আনন্দমোহন বসু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৪ নং লাইন:
সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষাবিদ হিসেবে আনন্দমোহন বসুর অবদান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। নারীশিক্ষার উন্নয়নের জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন। সমাজ থেকে নিরক্ষরতা দূর করার জন্য সামাজিক কর্মসূচি প্রণয়ন করতে তিনি সকলকে উদাত্ত আহবান জানান। ১৮৭৬ সালে তিনি কলকাতায় ‘বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন। নারীশিক্ষা সংগঠনে অধিকতর ভাল ফল লাভের আশায় পরে তিনি বিদ্যালয়টিকে বেথুন স্কুলের সাথে একীভূত করেন। ১৮৭৯ সালে তিনি কলকাতায় সিটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নিজ শহর ময়মনসিংহে তাঁর নিজের বাসায় সিটি কলেজের একটি শাখা খোলা হয়। সিটি কলেজিয়েট স্কুল নামে প্রতিষ্ঠানটি এখনও বর্তমান। বসুর সম্মানে সিটি কলেজটির পুনঃনামকরণ করা হয় আনন্দমোহন কলেজ। এক্ষেত্রে তাঁর বাল্যবন্ধু,ময়মনসিংহের আরেক কৃতী সন্তান হামিদউদ্দীন মৌলভী বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
আনন্দমোহনের উজ্জ্বল শিক্ষাজীবন ও শিক্ষার প্রতি গভীর অনুরাগের কারণে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ১৮৮২ সালে ইন্ডিয়ান এডুকেশন কমিশনের (হান্টার কমিশন) সদস্য করে। ক্রমাগতভাবে তিনি বঙ্গীয় আইন সদস্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ‘ফেলো’ মনোনীত হন। তাঁরই অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে ‘Calcutta University Act of Incorporation’ এমনভাবে সংশোধন করা হয় যাতে এটিকে কেবলমাত্র একটি পরীক্ষা গ্রহণকারী সংস্থা হতে পরীক্ষা গ্রহণকারী ও শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা যায়। ১৮৯২ সালের ভারত আইনের অধীনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গীয় আইন পরিষদে একজন সদস্য নির্বাচন করার অধিকার লাভ করে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বঙ্গীয় আইন পরিষদ এর সদস্যনির্বাচিত হন আনন্দমোহন বসু। একজন জাতীয়তাবাদী হিসেবে বসু তীব্রভাবে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেন। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর তিনি বঙ্গভঙ্গবিরোধী এক সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং রোগশয্যা হতে বিশাল জনসমাবেশে ভাষণ দেন। ১৯০৬ সালের ২০ আগস্ট আনন্দমোহন বসুর মৃত্যু হয়।
 
== রাজনৈতিক দর্শন ==
আনন্দমোহন বসু [[১৮৮৪]], [[১৮৯০]] এবং [[১৮৯৫]] সালে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি [[১৯০৫]] সালের [[বঙ্গভঙ্গ|বঙ্গভঙ্গের]] তীব্র বিরোধিতা করেন।
 
== তথ্যসূত্র ==