পৃথিবী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ছবির বিবরণ যোগ
Romimitu (আলোচনা | অবদান)
৭৯ নং লাইন:
=== রাসায়নিক গঠন ===
পৃথিবীর ভর প্রায় ৫.৯৮×১০<sup>২৪</sup> কিগ্রাঃ। এর প্রায় ৩২.১% লৌহ, ৩০.১% অক্সিজেন, ১৫.১% সিলিকন, ১৩.৯% ম্যাগনেসিয়াম, ২.৯% সালফার, ১.৮% নিকেল, ১.৪% অ্যালুমিনিয়াম এবং বাকী ১.২% অন্যান্য পদার্থ দ্বারা গঠিত। তবে পৃথিবীর কেন্দ্রভাগের গঠন কিছুটা ভিন্ন; এর প্রায় ৮৮.৮% ভাগই লৌহ। এছাড়া আছে নিকেল (৫.৮%) ও সালফার (৪.৫%)।
=== অভ্যন্তরীণ ও বাহিক গঠন ===
জন্মের সময় পৃথিবী ছিল এক উত্তপ্ত গ্যাস পিন্ড।উত্তপ্ত অবস্থা থেকে এটি শীতল ও ঘনীভূত হয়।এই সময় পৃথিবীর বাইরের ভারী উপাদানগুলা এর কেন্দ্রের দিকে জমা হয়।আর হাল্কা উপাদান গুলা ভরের তারতম্য অনুসারে নিচের থেকে উপরে স্তরে স্তরে জমা হয়।পৃথিবীর এসম্ভবিভিন্ন স্তরকে মন্ডল বলে।উপরের স্তরটিকে অশ্মমণ্ডল বলে।অশ্মমণ্ডল এর উপরের অংশকে ভূত্বক বলে।
ভূত্বক (Earth crust): ভূপৃষ্ঠ এ শিলার যে কঠিন বহিরাবরণ দেখা যায় তাই ভূত্বক। ভূত্বক এর পুরুত্ব গড়ে ২০কি.মি.।ভূত্বক মহাদেশের তলদেশে গড়ে মালভূমি .মি. এবং সমুদ্র তলদেশে তা মাত্র ৫কি.মি. পুরু।অনুমান করা হয়,ব্যাসল্ট স্তরই সারা পৃথিবী জুড়ে বহিরাবরণ ও গভীর সমুদ্র তলদেশ এ বিদ্যমান। ভূত্বক এর উপরের ভাগেই বাহিক অবয়বগুলো দেখা যায়।যেমন -পর্বত, মালভূমি,সমভূমি ইত্যাদি। ভূত্বক এর নিচের দিকে প্রতি কি.মি. ৩০ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ে।
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন উপাদান-(শিলা ও খনিজ) :ভূত্বক শিলা দ্বারা গঠিত। শিলা গঠিত হয় বিভিন্ন খনিজের সংমিশ্রণ এ।খনিজ হল একটি প্রাকৃতিক অজৈব পদার্থ যার সুনির্দিষ্ট রাসায়নিক গঠন এবং ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম রয়েছে।
 
পৃথিবীর উপরিভাগ এর বৈচিত্রময় ভূমিরুপসমূহই পৃথিবীর বাহ্যিক গঠন।
পৃথিবীর প্রধান ভূমিরূপ (The main landforms of the Earth) ভূপৃষ্ট সর্বত্র সমান নয়।এর আকৃতি, প্রকৃতিএবং গঠনগত বেশকিছু পার্থক্য আছে।ভূমির এই আকৃতি ও গঠনগত বৈশিষ্ট্যকেই ভূমিরূপ বলে।ভূপৃষ্ঠ এর কোথাও আছে উঁচু পর্বত, কোথাও পাহাড়, কোথাও মালভূমি। ভৌগোলিক দিক দিয়ে বিচার করলে পৃথিবীর সমগ্র ভূমিরূপ কে ৩টি ভাগে ভাগ করা যায়।এগুলো হলো(১)পর্বত (২)মালভূমি (৩)সমভূমি।
পর্বত (Mountains) :সমুদ্রতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু সুবিস্তৃত ও খাড়া ঢালবিশিষ্ট শিলাস্তূপকে পর্বত বলে।সাধারণত ৬০০থেকে ১০০০মি. উঁচু স্বল্পবিস্তৃত শিলাস্তূপ কে পাহাড় বলে।পর্বত এর উউচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কয়েক হাজার মিটার হতে পারে।পর্বত এর ভূপ্রকৃতি বন্ধুর, ঢাল খুব খাড়া এবং সাধারণ চূড়াবিশিষ্ট হয়।কোনো কোনো পর্বত বিছিন্নভাবে অবস্থান করে।যেমন -পূর্ব আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো। আবার কিছু পর্বত অনেকগুলো পৃথক শৃঙ্গসহ ব্যাপক এলাকা জুড়ে অবস্থান করে।যেমন -হিমালয় পর্বত মালা।
মালভূমি (plateaus) :পর্বত থেকে উঁচু কিন্তু সমভূমি থেকে উঁচু খাড়া ঢালযুক্ত ঢেউ খেলানো বিস্তীর্ণ সমতলভূমি কে মালভূমি বলে।মালভূমির উচ্চতা শত মিটার থেকে কয়েক হাজার মিটার পর্যন্ত হতে পারে।পৃথিবীর বৃহত্ত ম মালভূমির উচ্চতা ৪,২৭০ থেকে ৫,১৯০মিটার।
সমভূমি (plains) :সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অল্প উঁচু মৃদু ঢালবিশিষ্ট সুবিস্তৃত ভূমিকে সমভূমি বলে।বিভিন্ন ভূপ্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যেমন -নদী, হিমবাহ ও বায়ুর ক্ষয় ও সঞ্চয় ক্রিয়ার ফলে সমভূমির সৃষ্টি হয়।মৃদু ঢাল ও স্বল্প বন্ধুরতার জন্য সমভূমি কৃষিকাজ,বসবাস, রাস্তাঘাট নির্মাণ এর জন্য খুবই উপযোগী। তাই সমভূমিতে সবচেয়ে ঘন জনবসতি গড়ে উঠেছে।
 
 
=== তাপ ===
=== টেকটনিক পাতসমূহ ===