মাহমুদুল হক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
Drahfarid (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
==প্রাথমিক জীবন==
{{orphan|date=ডিসেম্বর ২০০৮}}
'''মাহমুদুল হক''' ([[১৯৪০]] - [[জুলাই ২১]], [[২০০৮]]) বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] কথাশিল্পী। মাহমুদুল হক ১৯৪০ সালে পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতে জন্ম গ্রহণ। পিতার নাম : সিরাজুল ইসলাম, মায়ের নাম : মাহমুদা বেগম। ১৯৪৭ এর দেশ ভাগের সময় পর পিতা সরসারের উচ্চপদে চাকরিসূত্রে পূর্বপাকিস্তানে যোগদান করেন এবং বেশ পরে তিনি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে ১৯৫১ সালে আজিমপুরে বসবাস শুরু করেন। তিনি ছয় ভাই চার বোনের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন।
 
==শিক্ষা ও পেশাগত জীবন==
'''মাহমুদুল হক''' (বন্ধুমহল ও কনিষ্ঠ অনেকের কাছে তিনি '''বটু ভাই''' হিসেবে পরিচিত) ([[১৯৪০]] - [[জুলাই ২১]], [[২০০৮]]) বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] কথাশিল্পী।
মাহমুদুল হকের পড়ালেখার হাতেখড়ি হয়েছিল বারাসাতের কালীকৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কিন্তু দেশ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে ১৯৫২ সালে লালবাগের ওয়েস্ট এন্ড স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিলেন। রাতকানা রোগের কারণে মাঝখানে কিছুদিন তিনি পড়ালেখায় বিরতি দেন। পরে তিনি ১৯৫৮ সালে মেট্রেকুলেশন পাস করেন। পরে তিনি জগন্নাথ কলেজে (বর্তমান [[জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]]) ভর্তি হলেও পড়ালেখার চেয়ে আড্ডাবাজিতে মগ্ন হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার ইতি ঘটান। দৈনিক সংবাদ পত্রিকার অনুবাদক হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু তিন মাসের মাথায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি প্রথমে মনোহারি পরে জুয়েলারি ব্যবসার সাথে যুক্ত হন। পরে অবশ্য মীজানুর রহমান এবং প্রতাপউদ্দিনের সাথে মিলি ‘গাঙচিল প্রেস’ প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৬৭ সালে; কিন্তু এ ব্যবসাও তার টেকে নি।
 
==সাহিত্যজীবন==
মাহমুদুল হক ১৯৪০ সালে পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতে জন্ম গ্রহণ। ১৯৪৭ এর দেশ ভাগের সময় পর তার পরিবার [[পুরনো ঢাকা|পুরনো ঢাকার]] গেন্ডারিয়ায় বসবাস শুরু করেন। তার পিতা সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ছয় ভাই চার বোনের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন। তিনি পঞ্চাশের দশকে স্কুলে থাকাকালীনই লেখালেখি শুরু করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে জগন্নাথ কলেজ (বর্তমান [[জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]]) থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন।
মাহমুদুল হকের শিক্ষক ছিলেন কথাশিল্পী শহীদ সাবের। তাঁর প্রত্যক্ষ প্রেরণায় তিনি সাহিত্যের সাথে যুক্ত হন এবং প্রথমে ‘অগ্রগামী’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করেন। পত্রিকাটির মাত্র ৩টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। মাহমুদুল হক যখন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র তখন ‘রেড হর্নেট’ (১৯৫৪) ডিটেকটিভ উপন্যাস রচনা করেন। এ সময় তিনি ‘অরণ্য বাসর’ ও ‘আমি সম্রাট’ নামি দুটি রোমাঞ্চধর্মী উপন্যাসও লিখেছিলেন। তবে তিনি ১৯৮৪ সালের পর আর লেখালেখি করেন নি।<ref>চন্দন আনোয়ার সম্পাদিত, গল্পকথা (গল্প ও গল্পভাষ্যের কাগজ), ৪র্থ বর্ষ : ৫ সংখ্যা [মাহমুদুল হক সংখ্যা], রাজশাহী : ২০১৪; পৃ .৩০০</ref>
 
==সাহিত্যকর্ম==
তিনি শিশুদের কাগজ ''আলাপনী'', ''শাহীন সেতারা'' প্রভৃতি পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। তার কিছু সাড়া জাগানো উপন্যাসের মধ্যে ''খেলাঘর-[[খেলাঘর (চলচ্চিত্র)|চলচ্চিত্ররূপ ২০০৬]], জীবন আমার বোন, নিরাপদ তন্দ্রা, কালো বরফ, অনুর পাঠশালা, মাটির জাহাজ, অশরীরী প্রভৃতি উল্লেখ্যযোগ্য। কিন্তু তিনি [[১৯৮২]] সালের পর আর লেখেননি।
'''উপন্যাস'''
অনুর পাঠশালা ১৯৬৭
নিরাপদ তন্দ্রা ১৯৬৮
জীবন আমার বোন ১৯৭২
কালো বরফ ১৯৭৭
অশরীরী ১৯৭৯
পাতালপুরী ১৯৮১
 
'''শিশুতোষ উপন্যাস'''
২১শে জুলাই, ২০০৮ রোববার গভীর রাতে রাজধানীর লালবাগের তার শ্বশুরের বাসায় মারা যান নিভৃতচারী এ কৃতী লেখক।
চিক্কোর কাবুক ১৯৭৯
 
'''গল্পগ্রন্থ'''
প্রতিদিন একটি রুমাল ১৯৯৪
মাহমুদুল হকের নির্বাচিত গল্প ১৯৯৯
অগ্রন্থিত গল্প [সংগ্রহ ও সম্পাদনা, আবু হেনা মোস্তফা এনাম] ২০১০
 
'''অন্যান্য'''
তিনিমাহমুদুল হক শিশুদের কাগজ ''আলাপনী'', ''শাহীন সেতারা'' প্রভৃতি পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। তার কিছু সাড়া জাগানো উপন্যাসের মধ্যে ''খেলাঘর-[[খেলাঘর (চলচ্চিত্র)|চলচ্চিত্ররূপ ২০০৬]], জীবন আমার বোন, নিরাপদ তন্দ্রা, কালো বরফ, অনুর পাঠশালা, মাটির জাহাজ, অশরীরী প্রভৃতি উল্লেখ্যযোগ্য। কিন্তু তিনি [[১৯৮২]] সালের পর আর লেখেননি।
 
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৪০-এ জন্ম]]