রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
fixed space
fixed space
২৭ নং লাইন:
[[১৩ই আগষ্ট]] [[১৮৯৮]] সালে [[রামতনু লাহিড়ী|রামতনু লাহিড়ীর]] জীবনাবসান ঘটে। তাঁর শ্রাদ্ধবাসরে অনেকের সঙ্গে রামতনু লাহিড়ীর পুত্র শরৎকুমারও তাঁর পিতার একটি জীবনী লেখার জন্য শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয়কে অনুরোধ করেন। রামতনুর মৃত্যুর তিন বছর পর [[১৯০১]] সালে [[শিবনাথ শাস্ত্রী]] এই গ্রন্থটি রচনায় প্রবৃত্ত হন। [[১৯০৩]] সালে গ্রন্থরচনা শেষ হয়।<ref>''শিবনাথ শাস্ত্রী'' –বারিদবরণ ঘোষ, সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-২৭-২৮</ref>
 
রামতনু লাহিড়ীর সঙ্গে শিবনাথ শাস্ত্রীর পরিচয় [[২২শে আগষ্ট]] [[১৮৬৯]] সালে ও তার পর থেকে তা দীর্ঘ ২৯ বছরের গাঢ় পরিচয় ঘনীভূত হয়েছিল।<ref>শিবনাথ শাস্ত্রী –বারিদবরন ঘোষ-সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-৫০</ref> প্রথমে শাস্ত্রী মশাই শুধু মাত্র রামতনু লাহিড়ীর জীবনী লিখবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু পরে তিনি দেখেছিলেন [[১৮১৩]] সাল থেকে [[১৮৯৮]] সাল পর্যন্ত রামতনু লাহিড়ীর জীবন ১৯ শতকের বাঙ্গালীর সমাজ-সংস্কৃতি-রাষ্ট্রনীতির ইতিহাসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। তাই পরে ‘তৎকালীন বঙ্গসমাজ’ যুক্ত করেন। <ref>শিবনাথ শাস্ত্রী –বারিদবরন ঘোষ-সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-২৭-২৮</ref>
 
স্বভাবতই রামতনু লাহিড়ীর জীবনীসূত্রে ১৯ শতকের যেসব মনীষী [[বাংলার নবজাগরণ|নবজাগরণের]] সাথে প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তাঁরাও এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছেন। জীবনীগ্রন্থ হিসাবে রচিত হলেও বইটির মূল্য যে এর ঐতিহাসিকতায় এ সম্পর্কে তিনি সচেতন ছিলেন। তাই গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকায় তিনি লিখেছিলেন-{{cquote| মনে এই একটা সন্তোষ রহিল যে, বঙ্গদেশের সামাজিক ইতিবৃত্তের কয়েক অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয়ের কিয়দংশ রাখিয়া গেলাম; এবং যে সকল মানুষ জন্মিয়া বঙ্গদেশকে লোকচক্ষে উন্নত় করিয়াছেন তাঁহাদের জীবনের স্থূল কথা রাখিয়া গেলাম।<ref>শিবনাথ শাস্ত্রী –বারিদবরন ঘোষ-সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-২৮</ref>}}