মাস্টারদা সূর্য সেন ও তিনি দদুজনেইদুজনেই চট্টগামের নোয়াপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। তারা ছিলেন পরস্পরের সমবয়েসী বন্ধু। বুড়ুল হাইস্কুলে শিক্ষকতাকালীন নানা সামাজিক কাজে নিজেকে ও ছাত্রদের জড়িয়ে রাখতেন। ছাত্র ছাত্রীদের কাছে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=গল্প নয়, সত্যি|last=বহ্ণিহোত্রী হাজরা|first=|publisher=সরেজমিনে, ২বর্ষ|year=২০১৭|isbn=|location=হাওড়া|pages=২৭}}</ref>
== বিপ্লবী কর্মকান্ড ==
[[১৯১৮]] সনে যে পাঁচজনকে নিয়ে চট্টগ্রাম বিপ্লবী দলের কেন্দ্র গঠিত হয় তিনি তাঁর অন্যতম ছিলেন। যদিও তিনি অন্তরালেই থেকে গেছেন ভারতের বৈপ্লবিক আন্দোলনের ইতিহাসে। অপর চারজন হচ্ছেন [[সূর্য সেন]], নগেন সেন (জুলু), [[অম্বিকা চক্রবর্তী]] ও চারু বিকাশ দত্ত। চট্টগ্রাম বিপ্লবীদের গোপন সংবিধান তাঁরই রচিত। প্রথমে [[অসহযোগ আন্দোলন|অসহযোগ আন্দোলনে]] অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। ১৯২২ সালে দলের নির্দেশে [[২৪ পরগণা|চব্বিশ পরগনা জেলার]] বুড়ুল হাই স্কুলে শিক্ষকতার কাজ নিয়ে এসে সেখানে সমাজসংস্কারমূলক কাজের সঙ্গে সঙ্গে বিপ্লবীদের এক ঘাঁটি তৈরি করেন। দক্ষিণেশ্বর বোমা মামলায় ১৯ ডিসেম্বর ১৯২৬ তারিখে গ্রেপ্তার হন বুড়ুল থেকেই। ময়নাগুড়িতে অন্তরীণ থাকাকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে [[কাশী|কাশীতে]] পাঠানো হয়। সেখানে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় [[শ্রীরামকৃষ্ণ]] অনাথ আশ্রমে মারা যান।<ref name="সংসদ">সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ২৪-২৫, ISBN 978-81-7955-135-6</ref><ref name="ত্রৈলোক্যনাথ">[[ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী]], ''জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম'', ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গণ, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৯৭।</ref>