কুন্তী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
Suvray ব্যবহারকারী কুন্তি পাতাটিকে কুন্তী শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন: আলাপ:পঞ্চকন্যা অনুযায...
Suvray (আলোচনা | অবদান)
পরিমার্জন
২ নং লাইন:
| image = Raja Pandu and Matakunti LACMA M.69.13.6.jpg
| Image_size = 200px
| caption = স্বামী [[পান্ডুপাণ্ডু|পান্ডুরপাণ্ডুর]] সাথে কুন্তিকুন্তী
| parents = {{longitem|style=white-space:nowrap; |[[শূরসেন]] {{smaller|(জন্মদাতা পিতা)}}<br/> [[কুন্তিকুন্তী-ভোজ]] {{smaller|(পালক পিতা)}}}}
| children = [[কর্ণ]], [[যুধিষ্ঠির]], [[ভীম]], [[অর্জুন]]
| name = কুন্তিকুন্তী
| spouse =পান্ডুপাণ্ডু
}}
 
হিন্দু পুরাণে '''কুন্তিকুন্তী''' ({{lang-sa|कुंती}} Kuṃtī) ছিলেন মথুরার যাদব বংশীয়যাদববংশীয় রাজা শূরসেনের কন্যা,<ref>[http://gyanpedia.in/Portals/0/Toys%20from%20Trash/Resources/books/yuganta.pdf Studies of ''Mahabharata'']</ref>, বাসুদেবের বোন, রাজা কুন্তী-ভোজের পালিতা কন্যা<ref>[http://www.mythfolklore.net/india/encyclopedia/kunti.htm KUNTI (also called Pritha and Parshni)]</ref> ও হস্তিনাপুরের রাজা পান্ডুরপাণ্ডুর স্ত্রী<ref>''A classical dictionary of Hindu mythology and religion, geography, history, and literature'' by Dowson, John (1820-1881)</ref> ছিলেন। অঙ্গরাজ কর্ণ, ইন্দ্রপ্রস্থের অধিপতি যুধিষ্ঠির, ভীম এবং অর্জুন তাঁর পুত্রপুত্র।<ref>''[[Mahabharata]]''</ref> কুন্তীর প্রকৃত নাম পৃথ্বা। প্রাচীন ভারতের অন্যতম মহাকাব্য মহাভারতের একটি প্রধান চরিত্র কুন্তী। ভগবত পুরাণে তাঁর কাহিনী বর্ণত আছে। এখানে তিনি ভাগ্নে কৃষ্ণের প্রতি ভক্তির যে দর্শন ব্যক্ত করেছেন তা ভক্তিযোগ নামে পরিচিত।
। কুন্তির প্রকৃত নাম পৃথা। প্রাচীন ভারতের অন্যতম মহাকাব্য মহাভারতের একটি প্রধান চরিত্র কুন্তি। তার কাহিনী বর্নিত আছে ভগবত পুরানে। এখানে তিনি ভাগ্নে কৃষ্ণের প্রতি ভক্তির যে দর্শন ব্যক্ত করেছেন তা ভক্তিযোগ নামে পরিচিত।
 
== উপাখ্যান ==
কুন্তিরকুন্তীর পাঁচ ছেলে: যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব পঞ্চপান্ডবপঞ্চপাণ্ডব নামে পরিচিত। জমজযমজ সহোদর নকুল ও সহদেব তার সতিনসতীন মাদ্রীর গর্ভে জন্মালেও কুন্তিকুন্তী তাদেরতাঁদের আপনপুত্রর চাইতেও অধিক স্নেহ করতেন। এছাড়া সূর্যদেবের ঔরসে কুন্তিরকুন্তীর গর্ভে অঙ্গরাজ কর্ণের জন্ম হয়।
 
কুন্তিকুন্তী যখন কুমারী ছিলেন তখন তারতাঁর গৃহে দুর্বাসা মুনি অতিথি হয়ে এলে কুন্তিকুন্তী তাকেতাঁকে সেবা দ্বারা সন্তুষ্ট করেন। এতে খুশি হয়ে দুর্বাসা মুনি তাকেতাঁকে এক অদ্ভুত বর দেন। বর টাবরটা ছিলো এমন, কুন্তিকুন্তী কোন দেবতাকে স্মরণ করলে সেই দেবতা এসে কুন্তিকেকুন্তীকে যৌনসঙ্গম দ্বারা পরিতৃপ্ত করে পুত্রসন্তান দান করবে। বর পেয়ে কৌতূহলী কুন্তিকুন্তী কুমারী অবস্থায়ই সূর্যদেবকে কামনা করে বসেন এবং সূর্যদেবের সাথে মিলনে তিনি গর্ভবতী হয়ে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তবে অবিবাহিত অবস্থায় সন্তান প্রসব করায় লোক লজ্জারলোকলজ্জার ভয়ে তাকেতাঁকে যমুনার পানিতে ভাসিয়ে দেয়া দেন। এই পুত্রই মহাভারতে কর্ণ নামে পরিচিত। কথিত আছে, "কুন্তি" নামের অর্থ "সূর্যদেবের প্রেমিকা"।
 
পরবর্তীতে কুন্তিকুন্তী-ভোজ কুন্তিরকুন্তীর জন্য স্বয়ংবরার আয়োজন করলে কুন্তিকুন্তী পাণ্ডুর গলায় মালা পরান। পাণ্ডুর আরেক স্ত্রী ছিলো, মাদ্রী। একদিন পাণ্ডু মাদ্রী ও কুন্তিকেকুন্তীকে নিয়ে হিমালয়ের দক্ষিণে বেরিয়ে পরেন। সেখানে এক মুনি, যার নাম কিমিন্দম, হরিণের রূপ ধরে এক হরিণীর সাথে সঙ্গমরত ছিলেন। পাণ্ডু না বুঝে হরিণ-হরিণী দুটোকে হত্যা করেন, মৃত্যুর আগে কিমিন্দম পাণ্ডুকে এক শাপ দ্যানদেন যে, পাণ্ডু যদি কোন নারীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয় তবে তারতাঁর মৃত্যু ঘটবে। এই ঘটনার পর পাণ্ডু যেদিন কুন্তির সাথে সঙ্গম করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সেদিন কুন্তিকুন্তী দুর্বাসা মুনির বরের কথা বললে পাণ্ডু তিনজন দেবতাকে কামনা করতে বলেন। কুন্তিকুন্তী দেবতা ধর্মকে আহবানআহ্বান করলে তারতাঁর সাথে মিলনে যুধিষ্ঠিরের জন্ম হয়, বায়ুর সাথে মিলনে ভীম ও ইন্দ্রের সাথে মিলনে অর্জুনের জন্ম হয়।
 
সতীন মাদ্রী এই বিশেষ মন্ত্র কুন্তির কাছ থেকে জেনে অশ্বিনীকে কামনা করেন, জন্ম হয় দুই পুত্রের-সহদেব ও নকুল। পাণ্ডুর দুই স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেয়া যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব, এই পাঁচ পুত্র হলো পঞ্চপান্ডব।পঞ্চপাণ্ডব। এরপর একদিন অত্যন্ত কামার্ত অবস্থায় পাণ্ডু মাদ্রীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হলে কিমিন্দম মুনির শাপে পাণ্ডুর মৃত্যু হয়। তবে পান্ডুরপাণ্ডুর মৃত্যুর পর কুন্তিকুন্তী সহমরণে যান নিযাননি, কিন্তু তাঁর সপত্নী মাদ্রী সতী হন। কুন্তিরকুন্তীর নির্দেশে ভীম হিড়িম্ব রাক্ষসকে হত্যা করে রাক্ষসী হিড়িম্বাকে বিবাহ করেন এবং ঘটোৎকচের জন্ম হয়। তিনি নিজ পুত্রদের সর্বদা প্রজাদের মঙ্গলসাধনের উপদেশ দিতেন। কুন্তিরকুন্তীর আদেশে ভীম বকাসুর বধ করেন। শেষ জীবনে তিনি ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর সঙ্গে তপোবনে দিন কাটাতে থাকেন। একদিন তপোবনের এক ভয়াবহ দাবানলে ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর সাথে তিনিও মৃত্যু বরণমৃত্যুবরণ করেন।
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
<references/>
 
{{মহাভারত}}