ইউর ওরশিপ'' বলে সম্বোধন করা হয়, যদিও ইংল্যান্ডের উত্তরাংশে উকিলগণ ''ইউর অনার'' বলেই বেশি সম্বোধন করেন। লে ম্যাজিস্ট্রেটদের ''স্যার/ম্যাডাম'' বলে সম্বোধন করা হয়।
 
'''স্কটল্যান্ড''' - [[স্কটল্যান্ডের আদালত|স্কটল্যান্ডের আদালতে]]-এ আদালত চলাকালীন উচ্চ আদালত ও শেরিফ আদালতে বিচারকদের ''মাই লর্ড'' বা ''মাই লেডি'' এবং ''ইউর লর্ডশিপ'' বা ''ইউর লেডিশিপ'' বলে সম্বোধন করা হয়।
 
শান্তি আদালতের বিচারকদের ''ইউর অনার'' বলে সম্বোধন করা হয়।
 
'''উত্তর আয়ারল্যান্ড''' - [[উত্তর আয়ারল্যান্ড|উত্তর আয়ারল্যান্ডের]]-এর আইনি ব্যবস্থা ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মতই এবং উচ্চ আদালতের বিচারকদের ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মতই সম্বোধন করা হয়। নিম্ন আদালতে কিছু ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।
 
উত্তর আয়ারল্যান্ডের সার্কিট বিচারকের সমমর্যাদার হলে [[কাউন্টি বিচারক]] এবং তাদের ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের সার্কিট বিচারকদের মতই সম্বোধন করা হয়। কাউন্টি আদালতের উর্ধ্বতন বিচারকদের বেলফাস্টে ''রেকর্ডার অফ বেলফাস্ট'' এবং ডেরিতে ''রেকর্ডার অফ লন্ডনডেরি'' বলে হয়, কিন্তু কাউন্টি আদালতের বিচারকদের মতই সম্বোধন করা হয়। কাউন্টি আদালতের অধিষ্ঠিত জেলা বিচারকদের ''ইউর অনার'' বলে সম্বোধন করা হয়।
১১২ ⟶ ১১০ নং লাইন:
[[চিত্র:Miles Ehrlich, judge.jpg|thumb|ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে একজন বিচারক সভাপতিত্ব করছেন।]]
 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যে আদালতে সভাপতিত্ব করা বিচারকদের ''ইউর অনার'' বা ''জজ'' বলে সম্বোধন করা হয়। এটর্নি ও কর্মচারীগণ সাধারণত ''জজ'' বলে সম্বোধন করে, অন্যদিকে বাদী ও বিবাদীরা ''ইউর অনার'' বা ''জজ'' যেকোন নামেই সম্বোধন করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ একত্রিত পরীক্ষণ আদালত [[লস অ্যাঞ্জেলেসের উর্ধ্বতন আদালত|লস অ্যাঞ্জেলেসের উর্ধ্বতন আদালতের]]-এর নিয়মানুযায়ী বিচারকদের শুধুমাত্র ''ইউর অনার'' বলেই সম্বোধন করতে হবে, ''জজ'', ''জজ (নাম)'', ''ম্যাম'' বা ''স্যার'' নয়।<ref>Rule 3.95, Los Angeles Superior Court Rules.</ref> ''জজ'', ''জজ (নাম)'', বা এই ধরনের সম্বোধন অন্য আদালতে সম্বোধনের যোগ্য এবং সম্মানজনক হলেও এই আদালতে তা অস্বাভাবিক।
 
[[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রীম আদালত]] এবং [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য ও অঞ্চলসমূহের তালিকা|যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজ্যের]] [[রাজ্যের সুপ্রীম আদালত|সুপ্রীম আদালতের]] বিচারকদের ''জাস্টিস'' বলে ডাকা হয়। যুক্তরাস্তের সুপ্রীম আদালত ও অন্য আদালতের বিচারপতিদের "জাস্টিস (নাম)" বলে সম্বোধন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতিকে ''মিঃ চীফ জাস্টিস'' বলে সম্বোধন করা হয় কিন্তু মাঝে মাঝে তাকে ''চীফ জাস্টিস (নাম)'' বলেও সম্বোধন করা হয়।
 
সুপ্রীম আদালতের বিচারপতিগণ অন্য বিচারকদের চেয়ে বড় অফিসে বসেন। কিছু বিচারকার্যে পুলিশি আদালতের বিচারক [[জাস্টিস অফ দ্য পীস]] ও ছোট অভিযোগ আদালতও সুপ্রীম আদালতের অন্তর্ভুক্ত থাকে। [[নিউ ইয়র্ক]] রাজ্যে এর উল্টা হয়ে থাকে। এই রাজ্যে প্রাথমিক পরীক্ষণ আদালতকে নিউ ইয়র্কের সুপ্রীম আদালত বলা হয় এবং বিচারকদের ''জাস্টিস'' বলে ডাকা হয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আদালত হল সুপ্রীম আদালতের আপীল বিভাগ। এখানেও বিচারকদের ''জাস্টিস'' বলে ডাকা হয়। যাই হোক, নিউ ইয়র্কের সর্বোচ্চ আদালত হল নিউ ইয়র্ক আপীল আদালত, যার সদস্যদের ''জজ'' বলে ডাকা হয়।
নিউ ইয়র্কের যেসব বিচারক অবিভাবকত্ব, অছি, জমিজমার মোকাদ্দমা চালায় তাদের [[সারোগেট আদালত]] বলা হয়।
 
নিউ ইয়র্কের যেসব বিচারক অবিভাবকত্বঅভিভাবকত্ব, অছি, জমিজমার মোকাদ্দমা চালায় তাদের [[সারোগেট আদালত]] বলা হয়।
মার্কিন রীতিতে একজন উর্ধ্বতন বিচারক অবসরে যাওয়ার পূর্বে তার সকল সরকারী মোকাদ্দমার ভার অন্যদের হাতে ন্যস্ত করে যান। যুক্তরাষ্ট্রের আইনী রীতিতে অধস্তন বিচারকার্যের বিচারকদের [[ম্যাজিস্ট্রেট]] ডাকা হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে তাদের [[যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাজিস্ট্রেট জজ]] বলে ডাকা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আইনী রীতিতে অধস্তন বিচারকদের মোকাদ্দমার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশেষ করে সেই সব মোকাদ্দমায় যেখানে বেশি পরিমাণ তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন, তাদের ''মাস্টার'' বা ''স্পেশাল মাস্টার'' বলে ডাকা হয় এবং মোকাদ্দমার ভিত্তিতে তাদের কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়।
 
মার্কিন রীতিতে একজন উর্ধ্বতন বিচারক অবসরে যাওয়ার পূর্বে তার সকল সরকারীসরকারি মোকাদ্দমার ভার অন্যদের হাতে ন্যস্ত করে যান। যুক্তরাষ্ট্রের আইনী রীতিতে অধস্তন বিচারকার্যের বিচারকদের [[ম্যাজিস্ট্রেট]] ডাকা হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে তাদের [[যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাজিস্ট্রেট জজ]] বলে ডাকা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আইনী রীতিতে অধস্তন বিচারকদের মোকাদ্দমার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশেষ করে সেই সব মোকাদ্দমায় যেখানে বেশি পরিমাণ তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন, তাদের ''মাস্টার'' বা ''স্পেশাল মাস্টার'' বলে ডাকা হয় এবং মোকাদ্দমার ভিত্তিতে তাদের কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়।
 
বিশেষ বিচারকার্যের আদালত, যেমন - [[দেউলিয়া আদালত]] বা [[কিশোর অপরাধ আদালত]], এর বিচারকদের [[রেফারি]] বলা হত, কিন্তু বর্তমানে এই নামে সম্বোধন করা হয় না। [[সাধারণ আইন]] ব্যবস্থায় নিরপেক্ষ আদালতে অধিষ্ঠিত বিচারকদের ([[ডেলাওয়্যার]]) [[চ্যান্সেলর]] ডাকা হয়।
১৪৭ ⟶ ১৪৬ নং লাইন:
[[চিত্র:The Native Judges.jpg|thumb|১৭৫৮ সালের চিত্রকর্ম থেকে নেয়া, বাম থেকে ডানে, উপরে: ১. অনুবাদক, রোওয়াঙ্গী সেওয়াগী। ২. হিন্দু আইনের বিচারক, আন্তবা ক্রুস্তনাগী পণ্ডিত। ৩. হিন্দু অফিসার, লেলাথাত চাট্টা ভুট্ট। বাম থেকে ডানে, নীচে: ৪. মুরেম্যানের অফিসার, মাহমুদ আকরাম। ৫. মুসলিম আইনের বিচারক, কাজী হুসন। ৬. হাবিলদার, মাহমুদ ইসমাইল।]]
 
ভারতে সুপ্রীম কোর্টের বিচারক ও উচ্চ আদালতের বিচারকদের ব্রিটিশ শাসনামলের ঐতিহ্য অনুযায়ী ''ইউর লর্ডশিপ'' বা ''মাই লর্ড'' এবং ''ইউর লেডিশিপ'' বা ''মাই লেডি'' নামে সম্বোধন করা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |url=http://timesofindia.indiatimes.com/india/Calling-judges-lord-lordship-your-honour-not-mandatory-Supreme-Court/articleshow/28479376.cms |title=Calling judges lord, lordship, your honour not mandatory: Supreme Court|work=দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া |location=চেন্নাই|publisher=দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া|date=৬ জানুয়ারি, ২০১৪ |deadurl=no |archiveurl=http://web.archive.org/web/http://timesofindia.indiatimes.com/india/Calling-judges-lord-lordship-your-honour-not-mandatory-Supreme-Court/articleshow/28479376.cms |archivedate=৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ |accessdate=৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ }}</ref> ২০০৬ সালের এপ্রিলে [[ভারতের বার কাউন্সিল]] কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট অ্যাক্টের ৪৯ (১) (ঞ) অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়। এই ধারা অনুযায়ী উকিলগণ বিচারকদের ''ইউর অনার'' এবং আদালতকে ''মহামান্য আদালত'' বলে সম্বোধন করতে পারেন। যদি তা উপ আদালত হয় তাবে উকিলগণ ''জনাব'' বা আঞ্চলিক যে কোন সম্বোধনে ডাকতে পারেন। এই বিষয় সম্পর্কে বার কাউন্সিল ''মাই লর্ড'' ও ''ইউর লর্ডশিপ'' "উপনিবেশিক অতীতের ধ্বংসাবশেষ" বলে উল্লেখ করেন। এই সিদ্দান্তসিদ্ধান্ত সকল রাজ্যের কাউন্সিল ও সুপ্রীম আদালতে প্রেরণ করা হয়।
 
২০০৯ সালের অক্টোবরে অভূতপূর্ব ব্যাপার ছিল, মাদ্রাজের উচ্চ আদালতের একজন বিচারক, বিচারপতি কে চান্দ্রু তার আদালতে ''মাই লর্ড'' ও ''মাইইওর লর্ডশিপ'' সম্বোধন করায় একজন উকিলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|last=Subramani |first=A |url=http://timesofindia.indiatimes.com/city/chennai/HC-judge-bars-My-Lord-from-his-court/articleshow/5132818.cms |title=HC judge bars My Lord' from his court|work=দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া |location=চেন্নাই|publisher=দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া|date=১৭ অক্টোবর, ২০০৯ |deadurl=no |archiveurl=http://web.archive.org/web/http://timesofindia.indiatimes.com/city/chennai/HC-judge-bars-My-Lord-from-his-court/articleshow/5132818.cms |archivedate=৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ |accessdate=৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ }}</ref>
 
;মালয়েশিয়া