আলোকিত যুগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস}}
'''আলোকায়নের যুগ''' হলো সপ্তদশ শতাব্দীর [[ইউরোপ|ইউরোপের]] একটি বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন যার প্রধান উপজীব্য বিষয় ছিল ব্যক্তিস্বকীয়তা, মানব স্বাধীনতা, [[যুক্তিবাদ|যুক্তিবাদের]] প্রতিষ্ঠা ও মানব ঐতিহ্য।<ref>"[[enlightenment]]". Oxford Dictionaries. Oxford University Press, n.d. Web. 19 September 2013.</ref> এই বিপ্লবের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল [[বিজ্ঞান]][[সাহিত্য]] চর্চার মাধ্যমে মানুষের জ্ঞান বিকশিত করে প্রথাগত বিশ্বাস ও কুসংস্কারের শাসন থেকে মানুষকে মুক্ত করে সমাজকে মানবিকতার পথে পরিচালিত করা। এই আন্দোলন মানুষকে বিজ্ঞান চিন্তা, সংশয়বাদ ও বুদ্ধিবৃত্তিক দর্শনের চর্চায় প্রলুব্ধউদ্বুদ্ধ করে।<ref>Kors, Alan Charles. Encyclopedia of the Enlightenment. Oxford: Oxford UP, 2003. Print.</ref> এই আন্দোলনের পূর্বে সমাজে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হত সমাজের ধনিক শ্রেণি ও প্রতিষ্ঠিত ধর্মের প্রদর্শিত সংস্কৃতি ও অভিপ্রায় অনুযায়ী। তবে মানব ইতিহাসের সর্বপ্রথম সংঘটিত এই [[দর্শন|দার্শনিক]] [[বিপ্লব]] মানুষের সমাজব্যবস্থার জন্য কিছু মূলনীতির জন্ম দেয় যেগুলো হলো কোন বিষয় সম্পর্কে উপসংহারে আসার জন্য সঠিক যুক্তি ব্যবহার করা, যুক্তিগুলো প্রত্যক্ষ প্রমাণ দিয়ে ঝালিয়ে নেওয়া এবং পুনরায় প্রমাণের আলোকে মূলনীতিগুলো পর্যালোচনা করা।
 
আলোকিত দার্শনিকরা সমাজের অসহিষ্ণুতা ও কুসংস্কারের বিপক্ষে ছিলেন। তৎকালীন যুগে কিছু স্বৈরশাসক আলোকিত যুগের দর্শন, শিক্ষা ও সমাজব্যবস্থার সমন্বয়ে আলোকিত শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চেয়েছিল যার ফলশ্রুতিতে আলোকিত যুগের মূলনীতিগুলো সমাজে ও সরকার ব্যবস্থায় জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। বলা বাহুল্য শত প্রচেষ্টার পরেও আলোকিত দর্শন নিয়ে এ ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা সফলতার মুখ দেখে নি। তবে এ ধরনের পদক্ষেপগুলো পরবর্তিতে সমাজে পরিবর্তন আনতে সহায়তা করেছে। আলোকিত যুগের চিন্তাগুলো পাশ্চাত্যের জ্ঞান-বিজ্ঞান, সভ্যতা, ঐতিহ্য , সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
 
== তথ্যসূত্র ==