বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
সম্পাদনা, কাঠামো পুনর্বিন্যাস, তথ্য সংযোজন
১ নং লাইন:
[[চিত্র:World Heritage logo.png|150px|right|ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের প্রতীক]]
'''বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান''' বা '''ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান''' বিশেষ ধরণের ([[বন]], [[পাহাড়]], [[হ্রদ]], [[মরুভূমি]], [[স্মৃতিস্তম্ভ]], [[দালান]], [[প্রাসাদ]] বা [[শহর]]) একটি স্থান যা ''আন্তর্জাতিক বিশ্ব ঐতিহ্য প্রকল্প'' কর্তৃক প্রস্তুতকৃত তালিকার মধ্যে স্থান পেয়েছে। [[ইউনেস্কো]] নিয়ন্ত্রিতপ্রণীত ''বিশ্বতালিকার ঐতিহ্যমধ্যে কমিটি''স্থান এই প্রকল্প পরিচালনা করে থাকে যার সদস্য সংখ্যা ২১। সদস্য দেশগুলো ''জেনারেল এসেম্বলি অফ স্টেট পার্টিস'' কর্তৃক একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হয়। এই সদস্য দেশগুলোকে প্রকল্পের ''স্টেট পার্টি'' বলা হয়।<ref>{{cite web |url=http://whc.unesco.org/en/185/ |title=About World Heritage |publisher=World Heritage |accessdate=2006-10-14 }}</ref> এই কমিটিটি [[জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ|জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের]]পেয়েছে। অনুরূপ।
 
২০১৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশের [[পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার]] এবং [[বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ]] এ দুটিঐতিহাসিক স্থানকে তালিকায় লিপিবদ্ধ হয়েছে। এছাড়া আরো পাঁচটি স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েেএই তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আবেদন করা হয়েছে (২০১৬ পর্যন্ত) যথা [[মহাস্থানগড়]], [[লালমাই-ময়নামতি]], [[লালবাগ কেল্লা]], [[হলুদ বিহার]] এবং [[জগদ্দল বিহার]]। তদুপরি সুন্দরবনকে প্রাকিতিক বিশ্ব ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের কাজ হল অনন্য সাধারণ সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক গুরুত্ববিশিষ্ট স্থানসমূহের নাম লিপিবদ্ধ করা এবং তাদের শ্রেণীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কিছু বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই স্থানগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ''বিশ্ব ঐতিহ্য ফান্ড'' অর্থ সাহায্য দিয়ে থাকে। [[২০০৬]] সাল পর্যন্ত এ ধরণের মোট ৮৩০টি স্থানের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪৪টি সাংস্কৃতিক, ১৬২টি প্রাকৃতিক এবং ২৪টি মিশ্র শ্রেণীর। মোট ১৩৮টি রাষ্ট্রে এই স্থানগুলো অবস্থিত। ইউনেস্কোর নীতি অনুসারে প্রতিটি ঐতিহ্যবাহী স্থানের একটি পরিচয়বাহী নম্বর দেওয়া হয়। বর্তমানে এই নম্বরের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়ে গেছে যদিও স্থানের সংখ্যা আরও কম। প্রতিটি ঐতিহ্যবাহী স্থানের সমুদয় সম্পত্তি ও জমির মালিক ঐ স্থানটি যে দেশে অবস্থিত সেই দেশ। তবে এই স্থানগুলো রক্ষার দায়িত্ব বর্তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপর। তাই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান প্রকল্পের আওতাভুক্ত সকল রাষ্ট্রই প্রতিটি স্থান রক্ষার ব্যাপারে ভূমিকা নিতে পারে।
 
==নির্বাচন প্রক্রিয়া==
এ বিষয়ে ইউনেস্কোর একটি প্রকল্প রয়ে যার নাম ''আন্তর্জাতিক বিশ্ব ঐতিহ্য প্রকল্প''। এই প্রকল্পের আওতায় ২১টি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত ''বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি'' এই তালিকা প্রণয়নের কাজটি করে থাকে। এই সদস্য দেশগুলোকে প্রকল্পের ''স্টেট পার্টি'' বলা হয়। সদস্য দেশগুলো ''জেনারেল এসেম্বলি অফ স্টেট পার্টিস'' কর্তৃক একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হয়। <ref>{{cite web |url=http://whc.unesco.org/en/185/ |title=About World Heritage |publisher=World Heritage |accessdate=2006-10-14 }}</ref> এই কমিটি [[জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ|জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের]] অনুরূপ।
 
এই প্রকল্পের কাজ হল বিশ্বের নানা স্থানে ছড়িয়ে থাকা অনন্যসাধারণ সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক গুরুত্ববিশিষ্ট স্থানসমূহ চিহ্নিত করা এবং তা একটি বৈশ্বিক তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ করা। একইসঙ্গে তালিকাভূক্ত স্থানসমূহকে শ্রেণীভুক্ত করা হয়ে থাকে। [[২০০৬]] খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এ ধরণের মোট ৮৩০টি স্থানের নাম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪৪টি সাংস্কৃতিক, ১৬২টি প্রাকৃতিক এবং ২৪টি মিশ্র শ্রেণীর। মোট ১৩৮টি রাষ্ট্রে এই স্থানগুলো অবস্থিত।
 
এই প্রকল্পের কাজ হল অনন্য সাধারণ সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক গুরুত্ববিশিষ্ট স্থানসমূহের নাম লিপিবদ্ধ করা এবং তাদের শ্রেণীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কিছু বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই স্থানগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ''বিশ্ব ঐতিহ্য ফান্ড'' অর্থ সাহায্য দিয়ে থাকে। [[২০০৬]] সাল পর্যন্ত এ ধরণের মোট ৮৩০টি স্থানের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪৪টি সাংস্কৃতিক, ১৬২টি প্রাকৃতিক এবং ২৪টি মিশ্র শ্রেণীর। মোট ১৩৮টি রাষ্ট্রে এই স্থানগুলো অবস্থিত। ইউনেস্কোর নীতি অনুসারে প্রতিটি ঐতিহ্যবাহী স্থানের একটি পরিচয়বাহী নম্বর দেওয়া হয়। বর্তমানে এই নম্বরের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়ে গেছে যদিও স্থানের সংখ্যা আরও কম। প্রতিটি ঐতিহ্যবাহী স্থানের সমুদয় সম্পত্তি ও জমির মালিক ঐ স্থানটি যে দেশে অবস্থিত সেই দেশ। তবে এই স্থানগুলো রক্ষার দায়িত্ব বর্তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপর। তাই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান প্রকল্পের আওতাভুক্ত সকল রাষ্ট্রই প্রতিটি স্থান রক্ষার ব্যাপারে ভূমিকা নিতে পারে। কিছু বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই স্থানগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইউনেস্কো গঠিত ''বিশ্ব ঐতিহ্য ফান্ড'' থেকে অর্থ সাহায্য দেয়া হয়।
==নির্বাচন মানদণ্ড==
২০০৪ সাল পর্যন্ত, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য ছয়টি এবং প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের জন্য চারটি মানদণ্ড ছিল। ২০০৫ সালে, দশটি মানদণ্ড মিলিয়ে একটি সেট করা হয়েছে। মনোনয়নপ্রাপ্ত সাইট "অসামান্য সার্বজনীন মান" এর হতে হবে এবং দশটি মানদণ্ডের নুন্যতম একটি শর্ত পূরণ করতে হবে।<ref>{{cite web|url=http://whc.unesco.org/en/criteria/|title=Criteria for Selection|publisher=World Heritage|accessdate=14 October 2006}}</ref>
 
===সাংস্কৃতিক মানদণ্ড===
# মানুষের সৃজনশীল প্রতিভার সেরা শিল্পকর্ম
১৮ ⟶ ২৬ নং লাইন:
# চলমান উদ্ভিদ ও প্রাণীর পরিবেশগত ও জৈব বিবর্তন এবং স্থলজ, বিশুদ্ধ জল, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়া, এবং উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকার অসামান্য উদাহরণ
# বিজ্ঞান বা সংরক্ষণ দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক আবাসস্থল সংরক্ষন বিশেষত জৈব বৈচিত্র্য ইন-সিটু, জীব বৈচিত্র্য হুমকি প্রজাতির ধারণকারী এলাকা সংরক্ষণ।
 
 
== পরিসংখ্যান==
অঞ্চল এবং তাদের শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী স্থানের তালিকাঃ<ref>[http://whc.unesco.org/en/list/stat Stats]</ref><ref>[http://whc.unesco.org/pg.cfm?cid=31&l=en&&&&mode=table&order=region World Heritage List]</ref>