চীনের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
FerdousBot (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন, replaced: দক্ষিন → দক্ষিণ (7)
FerdousBot (আলোচনা | অবদান)
বানান, replaced: কারন → কারণ (8)
১ নং লাইন:
[[File:Territories of Dynasties in China.gif|thumb|300px|চীনের ইতিহাসে বিভিন্ন রাজবংশ কর্তৃক শাসিত অঞ্চলসমূহের একটি আনুমানিক মানচিত্র]]
{{চীনের ইতিহাস}}
খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সাল থেকে চীনের [[শাং সাম্রাজ্য|শাং সাম্রাজ্যের]] (১৬০০ থেকে ১০৪৬ খ্রিস্টপূর্ব) <ref name="state1">{{cite web|url=http://exchanges.state.gov/culprop/cn04sum.html|archiveurl=https://web.archive.org/web/20071215094418/http://exchanges.state.gov/culprop/cn04sum.html|archivedate=15 December 2007|title=Public Summary Request Of The People's Republic Of China To The Government Of The United States Of America Under Article 9 Of The 1970 Unesco Convention|publisher=Bureau of Educational and Cultural Affairs, U.S. State Department|accessdate=12 January 2008}}{{Dead link|url=http://exchanges.state.gov/culprop/cn04sum.html|date=December 2008|language=ইংরেজি|trans-title=}}</ref> আমলে লিখিত ও প্রামান্য ইতিহাস পাওয়া যায়।<ref name="William">William G. Boltz, Early Chinese Writing, World Archaeology, Vol. 17, No. 3, Early Writing Systems. (Feb., 1986), pp. 420–436 (436).</ref><ref>David N. Keightley, "Art, Ancestors, and the Origins of Writing in China", ''Representations'', No. 56, Special Issue: The New Erudition. (Autumn, 1996), pp.68–95 (68).</ref> প্রাচীন ইতিহাস গ্রন্থ যেমন ‘রেকর্ড অব গ্রান্ড হিস্টোরিয়ান’ (১০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে) এবং ‘বাম্বু এ্যানালস’ এ [[সিয়া সাম্রাজ্য]] এর উল্লেখ পাওয়া যায়। সে সময় থেকে শাং সাম্রাজ্যের আমল পর্যন্ত লিখিত কোন দলিল দীর্ঘদিন সংরক্ষন করার কোন উপায় চীনাদের জানা ছিল না।<ref name="state1"/><ref name="The Ancient Dynasties">{{cite web|url=http://www-chaos.umd.edu/history/ancient1.html|title=The Ancient Dynasties|publisher=University of Maryland|accessdate=12 January 2008|language=ইংরেজি|trans-title=}}</ref> [[হুয়াংহো]] নদীকে চৈনিক সভ্যতার সুতিকাগার বলা হয়। হাজার হাজার বছর ধরে হুয়াংহো ও ইয়াংজি নদীর অববাহিকায় গড়ে ওঠা অনেক আঞ্চলিক সংস্কৃতি চীনের সভ্যতাকে বিভিন্নভাবে সমৃদ্ধ করেছে। এ কয়েক হাজার বছরের ধারাবাহিক ইতিহাসে [[চীন|চৈনিক]] সভ্যতা পৃথিবীর আদিম [[সভ্যতা|সভ্যতাগুলোর]] মধ্যে অন্যতম।<ref>{{cite news|url=http://news.bbc.co.uk/2/hi/africa/country_profiles/1287798.stm |title=China country profile |publisher=BBC News |date=18 October 2010 |accessdate=7 November 2010|language=ইংরেজি|trans-title=}}</ref> এই কারনেকারণে চৈনিক সভ্যতাকে মানব সভ্যতার অন্যতম সুতিকাগার বলা হয়।<ref>''Cradles of Civilization-China: Ancient Culture, Modern Land'', Robert E. Murowchick, gen. ed. Norman: University of Oklahoma Press, 1994</ref>
 
ঝউ রাজবংশের (১০৪৬ থেকে ২৫৬ খ্রিস্টপূর্ব) আমলে চীনের সংস্কৃতি, সাহিত্য ও দর্শনের প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতাব্দী থেকে ঝউ শাসকরা নানা রকম অভ্যন্তরিন ও বাইরের চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে শুরু করে এবং এক সময় বিভিন্ন ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা ’শরৎ’ ও ‘বসন্ত‘ পর্যায় (Spring and Autumn period) থেকে শুরু হয় এবং ‘আন্তঃরাজ্য যুদ্ধাবস্থা’ (Warring States period) এর সময়ে পূর্নরূপ লাভ করে। এই সময়কালটি ছিল চীনের ইতিহাসের অন্যতম ’ব্যর্থ রাষ্ট্রীয় শাসনামল’। এই ব্যর্থ রাষ্ট্রীয় শাসনামলের সর্বশেষ সময়টি ছিল ১৯২৭ সালে [[চীনের গৃহযুদ্ধ|চীনের গৃহযুদ্ধের]] সময়।
৬৭ নং লাইন:
===পশ্চিম হান===
লিউ বাং হান বংশ প্রতিষ্ঠা করেন। একগৃহযুদ্ধে স্বল্পস্থায়ী কিন বংশের পতন হয়। হান শাসনামল ছিল চীনের ইতিহাসের স্বর্ণযুগ। হান শাসকরা রাজনৈতিক স্থায়ীত্ব ও উন্নতির পাশাপাশি পরবর্তি দুই সহস্রাব্দের জন্য চৈনিক সম্রাজ্যকে একটি কঠিন ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস পান। এই শাসনামলে চৈনিক সম্রাজ্য ’মূল চীন’ (China proper বা চীনের ১৮ প্রদেশ) পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পশ্চিমের ভূখন্ডও চৈনিক সম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
কনফুশিয় মতবাদ সরকারিভাবে মৌলভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মতবাদ চৈনিক সভ্যতার সঠিক রূপায়নে অবদান রাখে। এই শাসনামলে কলা, সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়। হান সম্রাজ্যের গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের কারনেকারণে সমগ্র চীন জাতির মানুষ একসময় ‘‘হান” হিসাবে পরিচত ছিল। এই হান জাতি বর্তমান চীনের সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগোষ্ঠী।
 
===সিন সাম্রাজ্য ===
৭৯ নং লাইন:
 
===রাজ্যত্রয় (২২০ থেকে ২৮০ খ্রিস্টাব্দ)===
খ্রীস্টিয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে ভূমি দখল, বিহঃশত্রুর আক্রমণ এবং বিভিন্ন গোত্র ও [[খোজা|খোজাদের]] মধ্যে দ্বন্দ্ব বিবাদের কারনেকারণে চৈনিক সম্রাজ্যের পতন শুরু হয়। ১৮৪ সালে ‘[[হলুদ পাগড়ি বিদ্রোহ]]’ দেখা দেয়, সেই সাথে সূচনা হয় যুদ্ধবাজ নেতাদের যুগ। এসব হাঙ্গামার সময়, তিনটি সম্রাজ্য তাদের আধিপত্য বিস্তারে সচেষ্ট ছিল। এই সময়টি চৈনিক ইতিহাসে রাজ্যত্রয় (Three Kingdoms) হিসাবে পরিচিত। ‘[[রোমান্স অব দ্যা থ্রি কিংডমস]]’ সাহিত্যকর্মে এসময়কার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
 
চাও কাও ২০৮ সালে চীনের উত্তর অংশ পুনঃএকত্রিকরন করেন। পরবর্তীতে তার পুত্র ২২০ সালে উই বংশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। উই এর প্রতিদ্বন্দ্বি শু এবং উ বংশ তাদের স্বাধীতা ঘোষনা করে। ফলস্রুতিতে চীন তিনটি স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে কিন ও হান শাসনামলের কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থা ধীরে ধীরে ভেঙে পরে। এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা কিছু বৃহৎ পরিবারের হাতে চলে আসে।
১২৫ নং লাইন:
ভিনদেশী আতঙ্ক বা জেনোফোবিয়া অথবা নব্য-কনফুসিয়াসম ধারনার ব্যাপক প্রচলন সত্যেও মিং শাসিত চীন বহিঃবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল না। বৈদেশিক বাণিজ্য ও অন্যান্য যোগাযোগ বিশেষ করে জাপানের সাথে জোড়াল কূটনৈতিক ও বানিজ্যিক যোগাযোগ ছিল। চৈনিক বনিকরা ভারত মহাসাগরে অনুসন্ধান পরিচালনা করে, চৈনিক পর্যটক জেং হি পূর্ব আফ্রিকার উপকূলে পৌছান।
 
মিং বংশের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট হংওউ বানিজ্যের চেয়ে কৃষির উপর কর আরোপে বেশী উৎসাহি ছিলেন। সম্ভাব্য কারনকারণ ছিল এই যে এ রাজবংশের পূর্বপুরুষরা কৃষক ছিলেন। পূর্বতন সং ও মঙ্গোলিয়ান শাসকদের মতো তাদের কর ব্যবস্থা বানিজ্য নির্ভর ছিল না। মিং শাসকরা তাদের পূর্বসূরী সং ও মঙ্গলদের নব্য-সামান্ত ব্যবস্থার আমলের ভূ-স্বামীদের কাছ থেকে ভূমি বাজেয়াপ্ত করেন। সকল ভূমি এস্টেট গুলো জব্দ করা হয় এবং প্রকৃত কৃষকদেরকে লীজ প্রদান করা হয়। ব্যক্তিগত দাসপ্রথা রোহিত করা হয়। ফলশ্রুতিতে চীনে স্বাধীন কৃষকশ্রেণীর আবির্ভাব হয়। মিং শসকদের এসকল কর্মকান্ডের ফলে কৃষি নির্ভর চীন সমাজে ধীরে ধীরে দারিদ্র কমতে থাকে।
 
মিং শাসকরা একটি দৃঢ় এবং জটিল কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। ক্রমেই মিং শাসকরা একচ্ছত্র স্বৈরশাসকে পরিনত হয়।
১৩১ নং লাইন:
=== কিং সাম্রাজ্য (১৬৪৪ থেকে ১৯১১)===
[[File:Museum für Ostasiatische Kunst Dahlem Berlin Mai 2006 041.jpg|left|thumb|কিং আমলের তীর্থযাত্রীদের ফ্লাস্ক। সময়কাল ১৮ শতাব্দী]]
কিং রাজবংশ চীনের ইতিহাসের সর্বশেষ রাজবংশ। মাঞ্চুসরা এই বংশ প্রতিষ্ঠা করে। অ-হান চৈনিক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দ্বিতীয় রাজবংশ যারা সমগ্র চীন শাসন করেছিল। মাঞ্চুরা পূর্বে Jurchens নামে পরিচিত ছিল। যারা উত্তর পশ্চিম চীনে মিং শাসিত এলাকার বাইরে মহাপ্রাচীরের অপর প্রান্তে বসবাস করত। মিং বংশের শেষ শাসকদের নিকট তারা একসময় বড় রকম হুমকি ছিল। বিশেষ করে [[নুরচাই]] যথন সকল জুরচেন উপজাতিদেরকে সংঘবদ্ধ করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। যদিও, শেষ মং সম্রাট চংজেন, এক কৃষক বিদ্রোহের ১৬৪৪ সালে সিংহাসনচ্যুত হবার পর আত্মহত্যা করেন। মাঞ্চুরা একজন প্রাক্তন মিং সেনাপতির সাথে সন্ধিবদ্ধ হয়ে চীন আক্রমণ করেন। প্রথমে বেইজিং দখল করে রাজধানী হিসাবে ঘোষনা করেন। পরে ধীরে ধীরে দক্ষিণের এলাকাগুলো দখল করেন। মাঞ্চু শাসনামলে প্রচুর প্রানহানি ঘটে এবং চীনের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়। সর্বমোট ২৫ মিলিয়ন মানুষ প্রান হারান।<ref>John M. Roberts (1997). ''[https://books.google.com/books?id=3QZXvUhGwhAC A Short History of the World]''. Oxford University Press. p. 272. ISBN 0-19-511504-X.</ref> যাইহোক, মাঞ্চুসরা ঐতিহ্যগত চীনা সরকারের কনফুশিয়ানর নিয়ম গ্রহণ করে। একারনেএকারণে তাদের চীনা রাজবংশ হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
 
মাঞ্চুরা ‘বেনী আদেশ’ বলে সকল হান-চৈনিকদের চুলে বেনী বাঁধতে বাধ্য করে। সকল সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঞ্চুদের প্রথাগত পোশাক পরিধান করার আদেশ দেয়া হয়। যদিও সাধারণ হান বংশদ্ভুত চীনারা তাদের পছন্দমতো পোশাক পরিধান করতে পারত।
১৪০ নং লাইন:
এসময়ে চীন [[তাইপিং বিদ্রোহ]] (১৮৫১-১৮৬৪) দখা দেয়। আপাতদৃষ্টে একটি খ্রীস্টান ধর্মালম্বীদের বিদ্রোহ যারা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এক-তৃতীয়াংশ চৈনিক ভূমি শাসন করত। ১৮৬৪ সালে [[তৃতীয় নানকিং যুদ্ধ|তৃতীয় নানকিং যুদ্ধে]] তারা পরাজিত ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সৈন্যবাহিনীর সংখ্যা বিবেচনায় এটি ছিল ১৯ শতকের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। এ যুদ্ধে ২০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়।<ref>{{cite web | first=Matthew | last=White |url = http://necrometrics.com/wars19c.htm | title = Statistics of Wars, Oppressions and Atrocities of the Nineteenth Century |accessdate=11 April 2007}}</ref> এসময়ে বেশ কিছু ধারাবাহিক বেসামরিক অষোন্তষ দেখা যায়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, [[পুন্টি-হাক্কার যুদ্ধ]], [[নিয়ান বিদ্রোহ]], [[দুঙ্গা বিদ্রোহ]] (১৮৬২-১৮৭৭) এবং [[প্যান্থে বিদ্রোহ]]<ref>{{cite book | first=Damsan |last=Harper | first2=Steve |last2=Fallon |first3=Katja |last3=Gaskell |first4=Julie |last4=Grundvig |first5= Carolyn |last5=Heller | first6=Thomas |last6=Huhti |first7=Bradley |last7=Maynew |first8=Christopher | last8=Pitts | title=Lonely Planet China | edition=9 | year=2005 | ISBN=1-74059-687-0}}</ref>
 
এসব বিদ্রোহ সফলভাবে দমন করা হলেও, তার জন্য প্রচুর মূল্য দিতে হয়েছিল। হতাহতের সংখ্যা ছিল প্রচুর। এসব কারনেকারণে কেন্দ্রিয় রাজকীয় কর্তৃপক্ষ দূর্বল হয়ে পড়ে।
 
==চীন প্রজাতন্ত্র চীন==
১৪৬ নং লাইন:
[[File:Sunyatsen1.jpg|thumb|upright|[[সান ইয়াত-সেন]], চীন প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি]]
[[File:Puyi (1922).jpg|thumb|left|সর্বশেষ চৈনিক [[সম্রাট পুয়েই]] ১৯২২ সালের ছবি]]
কিং রাজদরবারের দূর্বলতার কারনেকারণে তরুন রাজকীয় সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এবং ছাত্রসমাজ সম্রাটকে উৎখাত করে একটি প্রজাতন্ত্র গঠন করতে প্রয়াসী হন। ১২ই মার্চ ১৯১২ সালে নানজিংএ একটি অন্তর্বর্তী কালিন সরকার গঠিত হয়। সমাপ্ত হয় চীনের ২০০০ বছরের রাজকীয় শাসনের। কিন্তু সান শীঘ্রই সম্রাটকে ক্ষমতাচ্যুত করায় সাহয্য করার বিনিময়ে (যে সিদ্ধান্তের জন্য পরবর্তীকালে তিনি অনুশোচনা করেন) চুক্তি অনুসারে, ইউয়ান সিকাই এর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হন। ইউয়ান সিকাই ছিলেন নব গঠিত সেনাবাহিনী প্রধান এবং ভূতপূর্ব সম্রাটের প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তী পাঁচ বছরে, ইউয়ান জাতীয় ও প্রাদেশিক আইনসভা ভেঙে দেন এবং ১৯১৫ সালে নিজেকে সম্রাট হিসাবে ঘোষনা ক‌রেন। সম্রাট হবার উচ্চাভিলাস তার অধিনস্ত কর্মচারীরা মেনে নেননি। ১৯১৬ সালের মার্চ মা‌সে তাকে উৎখাত করা হয় এবং একই বছর জুন মাসে তিনি মারা যান। ইউয়ানের অপসারন ও মৃত্যু চীনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় শূন্যতার সৃষ্টি হয়। প্রজাতান্ত্রিক সরকার ছিন্ন বিচ্ছন্ন হয়ে পরে। এ পরিস্থিতিতে কিছু যুদ্ধবাজ নেতার উত্থান হয়। তারা চীনের অনেক অঞ্চল এসকল নেতারা শাসন করতেন।
 
১৯১৯ সালে [[ভার্সাইলিস চুক্তি|ভার্সাইলিস চুক্তির]] বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। এ চুক্তিতে চীনের উপর কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। মন্ত্রী পরিষদ এই চুক্তির স্বাক্ষরের বিপক্ষে মত দেয়।
১৬১ নং লাইন:
[[চীনের গৃহযুদ্ধ|চীনের গৃহযুদ্ধের]] মূল যুদ্ধ ১৯৪৯ সালে সমাপ্ত হয়। রিপাবলিকানদের চীনের মূল ভূ-খন্ড থেকে তাইওয়ানে বিতাড়িত করা হয়। মূল চীনে কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৯ সালের ১ লা অক্টোবর [[মাও সেতুং]] গনপ্রজাতান্ত্রিক চীন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।<ref name="Ref_c">[http://www.isop.ucla.edu/eas/documents/mao490921.htm The Chinese people have stood up]. UCLA Center for East Asian Studies. Retrieved 16 April 2006. {{wayback|url=http://www.isop.ucla.edu/eas/documents/mao490921.htm |date=20130725014026 }}</ref> গনচীনের দুইটি জনপ্রিয় নাম ছিল “কমিউনিস্ট চীন” বা “লাল চীন”<ref name="Ref_d">Smith, Joseph; and Davis, Simon. [2005] (2005). The A to Z of the Cold War. Issue 28 of ''Historical dictionaries of war, revolution, and civil unrest''. Volume 8 of ''A to Z guides''. Scarecrow Press publisher. ISBN 0-8108-5384-1, ISBN 978-0-8108-5384-3.</ref>
[[File:Mao proclaiming the establishment of the PRC in 1949.jpg|thumb|left| ১ লা অক্টোবর ১৯৪৯ [[মাও সেতুং]] গনপ্রজাতান্ত্রিক চীন প্রতিষ্ঠার ঘোষনার ছবি]]
রাজনৈতিক অভিযানের তালিকা এবং [[পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার]] মধ্য দিয়ে গনচীনের গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। [[অগ্রসরের মহালম্ফন]] বা Great Leap Forward এর কারনেকারণে ৪৫ মিলিয়ন মানুষকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।<ref name="Akbar2010">{{Cite news|url =http://www.independent.co.uk/arts-entertainment/books/news/maos-great-leap-forward-killed-45-million-in-four-years-2081630.html |title= Mao's Great Leap Forward 'killed 45 million in four years'|accessdate=30 October 2010 |publisher=The Independent|location=London|first=Arifa|last=Akbar|date=17 September 2010}}</ref> মাও সরকার অগনিত ভূস্বামীদের গনহারে মৃত্যদন্ড কার্যকর করে। মৃত্যদন্ড ও বাধ্যতামূলক শ্রমদানে বিপুল সংখ্যক প্রানহারি ঘটনা ঘটে। ১৯৬৬ সালে মাও এবং তার মিত্ররা [[সাংস্কৃতিক আন্দোলন]] শুরু করে।, একদশক পরে মাও এর মৃত্যুর পরও এই আন্দোলন চলতে থাকে। দলের মধ্যে ক্ষমতার প্রতিযোগিতা আর [[সোভিয়েত ইউনিয়ন]]ভীতি ছিল এই সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মূল প্রেষনা।
[[File:Tianasquare.jpg|thumb|300px|তিয়েনমেন স্কয়ারে প্রতিবাদ সমাবেশে সামরিক অভিযানের সময় একজন ছাত্র অগ্রসারমান ট্যাংক বহরকে থামিয়ে দেয়। ছবিটি ৫ই জুন ১৯৮৯ সালে এপি এর সাংবাদিক [[Jeff Widener]]এর তোলা<ref name="bare_url">{{cite news| url=http://lens.blogs.nytimes.com/2009/06/03/behind-the-scenes-tank-man-of-tiananmen/ | work=The New York Times | first=Patrick | last=Witty | title=Behind the Scenes: Tank Man of Tiananmen | date=June 3, 2009}}</ref><ref name="FloorSpeech">Floor Speech on Tiananmen Square Resolution. Nancy Pelosi, Speaker of the U.S. House of Representatives. June 3, 2009.</ref><ref name="Corless2006">{{cite news
| last = Corless | first = Kieron | title = Time In – Plugged In – Tank Man | newspaper = Time Out | date = May 24, 2006}}</ref> ]]