অরণ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
৪৭ নং লাইন:
 
* উপমেরু অঞ্চলে উত্তরের অরণ্য রয়েছে। এগুলি সাধারণত চির হরিৎ ও সরলবর্গীয় ধরনের হয়।
* শীতপ্রধান এলাকায় বড় পাতার পর্ণমোচী গাছের বন (যথা, শীতপ্রধান পর্ণমোচী বন) এবং চির হরিৎ সরলবর্গীয় বন (যথা, শীতপ্রধান সরলবর্গীয় বন ও শীতপ্রধান বৃষ্টি অরণ্য) উভয় ধরনের বনই হতে পারে। গ্রীষ্মপ্রধান এলাকায় আবার জলপাই জাতিয়জাতীয় বৃক্ষের চিরসবুজ পাতাওয়ালা গাছের বনসহ বড় পাতার চিরহরিৎ অরণ্য টিকে থাকতে পারে।
* ক্রান্তীয় এবং প্রায় ক্রান্তীয় বনের অন্তর্ভুক্ত হলো ক্রান্তীয় এবং প্রায় ক্রান্তীয় আর্দ্র বন, ক্রান্তীয় এবং প্রায় ক্রান্তীয় শুষ্ক বন এবং ক্রান্তীয় এবং প্রায় ক্রান্তীয় সরলবর্গীয় বন।
* কোনো জঙ্গলের সাধারণ বৈশিষ্ট্য তাদের সামগ্রিক প্রাকৃতিক কাঠামো অথবা উন্নয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের অবস্থার ভিত্তিতে শ্রেণী বিন্যস্ত হয়। (যথা ওল্ড গ্রোথ বনাম সেকেন্ড গ্রোথ)
৫৬ নং লাইন:
 
==== শীতপ্রধান সূঁচালো পাতা ====
শীতপ্রধান সূঁচালো পাতাওয়ালা গাছের বনের বেশিরভাগটাই রয়েছে উত্তর গোলার্ধের মেরু অঞ্চলের পাশাপাশি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অতি উচ্চ এলাকা এবং কিছু গ্রীষ্মপ্রধান এলাকাতেও, বিশেষত পুষ্টির অভাব অথবা অন্যথায় প্রতিকূল মাটি. এই বনগুলির গোটাটাই কিংবা আংশিক তৈরি হয় পাইন জাতিয়জাতীয় প্রজাতির গাছ (কনিফেরোফাইটা) দিয়ে. উত্তর গোলার্ধে পাইন পিনাস, বড়ো আকারে ফার পিচিয়া, লার্চেস ল্যারিক্স, সিলভার ফার অ্যাবিয়েস ডগলাস ফার সিউডটসুগা — হেমলক সুগা আচ্ছাদনের কাজ করে তবে অন্যান্য টাক্সাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ. দক্ষিণ গোলার্ধে বেশিরভাগ সরলবর্গীয় গাছ, আরাউকেরিয়াসিস ও পোডোকারপাসিয়ের সদস্য, এগুলি বড় পাতার সংমিশ্রণ যাকে বড় পাতা ও মিশ্র জঙ্গল.
শীতপ্রধান সূঁচালো ও মিশ্র পাতা
শীতপ্রধান সূঁচালো পাতাওয়ালা ও মিশ্র গাছের বনের মধ্যে অ্যান্থাফাইটার পর্যাপ্ত উপাদানের গাছপালা থাকে। সাধারণত এগুলি উষ্ণ অক্ষাংশের বৈশিষ্ট্য, তবে ঠান্ডাতেও এই গুণ লক্ষ্য করা যায়, বিশেষ করে দক্ষিণ গোলার্ধে।শ এগুলির মধ্যে এমন ধরনের বন থাকে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন-জাপানের মিশ্র পর্ণমোচী জঙ্গলে দেখা যায়, জাপান, চিলি ও তাসমানিয়ার বড় পাতার চির হরিত বৃষ্টি বন এবং অস্ট্রেলিয়া, মধ্য চিলি, ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চল এবং ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্লেরোফিলাস বনেও একই বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। তাছাড়া চিলি ও নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলীয় নোথোফাগুস বনেরও একই বৈশিষ্ট্য।
ক্রান্তীয় আর্দ্রতা
[14]
ক্রান্তীয় আর্দ্রতার বনাঞ্চলে রয়েছে বহু ধরনের বন। এই ধরনের বনের মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ এবং বিস্তৃত বনভূমি হল নিম্ন এলাকার চিরহরিত চওড়া পাতার বৃষ্টি অরণ্য। উদাহরণসহ বলা যেতে পারে, মরসুমে প্লাবিত হয়ে পড়া ভেরজিয়া এবং জগাপো বন এবং আমাজন উপত্যকার টেরা ফার্মা বন; এছাড়া স্যাঁতস্যাতে জলাভূমি এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আর্দ্র ডিপটেরোকার্প বন এবং কঙ্গো উপত্যকার উপরের বনে এই ধরনের গাছ দেখা যায়। ক্রান্তীয় পাহাড়ি এলাকার বনও এই বৃহত্‌ শ্রেণীর অন্তর্গত। এই বনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যা উচ্চতার ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয় তা উচ্চ এবং নিম্ন পার্বত্য এলাকায় সাধারণত বিভক্ত। এই পার্বত্য বনের মধ্যে রয়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় মেঘ থেকেই জল নিয়ে বেড়ে ওঠা মাঝারি বা উচ্চ উচ্চতার বন, মেঘ বনাঞ্চল। একইসঙ্গে এই বনাঞ্চলে রয়েছে নলিযুক্ত বা নলিবিহীন এপিফাইট ধরনের গাছের অতিপ্রাচুর্য। মধ্য আমেরিকার ক্রান্তীয় সরলবর্গীয় বনের মতোই এই বৃহত্ শ্রেণীর মধ্যে রয়েছে ম্যানগ্রোভ জাতিয়জাতীয় বনও।
ক্রান্তীয় শুষ্ক
ক্রান্তীয় শুষ্ক অরণ্য হলো মরসুমি খরায় প্রভাবিত ক্রান্তীয় অঞ্চলের পরিচয়বাহী। বৃষ্টিপাতের ঋতুনির্ভরতা সাধারণভাবে প্রতিফলিত হয় গাছের আচ্ছাদনের পাতা ঝরার মাধ্যমে, যেখানে বছরের বেশ কয়েক মাস বেশির ভাগ গাছগুলি পাতাহীন হয়ে পড়ে থাকে। যদিও কম উর্বর জমি অথবা খরার কম আন্দাজের মতো কিছু শর্তের নিরিখে চিরহরিত প্রজাতির অণুপাত বেড়ে যায় এবং সেই বনের চরিত্রায়ন হয় ‘স্‌ক্লেরোফিলাস’ বলে। কাঁটার জঙ্গল, বড় সংখ্যায় কাঁটা বা গুল্ম প্রজাতির উদ্ভিদের উপস্থিতিতে কম উচ্চতার গভীর জঙ্গল দেখা যায় যেখানে খরা দুর্ঘস্থায়ী হয়, বিশেষ করে যেখানে প্রচুর গবাদি পশু থাকে। এই খারাপ জমিতে যেখানে দাবানল প্রায়শই লেগেই থাকে, যেমন জঙ্গলাকীর্ণ সাভানা (স্পার্স ট্রিস অ্যান্ড পার্কল্যান্ড দেখুন)
৭২ নং লাইন:
28 শ্রেণীর বন আছে যা জাতিয়জাতীয় এবং আঞ্চলিক শ্রেণী থেকে একটা পৃথিবীব্যাপী সাদৃশ্যবিধানকারী ব্যাবস্থায় রূপান্তর ঘটাতে সক্ষম:
শীতপ্রধান ও উত্তরের বনের ধরন
1. চিরহরিত সূঁচালো পাতা বিশিষ্ট গাছের বন — 30%-র বেশি গাছপালার চাঁদোয়া সহ প্রাকৃতিক বন, এক্ষেত্রে এই আচ্ছাদনের 75%-র বেশি অংশ জুড়েই থাকে চিরহরিত সূঁচালো পাতা।
৯৭ নং লাইন:
6. মিশ্র প্রশস্ত পাতা / সূঁচালো পাতার অরণ্য — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদনসহ প্রাকৃতিক অরণ্য, সাধারণত নিচু[21] জায়গাতেই হয়, মিশ্র প্রশস্ত পাতা এবং সূঁচালো পাতার মিশ্রণেই তৈরি হয় গাছের চাঁদোয়া (কোথাও এর অণুপাত 50:50, আবার কোথাও 25:75শতাংশ)।
7. সূঁচালো পাতার অরণ্য — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদন সহ প্রাকৃতিক অরণ্য, সাধারণত নিচু[22] জায়গাতেই হয়, এক্ষেত্রে আচ্ছাদনের 75%-ই সূঁচালো পাতা দিয়ে মোড়া।
8. ম্যানগ্রোভ — 30%-র বেশি গাছের চাঁদোয়া সহ প্রাকৃতিক অরণ্য, ম্যানগ্রোভ জাতিয়জাতীয় উদ্ভিদ, সাধারণত দেখা যায় ঈষত লোনা মাটির উপকূলীয় অঞ্চলে, সমুদ্র উপকূলে।
9. বিশৃঙ্খল প্রাকৃতিক অরণ্য — যে বনাঞ্চল যেখানে মানুষের দ্বারা অরণ্যের শান্তি বিঘ্নিত হয়, যেমন বন কেটে সাফ করা, কাঠ জোগাড়ের জন্য গাছ কাটা, অ্যানথ্রোপোজেনিক আগুন, রাস্তা নির্মাণ ইত্যাদি।
10. পর্ণমোচী / আধা পর্ণমোচী চওড়া পাতার বনাঞ্চল — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদনে মোড়া প্রাকৃতিক অরণ্য, সাধারণত নিচু[23] জায়গাতেই হয়, এক্ষেত্রে আচ্ছাদনের 50-100%-ই পর্ণমোচী ও বড় আকৃতির পাতা দিয়ে মোড়া (প্রায় 75%)।
11. স্‌ক্লেরোফাইলাস শুখনো বনাঞ্চল — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদন সহ চিরহরিত প্রাকৃতিক অরণ্য, সাধারণত নিচু[24] জায়গাতেই হয়, এক্ষেত্রে গাছপালার চাঁদোয়া তৈরি হয় বড় আকৃতির স্কেরোফাইলাস পাতা দিয়ে (আচ্ছাদনের 75%-ই থাকে এই পাতায় মোড়া)।
12. কণ্টকময় গুল্ম গাছের বনাঞ্চল — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদন সহ প্রাকৃতিক অরণ্য, সাধারণত নিচু[25] জায়গাতেই হয়, এক্ষেত্রে ক্যানোপি বা গাছপালার আচ্ছাদনটি তৈরি হয় মূলত গুল্ম জাতিয়জাতীয় পর্ণমোচী বৃক্ষ ও সুপুষ্ট কান্ড বিশিষ্ট রসালো, ফাঁপালো গুল্ম জাতিয়জাতীয় উদ্ভিদের দ্বারা।
13. বিরল গাছ ও পার্কল্যান্ড — প্রাকৃতিক অরণ্য, এখানে গাছপালার আচ্ছাদন থাকে 10-30%-র মধ্যে, পৃথিবীতে সাভানা এলাকা এমনই একটি অঞ্চল। সব ধরনের পাতার গাছ দেখা যায় (যেমন সূঁচালো পাতা, বড় আকৃতির পাতা, পামজাতীয় গাছের পাতা)।
14. বিভিন্ন ভিনদেশী প্রজাতির উপবন — গভীর অরণ্য, এখানে গাছপালার আচ্ছাদন থাকে 30%-র বেশি, দেশে দেখা মেলে না এমন প্রজাতির গাছ যা বপন করে মানুষই।
১৪১ নং লাইন:
 
{{বনাঁচল}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:বন]]
[[বিষয়শ্রেণী:আবাসভূমি]]