জাপান সরকার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন:
{{Infobox executive government|government_name=জাপান সরকার|image=[[File:Goshichi no kiri.svg|257px]]|caption=[[জাপান সরকারের সীল|সরকারী সীল]]|date=|state=[[জাপান]]|address=[[চিয়্যোদা, টোকিও|চিয়্যোদা ওয়ার্ড]], [[টোকিও]]|appointed=[[জাপানের সম্রাট|সম্রাট]]|leader_title=[[জাপানের প্রধানমন্ত্রী|প্রধানমন্ত্রী]]|main_organ=[[জাপানের ক্যাবিনেট|ক্যাবিনেট]]|ministries=|responsible=[[জাতীয় ডায়েট]]|url=http://www.japan.go.jp/}}'''জাপান সরকার একটি''' সংসদীয় রাজতন্ত্র, অর্থাৎ এই ব্যবস্থায় সম্রাটের ক্ষমতা মূলত আনুষ্ঠানিক ও সীমিত। অন্যান্য অনেক রাষ্ট্রের মত জাপানেও সরকার ব্যবস্থা তিন ভাগে বিভক্ত, যথা: আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ এবং বিচার বিভাগ।▼
১৯৪৭ খ্রিঃ প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী জাপান সরকার পরিচালিত হয়। এটি একটি এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র যার [[জাপানের প্রশাসনিক অঞ্চল|প্রশাসনিক অঞ্চলের]] সংখ্যা ৪৭ টি এবং সম্রাট যার রাষ্ট্রপ্রধান।<ref>{{cite web|title=The World Factbook Japan|url=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/ja.html|publisher=[[Central Intelligence Agency]]|accessdate=5 September 2015}}</ref> সম্রাটের প্রকৃত ক্ষমতা নেই; শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা আছে।<ref>{{cite constitution|article=4(1)|section=1|country=Japan|language=English|ratified=1947|url=http://japan.kantei.go.jp/constitution_and_government_of_japan/constitution_e.html|accessdate=5 September 2015}}</ref> সরকার চালানোর প্রকৃত ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর অধীনস্থ রাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বারা পরিচালিত ক্যাবিনেটের হাতে অর্পিত। ক্যাবিনেট দেশের শাসন বিভাগের সমস্ত ক্ষমতার উৎস, এবং সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ক্যাবিনেট গঠন করেন।<ref name="ExecPower">{{cite constitution|article=65|section=5|country=Japan|language=English|ratified=1947|url=http://japan.kantei.go.jp/constitution_and_government_of_japan/constitution_e.html|accessdate=5 September 2015}}</ref><ref name="PMCabinet">{{cite constitution|article=68(1)|section=5|country=Japan|language=English|ratified=1947|url=http://japan.kantei.go.jp/constitution_and_government_of_japan/constitution_e.html|accessdate=5 September 2015}}</ref> প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচন করে জাতীয় সংসদ বা ডায়েট, এবং তাঁকে তাঁর পদে নিয়োগ করেন সম্রাট।<ref name="PMDiet">{{cite constitution|article=67(1)|section=5|country=Japan|language=English|ratified=1947|url=http://japan.kantei.go.jp/constitution_and_government_of_japan/constitution_e.html|accessdate=5 September 2015}}</ref><ref name="EmperorPM">{{cite constitution|article=6(1)|section=1|country=Japan|language=English|ratified=1947|url=http://japan.kantei.go.jp/constitution_and_government_of_japan/constitution_e.html|accessdate=5 September 2015}}</ref>▼
▲'''জাপান সরকার একটি''' সংসদীয় রাজতন্ত্র, অর্থাৎ এই ব্যবস্থায় সম্রাটের ক্ষমতা মূলত আনুষ্ঠানিক ও সীমিত। অন্যান্য অনেক রাষ্ট্রের মত জাপানেও সরকার ব্যবস্থা তিন ভাগে বিভক্ত, যথা: আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ এবং বিচার বিভাগ।
জাতীয় ডায়েট হল আইন বিভাগের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক। এটি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট, যেখানে উচ্চকক্ষটি হল উপদেষ্টা পরিষদ এবং নিম্নকক্ষ জনপ্রতিনিধি পরিষদ। নিম্নকক্ষের সদস্যরা জনসাধারণ কর্তৃক সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসেন। জনসাধারণ সার্বভৌম ক্ষমতার উৎস।<ref name="EmperorPeople">{{cite constitution|article=1|section=1|country=Japan|language=English|ratified=1947|url=http://japan.kantei.go.jp/constitution_and_government_of_japan/constitution_e.html|accessdate=5 September 2015}}</ref> জাপানের সুপ্রিম কোর্ট ও অন্যান্য আদালত বিচার বিভাগ গঠন করে, এবং তা পুরোপুরি শাসন ও আইন বিভাগের নিয়ন্ত্রণমুক্ত।<ref name="JudiIndep">{{cite constitution|article=76(2)|section=6|country=Japan|language=English|ratified=1947|url=http://japan.kantei.go.jp/constitution_and_government_of_japan/constitution_e.html|accessdate=5 September 2015}}</ref>▼
▲১৯৪৭ খ্রিঃ প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী জাপান সরকার পরিচালিত হয়। এটি একটি এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র যার [[জাপানের প্রশাসনিক অঞ্চল|প্রশাসনিক অঞ্চলের]] সংখ্যা ৪৭ টি এবং সম্রাট যার রাষ্ট্রপ্রধান। সম্রাটের প্রকৃত ক্ষমতা নেই; শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা আছে। সরকার চালানোর প্রকৃত ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর অধীনস্থ রাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বারা পরিচালিত ক্যাবিনেটের হাতে অর্পিত। ক্যাবিনেট দেশের শাসন বিভাগের সমস্ত ক্ষমতার উৎস, এবং সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ক্যাবিনেট গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচন করে জাতীয় সংসদ বা ডায়েট, এবং তাঁকে তাঁর পদে নিয়োগ করেন সম্রাট।
▲জাতীয় ডায়েট হল আইন বিভাগের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক। এটি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট, যেখানে উচ্চকক্ষটি হল উপদেষ্টা পরিষদ এবং নিম্নকক্ষ জনপ্রতিনিধি পরিষদ। নিম্নকক্ষের সদস্যরা জনসাধারণ কর্তৃক সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসেন। জনসাধারণ সার্বভৌম ক্ষমতার উৎস। জাপানের সুপ্রিম কোর্ট ও অন্যান্য আদালত বিচার বিভাগ গঠন করে, এবং তা পুরোপুরি শাসন ও আইন বিভাগের নিয়ন্ত্রণমুক্ত।
== ইতিহাস ==
মেইজি পুনর্গঠনের আগে অবধি বহু শতাব্দী ধরে জাপান ক্রমান্বয়ে সামরিক নেতা শোগুনদের দ্বারা শাসিত হত। এই সময়ে প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী শোগুন সম্রাটের নামে নিজে দেশ চালনা করতেন।<ref>{{cite book|last1=Chaurasla|first1=Radhey Shyam|title=History of Japan|date=2003|publisher=Atlantic Publishers and Distributors|location=New Delhi|isbn=9788126902286|page=10}}</ref> শোগুনরা ছিলেন বংশানুক্রমিক সামরিক নেতা। বর্তমানে জেনারালিসিমো নামক বিরল সামরিক পদটি শোগুনদের ক্ষমতার সমতুল্য বলে ধরা যেতে পারে। খাতায় কলমে সম্রাটরা দেশের সার্বভৌম ক্ষমতার ধারক হলেও তাঁদের হাতে প্রকৃত ক্ষমতা তখনও ছিল না।<ref>{{cite journal|last1=Koichi|first1=Mori|title=The Emperor of Japan: A Historical Study in Religious Symbolism|journal=Japanese Journal of Religious Studies|date=December 1979|volume=6/4|pages=535–540|accessdate=3 September 2015}}</ref>
১৮৬৮ খ্রিঃ মেইজি পুনর্গঠনের সময় শেষ শোগুন তোকুগাওয়া য়োশিনবু পদত্যাগ করেন এবং সম্রাটের "হুকুম তামিল করার যন্ত্র" হয়ে থাকতে সম্মত হন।<ref>{{cite book|last1=Satow|first1=Ernest Mason|title=A Diplomat in Japan|date=Aug 23, 2013|publisher=Project Gutenberg|page=282|url=https://www.gutenberg.org/files/43541/43541-h/43541-h.htm|accessdate=5 September 2015}}</ref> এই ঘটনায় জাপানে সম্রাটের ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৮৯ খ্রিঃ জাপানকে পাশ্চাত্য শক্তিগুলোর সমকক্ষ করে তুলতে মেইজি সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। ফলে এশিয়ায় প্রথম সংসদ হিসেবে জাপানের সংসদ আত্মপ্রকাশ করে।<ref>{{cite web|title=Asia's First Parliament|url=http://query.nytimes.com/mem/archive-free/pdf?res=9D0DE2DD1F3BE533A25755C2A9679C94609ED7CF|publisher=[[দ্য নিউ ইয়র্ক টাইম্স]]|accessdate=5 September 2015}}</ref> এই পর্যায়ে শাসনব্যবস্থা ছিল নিরঙ্কুশ ও সংসদীয় রাজতন্ত্রের মিশ্রণ। সমসাময়িক প্রুশীয় মডেল অনুযায়ী বিচার বিভাগ ছিল স্বাধীন।
কাযোকু নামক এক নতুন অভিজাত শ্রেণী গড়ে ওঠে। এরা ধ্রুপদী হেইআন অভিজাত শ্রেণী কুগে এবং শোগুনের অধীনস্থ সামন্তপ্রভু দাইমিয়োদের সমগোত্রীয় হয়ে ওঠে।<ref>{{cite book|last1=Lebra|first1=Takie Sugiyama|title=Japanese social organization|date=1992|publisher=University of Hawaii Press|location=Honolulu|isbn=9780824814205|page=51|edition=1}}</ref> প্রতিনিধিকক্ষ ও অমাত্যকক্ষ সম্বলিত সাম্রাজ্যিক ডায়েটও এই সময় প্রতিষ্ঠিত হয়। অমাত্যকক্ষের সভ্যরা হতেন রাজপরিবারের সদস্য, কাযোকু অথবা সম্রাট কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তি। প্রতিনিধিকক্ষের সভ্যরা সাধারণ পুরুষ ভোটদাতাদের দ্বারা সরাসরি নির্বাচিত হতেন। মেইজি সংবিধানে সম্রাট ও সাসন বিভাগের ক্ষমতার মোটের উপর স্পষ্ট বিভাজন থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে বৈপরিত্যের ফলে এক রাজনৈতিক সংকট উপস্থিত হয়। এতে সেনাবাহিনীর উপর অসামরিক জনসমাজের কর্তৃত্বের ধারণাটি ধাক্কা খায়, ফলে সেনাবাহিনী রাজনীতিতে প্রবল প্রভাবশালী হয়ে ওঠে।<ref>{{cite book|last1=Martin|first1=Bernd|title=Japan and Germany in the modern world|date=2006|publisher=Berghahn Books|location=New York [u.a.]|isbn=9781845450472|page=31|edition=1. paperback}}</ref>
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে পূর্বতন সামরিক শাসন উৎখাত করে পাশ্চাত্য ধাঁচে উদার গণতন্ত্র নির্মাণের লক্ষ্যে জাপানের বর্তমান সংবিধান প্রণীত হয়।<ref>{{cite web|title=The Constitution: Context and History|url=http://www.hartpub.co.uk/pdf/samples/9781841137926sample.pdf|publisher=Hart Publishing|accessdate=5 September 2015}}</ref>
==
{{সূত্র তালিকা}}
{{দেশের নিবন্ধ|জাপানের}}
[[বিষয়শ্রেণী:জাপান]]
| |||