শিরমল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
'''শিরমাল ''' বা শিরমাল রুটি ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। শিরমাল শব্দটি ফারসি ভাষায় ‘শির’ শব্দের অর্থ দুধ আর মাল অর্থ মাখানো বা দলা করা। মুঘল শাসকরা এই খাবার ঢাকায় নিয়ে আসে। মুঘল শাসনামল থেকে ঊনিশ শতক পর্য়ন্ত এই খাবারের প্রচলন ছিল। মুঘল আমলেপ্রথমে সুজী দিয়ে এই রুটি তৈরী হতো। পরে সুজীর পরিবর্তে এই রুটিতে ময়দার ব্যবহার করা হয়। এই রুটির জন্য ময়দার ময়ান তৈরীতে পানির পরিবর্তে দুধ ব্যবহার করা হতো। এছাড়া মাওয়া ও ঘি মেশানো হতো। তন্দুরীতে শেকার সময়ও দুধের ছিটা দেয়া হতো। এই ধরনের শিরমালকে বলা হতো রওগনি শিরমাল। শিরামল রুটির আর এক নাম সুখি ও নিমসুখি। রোগীর খাবার উপযোগি করে তৈরী করা শিরমালে ঘি ব্যবহার করা হতো না। এই ধরনের শিরমালকে গাওযবান বলা হতো। <ref>মুনতাসির মামুন লিখিত ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী (দ্বিতীয় খন্ড) পৃষ্ঠা ২১১ ISBN 984 70105 0190 2</ref>
 
সেই ১৯৩৯ সালে একটি শিরমাল রুটি একটাকায় বিক্রি হতো। এই রুটি তৈরীর অন্যান্য উপাদনগুলো হলো, লাহোরি লবণ, ছোট এলাচ, দারুচিনি গুঁড়া, জায়ফল গুঁড়া। একসময় শিরমাল রুটি ছিল ঢাকাবাসীর ইফতারের একটি প্রিয় খাবার।<ref>[http://www.kalerkantho.com/home/printnews/368452/2016-06-11]/দৈনিক কালের কন্ঠ ১১ জুন, ২০১৬ সংখ্যা</ref>