পদার্থবিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Kmmrf-এর করা 2349280 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। (টুইং)
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
লেওনার্ড অয়লার বানান সংশোধন
৭ নং লাইন:
 
[[জড়পদার্থ|জড়পদার্থের]] ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞানদায়ক বিদ্যা বা শাস্ত্র হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান গবেষণার সাথে জড়িত ব্যক্তি [[পদার্থবিজ্ঞানী|পদার্থবিজ্ঞানী-রূপে]] পরিচিত। পদার্থবিজ্ঞানীরা আমাদের চারপাশের বস্তুজগৎ কি আচরণ করে আর কেনই বা সেইসব আচরণ করে, তা বোঝার চেষ্টা করেন। তাঁরা এ উদ্দেশ্যে অনুকল্প প্রস্তাব করেন, এবং সেগুলি বাস্তবে পর্যবেক্ষণসম্ভব উপাত্তের সাথে মিলিয়ে দেখেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকে পদার্থবিজ্ঞান [[রসায়ন]] ও [[জীববিজ্ঞান|জীববিজ্ঞানের]] সাথে সম্পর্কিত। আবার শাস্ত্রটি [[দর্শন]] ও [[গণিত|গণিতের]] সাথেও সম্পর্কিত। উল্লিখিত সমস্ত শাস্ত্রগুলির পারস্পরিক সম্পর্ক ও নির্ভরশীলতা সুসংজ্ঞায়িত নয়, বরং জটিল। প্রকৃতিকে ভালভাবে বিশ্লেষণ করার জন্য এ সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান এই তিনটি প্রধান বিজ্ঞানে ভাগ করে নেয়া হয়েছে। রসায়নে [[মৌলিক পদার্থ|মৌলিক]] ও [[যৌগিক পদার্থ]] আলোচিত হয়, জীববিজ্ঞানে [[জীবন]] ও জীবিত বস্তুসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়, আর বাকী সব কিছু আলোচনা করা হয় পদার্থবিজ্ঞানে। দর্শন ও গণিতের সাথে পদার্থবিজ্ঞানের সম্পর্ক আরও জটিল। আধুনিক বিজ্ঞান হিসেবে জন্মলাভের আগ পর্যন্ত পদার্থবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু [[দর্শন|দর্শনশাস্ত্রে]] আলোচিত হত এবং বর্তমান দর্শনের নানা শাখায় অধীত বিষয়সমূহ পদার্থবিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতে ব্যাখ্যা করার ইচ্ছা রাখেন (যেমন - [[অস্তিত্ব|অস্তিত্বের]] মত [[অধিবিদ্যা|অধিবিদ্যামূলক]] ধারণাসমূহ), যদিও তা সম্ভব না-ও হতে পারে। পদার্থবিজ্ঞানের ধারণা ও [[তত্ত্ব|তত্ত্বগুলি]] প্রায় সার্বজনীনভাবে গাণিতিক [[সমীকরণ|সমীকরণের]] সাহায্যে প্রকাশ করা হয়। তাই গণিতকে প্রায়ই পদার্থবিজ্ঞানের ভাষা বলে অভিহিত করা হয়।<ref>"Philosophy is written in that great book which ever lies before our eyes. I mean the universe, but we cannot understand it if we do not first learn the language and grasp the symbols in which it is written. This book is written in the mathematical language, and the symbols are triangles, circles and other geometrical figures, without whose help it is humanly impossible to comprehend a single word of it, and without which one wanders in vain through a dark labyrinth." -- [[গ্যালিলিও]] (১৬২৩), ''[[The Assayer]]'', G. Toraldo Di Francia (1976), ''The Investigation of the Physical World'' ISBN 0-521-29925-X p.10-এ উদ্ধৃত।
</ref> আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে উপরের সবগুলি শাস্ত্রের মধ্যে গণিতের সাথেই পদার্থবিজ্ঞানের সম্পর্ক সবচেয়ে নিবিড়। পদার্থবিজ্ঞান গণিতের কিছু শাখার উন্নয়নে সরাসরি সহায়তা করেছে, যেমন - [[ভেক্টর বিশ্লেষণ]]। আবার বিজ্ঞানের ইতিহাসে এরকম অনেক ব্যক্তি আছেন যারা গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান উভয়ক্ষেত্রেই পারদর্শী ছিলেন, যেমন - [[আইজাক নিউটন|নিউটন]], [[লিওনার্ডলেওনার্ড অয়লার|অয়লার]], [[কার্ল ফ্রিড্‌রিশ গাউস|গাউস]], [[অঁরি পোয়াঁকারে|পোয়াঁকারে]] প্রমুখ। পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতের আন্তঃসম্পর্ক পদার্থবিজ্ঞানকে [[তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান]] ও [[পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞান]] নামের দুইটি প্রধান শাখায় ভাগ করেছে।
 
[[তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান]] এবং এর সংশ্লিষ্ট শাস্ত্র [[গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান|গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানে]] সাধারণত [[অনুকল্প|অনুকল্পসমূহ]] প্রস্তাব করা হয়, আর [[পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞান|পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞানে]] এই অনুকল্পগুলিকে প্রকৃতির সাথে পরীক্ষা করে দেখা হয়। এই দুই শাখা একে-অপরের পরিপূরক: তত্ত্বসমূহ পরীক্ষা করা হয় ও পরীক্ষাশেষে উন্নততর [[তত্ত্ব]] প্রস্তাব করা হয়, যেগুলো আবার পরীক্ষা করা হয় এবং এভাবেই ক্রমশ চলতে থাকে। পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা মূলত [[শিক্ষা প্রতিষ্ঠান]] বা পেশাদারী [[পরীক্ষাগার|পরীক্ষাগারে]] সম্পন্ন করা হয় এবং আধুনিক যুগে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গবেষণা হয় না বললেই চলে। তাত্ত্বিক কাজকর্ম মূলত ব্যক্তিগত হলেও তা অন্যান্য পদার্থবিজ্ঞানীদের সাথে আলোচনা ও সহযোগিতার ভিত্তিতেই ঘটে।<ref>অতীতেও পদার্থবিজ্ঞানীরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখতেন। এপ্রসঙ্গে নিউটন ও [[রবার্ট হুক]] এবং [[আলবার্ট আইনস্টাইন|আইনস্টাইন]] ও [[নিল্‌স বোর|বোরের]] মধ্যকার পত্র-যোগাযোগ স্মরণীয়।</ref> বর্তমান আধুনিক যুগে পদার্থবিজ্ঞানীরা সাধারণত পদার্থবিজ্ঞানের যে-কোন একটি বিশেষ ক্ষেত্রের উপর দক্ষতা অর্জন করেন, যা অতীতের পদার্থবিজ্ঞানীদের কর্মপন্থার বিপরীত।<ref>উদাহরণস্বরূপ নিউটন [[আলোকবিজ্ঞান]], [[বলবিজ্ঞান]] এবং [[অভিকর্ষ|অভিকর্ষের]] উপর অবদান রাখেন; অয়লার এবং গাউস পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখেন।</ref> অন্যদিকে নিউটন, অয়লার বা গাউসের মত পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন আলাদা শাখার প্রতিটিতে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন, এরকম আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।