১৮৫৭ সালের ১ জুলাই ৩৫ বছর বয়েসে চাকরি ছেড়ে নিজস্ব বাহিনী ও হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষ অনুগামী নিয়ে বিদ্রোহে যোগ দেন। তার অনুগামী দেরঅনুগামীদের মধ্যে তার নিজের ভাই সর্দার খান ছাড়াও ছিলেন ভগীরথ শিলাওয়াত, বংশ গোপাল, দুর্গা প্রসাদ, দেবী সিং প্রমুখ। কর্নেল ট্রাভার্সকে মাত্র তিন ঘন্টার যুদ্ধে পরাজিত করে ইন্দোরের ব্রিটিশ রাজভবন দখল করেন, ব্রিটিশ রাজপুরুষেরা পেছনের দরজা দিয়ে পালাতে সক্ষম হয়। নিজেকে এরপর ইন্দোরের রাজা বলে ঘোষনা করেন তিনি। সমরকুশলী সেনাপতি হওয়ার কারনে একাধিক যুদ্ধে তার রণনীতিতে ব্রিটিশ বাহিনী অপদস্থ হয়েছে। [[গোয়ালিয়র]], সহজপুর, রাজগড়, গুনা, শিভপুরার ইংরেজকুঠিগুলি সাদাত খানের আক্রমনে ধ্বংস হলে ১৭৫৭ এর ১০ অক্টোবর জেনারেল গ্রেথেড বিপুল বাহিনী নিয়ে সাদাতের মোকাবিলা করেন। আগ্রার কাছে এই যুদ্ধে সাদাত খান প্রথম পরাজিত হন ও পলায়নে সক্ষম হন। তার সৈন্যদের অনেকেই ধরা পড়ে, তাদের ফাঁসি হয়<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=ভারতের মুক্তি সংগ্রামে মুসলিম অবদান|last=শান্তিময় রায়|first=|publisher=মল্লিক ব্রাদার্স|year=২০১৩|isbn=81-7999-030-3|location=কলকাতা|pages=১২১}}</ref>। ( [[ভারতীয় ইতিহাসের কালপঞ্জি]] গ্রন্থে [[কার্ল মার্ক্স]] এই যুদ্ধের কথা লিখেছেন ২০ অক্টোবর)
== পলাতক জীবন ==
পলাতক অবস্থায় তিনি বিভিন্ন সসময়সময় নিজস্ব বাহিনী নিয়ে ঝটিকা আক্রমন ককরেছেনকরেছেন ইইংরেজেরইংরেজের ওপর। ১৭ বছর ধরে পুলিশ ততাকেতাকে ধরতে পপারেনি।পারেনি। ততারতার মমাথারমাথার দাম ঘোষিত হহয়হয় তততকালীনতকালীন আআমিলেআমলে ৫০০০ টাকা। মহাবিদ্রোহ দমিত হলেও আলেয়ার, সসালেম্বুরসালেম্বুর, [[উজ্জয়িনী]], বংশওয়াড়ায় ববিভিন্নবিভিন্ন জায়গায় ইংরেজের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছেন এই বিদ্রোহী।
== ফাঁসি ==
বংশওয়াড়ার জংগলে তাকে ১৮৭৪ সালের জজানুয়ারিজানুয়ারি তে গ্রেপ্তার ককরাকরা হহয়হয় ও বিচারে মৃত্যুদন্ড হয়। ইন্দোরের যে রেসিডেন্সি দখল করে বিদ্রোহের সসূচনাসূচনা করেছিলেন তার সামনের গাছেই তারসাদাত খানের [[ফাঁসি]] হয় ১ অক্টোবর ১৮৭৪<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=ফেসবুক থেকে রাস্তায়|last=পুরন্দর ভাট|first=সাতাতখানের শাহাদত|publisher=অপ্রচলিত পত্রিকা প্রকাশনী|year=২০১৬|isbn=|location=কলকাতা|pages=৭৮}}</ref>। তার ভাই সর্দার খানেরও ফাঁসি হয়েছিল।