জালালুদ্দিন রুমি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
{{কাজ চলছে}} ট্যাগ যোগ করা হয়েছে (টুইং)
পরিষ্কারকরণ
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে|date=ডিসেম্বর ২০১৬}}
{{refimprove|date = সেপ্টেম্বর ২০১৩}}
{{Infobox Muslim scholar
২৪ ⟶ ২৩ নং লাইন:
}}
 
'''মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি'''<ref>[[Transliteration]] of the [[Arabic alphabet]] into English varies. One common transliteration is ''Mowlana Jalaluddin Rumi''. The usual brief reference to him is simply ''Rumi''.</ref> ({{PerB | مولانا جلال الدين محمد رومي}}, [[তুর্কি ভাষা|তুর্কি]]: '''Mevlânâ Celâleddin Mehmed Rumi''') ‎ ([[১২০৭]][[১২৭৩]]), '''মওলানা জালালুদ্দিন বাল্‌খি''' নামেও প্ররিচিত ({{PerB|محمد بلخى}}), কিন্তু বিশ্ব তাকে সংক্ষেপে '''রুমি''' নামে জানে। তিনি ত্রয়োদশ শতকের একজন ফার্সি কবি, [[ধর্মতাত্ত্বিক]] এবং [[সুফি দর্শন|সুফি দর্শনের]] শিক্ষক ছিলেন। রুমি [[খোরাসান|খোরাসানের]] (বর্তমান [[আফগানিস্তান]] ) বলখ শহরে ১২০৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর (৬০৪ হিজরি ৬ই রবিউল আউয়াল) জন্মগ্রহণ করেন । তাঁদের পরিবার ছিল বিশিষ্ট [[আইনজ্ঞ]] ও [[ধর্মতত্ত্ববিদ]] [[পরিবার]]। তার পিতা বাহাউদ্দিন ওয়ালাদকে সমসাময়িক বিদ্বানরা "পণ্ডিতদের সুলতান" বলে আখ্যায়িত করেছিল। রুমির পিতা ছিলেন একজন বিখ্যাত ধর্মতত্ত্ববিদ, [[সুফি]] এবং অতীন্দ্রিয়বাদী যার সাহস, সাধুতা , অন্তরের মহত্ত্ব এবং [[ঈশ্বর|ঈশ্বরের]] প্রতি [[দর্শন|দার্শনিক]] বা মৌল অভিগমনের পরিবর্তে সরাসরি আধ্যাত্মিকভাবে সমীপবর্তী হওয়ার বাসনা রুমিকে ভীষণভাবে প্রভাবিত এবং অনুপ্রাণিত করেছিল।{{citation needed|date=সেপ্টেম্বর ২০১৩}}
 
রুমি যে যুগে জন্মগ্রহণ করেন তখন ভয়াবহ এক আলোড়ন চলছিল। [[উসমানীয় সাম্রাজ্য|অটোম্যান সাম্রাজ্য]] ভিতরে এবং বাইরে থেকে আক্রান্ত ছিল; ভিতরে ছিল [[খ্রিষ্টান]] আক্রমণকারীরা এবং অপর দিক থেকে [[চেঙ্গিজ খান|চেঙ্গিস খানের]] মোঙ্গল বাহিনী। এই সামাজিক-রাজনৈতিক আলোড়ন রুমিকে তরুণকাল থেকে আতঙ্ক ও বিশৃংখলা দ্বারা দহন করেছিল ।{{citation needed|date=সেপ্টেম্বর ২০১৩}} ধর্মীয় বিরুদ্ধবাদীদের বিরোধিতা এবং সম্ভাব্য মোঙ্গল আক্রমণের আশঙ্কায় ১২১৯ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র বার বৎসর বয়সে রুমি তার পিতাসহ বলখ ত্যাগ করেন।{{citation needed|date=সেপ্টেম্বর ২০১৩}} বাহাউদ্দিনের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। এক বৎসর পরেই বলখ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।{{citation needed|date=সেপ্টেম্বর ২০১৩}}
 
তার দশ বৎসর ধরে এশিয়া মাইনর অ আরবে পরিভ্রমণ করেন ।{{citation needed|date=সেপ্টেম্বর ২০১৩}} [[মক্কা|মক্কার]] পথে রুমি এবং তার পরিবার নিশাপুরে অবস্থান করেন , সেখানে তাঁদের সাথে বিখ্যাত [[সুফিবাদ|সুফি]] [[কবি]] [[ফরিদুদ্দিন আত্তার|আত্তারের]] সাক্ষাৎ হয় । আত্তার রুমি সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে , " এই বালকটি ভালবাসার অন্তরে একটি দ্বার উদ্ঘাটন করবে ।" রুমিও কখনও আত্তারকে ভুলতে পারেন নি , রুমি আত্তার সম্পর্কে
বলেছেন " আত্তার ভালবাসার সাতটি নগরই ভ্রমণ করেছেন আর আমি এখনও একটি গলির প্রান্তে অবস্থান করছি ।{{citation needed|date=সেপ্টেম্বর ২০১৩}} " তার পিতার সঙ্গে ভ্রমণের আরেক পর্যায়ে রুমি [[দামেস্ক|দামাস্কাস]] যান । সেখানে সে যুগের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক ইবনুল আরাবির সাথে দেখা হয় । শোনা যায় ইবনুল আরাবি যখন রুমিকে তার পিতার পিছনে হাঁটতে দেখেন তখন বলেছিলেন " ঈশ্বরের কী মহিমা , একটি [[হ্রদ|হ্রদের]] পিছনে এক [[সাগর|সমুদ্র]] যাচ্ছে ।"{{citation needed|date=সেপ্টেম্বর ২০১৩}} আঠারো বছর বয়সে রুমি সমরখন্দের এক অমাত্যের কন্যা গওহর খাতুনকে বিবাহ করেন এবং কিছুদিনের মধ্যে দুই পুত্র সুলতান ওয়ালাদ ও আলাউদ্দিন তিলবির পিতা হন ।{{citation needed|date=সেপ্টেম্বর ২০১৩}}লারান্দা এবং [[আর্মেনিয়া|আর্মেনিয়ার]] আরজানজানে কিছুদিন অবস্থান করার পর রুমির পিতা কোনিয়ার সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদ দ্বারা আমন্ত্রিত হন । তখন ১২২৯ খ্রিষ্টাব্দ । কোনিয়ায় বাহাউদ্দিন ওয়ালাদের জন্য বিশেষভাবে এক বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ১২৩১ খ্রিষ্টাব্দে তার মৃত্যু পর্যন্ত তিনি সেখানে শিক্ষাদান করেন । পরবর্তীকালে মাত্র চব্বিশ বৎসর বয়সে রুমি সেই বিদ্যাপীঠে তার পিতার উত্তরসূরী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন।{{citation needed|date=সেপ্টেম্বর ২০১৩}} তিনি ২২ বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে রচনা করেন মসনবি শরিফ। যা সুবিশাল ৪০ হাজার লাইনের একটা মহাজ্ঞানের সমাহার।
 
৪।বিভিন্ন মনীষীদের ভূয়সী প্রশংসাঃ- রুমির সাহিত্যকর্ম অধ্যয়নের পর এতকাল দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ইংরেজ সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্মকে রীতিমতো পানসে বলে মনে হচ্ছে। তারা এখন রীতিমতো নিক্তি দিয়ে ওজন করছেন কার সাহিত্যকর্মের গভীরতা কতটা। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রিসার্স স্কলার এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্ত সামির আসাফ The Poet of the Poets- শীর্ষক এক নিবন্ধে লিখেছেন, গভীরতার মানদণ্ডে রুমির তুলনায় শেক্সপিয়রের মান হচ্ছে মাত্র ১০ ভাগের এক ভাগ। পশ্চিমা সাহিত্যিকদের মান প্রসেঙ্গ তিনি আরো লিখেছেন, ‘পাশ্চাত্যের গ্যাটে, চসার ও ইমারসন পর্যন্ত রুমির প্রভাব প্রতিপত্তি উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এ কথা বলতে দ্বিধা নেই, রুমির সমকক্ষ যেমন গাজ্জালি, গালিব, জামি, সাদি, জিবরান, এমনকি কাজমি, দেহলভি বা জাউকের (Zauk) সাহিত্যকর্মের তুলনায় পশ্চিমা সাহিত্য বলতে গেলে হাস্যকর পর্যায়ের অগভীর।
<!---পর্যালোচনা সাপেক্ষে নিচের লেখাগুলো প্রকাশের অনুরোধ-->
<!--
১। বিশ্ববিখ্যাত মসনভি শরিফ রচনাঃ মাওলানা রুমি শামস তাবরিজের দেওয়া তার সিনায় মারিফতের ফায়েজ কে চির-স্মরণীয় করে রাখার জন্য ২২ বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে রচনা করেন মসনবি শরিফ। যা সুবিশাল ৪০ হাজার লাইনের একটা মহাজ্ঞানের সমাহার। এই কিতাবকে বিশ্বের সকল সুফি,দরবেশরা "মানুষের রচিত ২য় কুরআন বলে আখ্যায়িত করেছেন"।
 
২।বিশ্ব বিখ্যাত মাওলানা রুমিঃ- মাওলানা রুমি তার মুর্শিদ শামস তাব্রিজের সাথে সাক্ষাত করার পূর্বে ছিলেন একজন ধর্মভীরু পীর সাহেব।তিনি সারাদিন এতই কিতাব পড়াশোনা করতেন যে সে যেখানেই যেতেন সেখানেই ৭ উঠ ভর্তি হাদিস,তাফসির,ফেকা ইত্যাদি ধর্মীয় কিতাব সাথে নিয়ে যেতেন।যাতে তার অধ্যাপনায় কোন প্রকার বিঘ্ন না ঘটে ।উক্ত কথা থেকে বুঝা যায় তিনি কত উঁচু পর্যায়ের আলেম ছিলেন।আর আজকের কাঠ মোল্লারা কিছু হাদিসের কিতাব পড়ে এমন ভাব দেখান যে তার চেয়ে বড় আলেম বুঝি এই দুনিয়ায় আর কেউ নেই।
 
৩। মাওলানা রুমির স্তরঃ- মাওলানা রুমি তার বিশ্ব বিখ্যাত কিতাব মসনবির প্রশংসায় বলেছেন যে " কুরআনের সমস্ত মগজ আমি রুমি চেটে খেয়ে ফেলেছি,শুধু তার হাড় গুলি রেখে দিয়েছি শরিয়তের অল্প বুদ্ধির আলেম রূপী কুকুরদের জন্য"তাহার এই উক্তিতে বুঝতে আর বাকি থাকে না যে তিনি কোন পর্যায়ের আলেম।
 
৪।বিভিন্ন মনীষীদের ভূয়সী প্রশংসাঃ- রুমির সাহিত্যকর্ম অধ্যয়নের পর এতকাল দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ইংরেজ সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্মকে রীতিমতো পানসে বলে মনে হচ্ছে। তারা এখন রীতিমতো নিক্তি দিয়ে ওজন করছেন কার সাহিত্যকর্মের গভীরতা কতটা। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রিসার্স স্কলার এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্ত সামির আসাফ The Poet of the Poets- শীর্ষক এক নিবন্ধে লিখেছেন, গভীরতার মানদণ্ডে রুমির তুলনায় শেক্সপিয়রের মান হচ্ছে মাত্র ১০ ভাগের এক ভাগ। পশ্চিমা সাহিত্যিকদের মান প্রসেঙ্গ তিনি আরো লিখেছেন, ‘পাশ্চাত্যের গ্যাটে, চসার ও ইমারসন পর্যন্ত রুমির প্রভাব প্রতিপত্তি উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এ কথা বলতে দ্বিধা নেই, রুমির সমকক্ষ যেমন গাজ্জালি, গালিব, জামি, সাদি, জিবরান, এমনকি কাজমি, দেহলভি বা জাউকের (Zauk) সাহিত্যকর্মের তুলনায় পশ্চিমা সাহিত্য বলতে গেলে হাস্যকর পর্যায়ের অগভীর।
 
৫।রুমি সম্পর্কে বিশিষ্ট অলিদের আউলিদের মন্তব্যঃ- ছোট রুমি যখন বাবা বাহাউদ্দিনের সাথে দামেস্কে ভ্রমনে যাচ্ছিলেন,তখন বিখ্যাত আউলিয়া ইবনুল আরাবি (র) বাবার পিছনে ছোট রুমিকে হাঁটতে দেখে তার ভিতরে অপার জ্ঞানের সমুদ্র অনুমান করে বলেছিলেন "আল্লাহর কি অপার মহিমা দেখো !!!জ্ঞানের সমুদ্র , জ্ঞানের নদীর পিছে পিছে হাঁটছে",শুধু তাই নয় বিশ্ব বরেণ্য আউলিয়া ফরিদউদ্দিন আত্তাব মাওলানা রুমিকে দেখে বলেছিল"এই ছেলে বড় হয়ে আল্লাহ্‌র এস্কের সাগরের এমন সব রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হবে যে সারা দুনিয়া তা দেখে হতবাক হয়ে যাবে"।
 
৬।রুমির মৃত্যুতে সকল ধর্মের মানুষের জানাজায় অংশ গ্রহনঃ- মাওলানা রুমি যেদিন দুনিয়া ছেড়ে চলে যান,সেদিন তুরস্কের ইহুদি, নাসারা,খিরিস্তান সহ সকল ধর্মের মানুষ রুমির মৃত দেহের সামনে তাদের নিজ নিজ ধর্ম গ্রন্থ পাঠ করা শুরু করে,শুধু তাই নয় একসাথে কাতার বন্ধী হয়ে নামাজের জানাজা আদায় করেন। কত বড় মাপের মানুষ হলে অন্য ধর্মের মানুষও তাকে শ্রদ্ধা জানায়,এটা রীতিমত ভাবনার বিষয় !!!!
 
৭। সকল ধর্মের মানুষের মসনবি কিতাব পাঠঃ- হিন্দু(বৈষ্ণব মতালম্মবি),মুসলিম,ইহুদি,নাসারা,খিরিস্তান সকল ধর্মের মানুষ মাওলানা রুমির কিতাব নিজস্ব আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য পাঠ করে থাকেন। বিশ্বের সকল ভাষায় আজ মসনবি অনূদিত হয়েছে। এ যেন মাওলানা রুমির জন্য সারা বিশ্ব জয়ের এক বিজয় কাহিনী । -->
 
==আরও দেখুন==
৫৪ ⟶ ৩৯ নং লাইন:
* [[ছালেকুর রহমান রাহে ভান্ডারী]] বা দুলহায়ে হযরত
* [[শাহ জালাল]]
* [[আমীমুল ইহসান]]
* [[শিতালং শাহ]]
 
== তথ্যসূত্র ==