আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
WikitanvirBot-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Suvray-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে
১৩ নং লাইন:
|leader_name2 = [[জহির আব্বাস]]<ref name="Abbas">{{cite web|url=http://gulfnews.com/sport/cricket/pakistan/zaheer-abbas-appointed-icc-president-1.1540472 |title=Zaheer Abbas Appointed ICC President |publisher=Gulf News |date=25 June 2015 |accessdate=25 June 2015}}</ref>
|leader_title3 =[[প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা]]
|leader_name3 =[[ডেভ রিচার্ডসন|ডেভ রিচার্ডসন]]
|website = [http://www.icc-cricket.com/ দাপ্তরিক ওয়েবসাইট]
}}
৩০ নং লাইন:
পরিচালনা পরিষদের প্রধান হিসেবে রয়েছেন একজন [[Chairman of the International Cricket Council|চেয়ারম্যান]]। ২৬ জুন, ২০১৪ তারিখে [[ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড|বিসিসিআইয়ের]] সাবেক সভাপতি [[এন. শ্রীনিবাসন|এন. শ্রীনিবাসনকে]] আইসিসির প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করে।<ref>{{cite web|title=Srinivasan elected as the new Chairman of ICC from July 2014 onwards|url=http://www.jagranjosh.com/current-affairs/srinivasan-elected-as-the-new-chairman-of-icc-from-july-2014-onwards-1392007635-1|website=http://www.jagranjosh.com|publisher=Inextlive.jagranjosh.com|accessdate=24 February 2015}}</ref> বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন একই দেশের [[শশাঙ্ক মনোহর]]। আইসিসি সভাপতির পদটি চেয়ারম্যান পদ ও অন্যান্য পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে অনেকাংশেই সম্মানিত পদ হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু ২০১৪ সালে আইসিসি’র গঠনতন্ত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। এ পরিবর্তনের সাথে ‘বিগ থ্রী’ নামে পরিচিত ইংল্যান্ড, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া - এ তিনটি দেশ তাদের অনুকূলে নিয়েছে বলে দাবী করা হয়।<ref name="Kamal Quits">{{cite web|url=http://www.bbc.co.uk/sport/0/cricket/32144906|title=Mustafa Kamal quits as ICC president after World Cup snub|publisher=BBC Sport|date=1 April 2015|accessdate=1 April 2015}}</ref>
 
জুন, ২০১৫ সাল থেকে বর্তমান সভাপতি হিসেবে রয়েছেন পাকিস্তানের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ও সাবেক ব্যাটিং তারকা [[জহির আব্বাস]]।<ref name="Abbas"/> [[বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড|বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের]] সাবেক সভাপতি [[আ হ ম মোস্তফা কামাল]] ২০১২ সালে আইসিসির সভাপতি হিসেবে নিউজিল্যান্ডীয় [[অ্যালান আইজ্যাক|অ্যালান আইজ্যাকের]] স্থলাভিষিক্ত হন।<ref>[http://www.bbc.co.uk/sport/0/cricket/18624141 "Alan Isaac". BBC News. Retrieved 29 June 2012.]</ref> ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর এপ্রিল, ২০১৫ সালে অসাংবিধানিক ও অনিয়মতান্ত্রিক পন্থায় সংগঠন পরিচালনার অভিযোগ উত্থাপন করে তিনি পদত্যাগ করেন।<ref name="Kamal Quits">{{cite web|url=http://www.bbc.co.uk/sport/0/cricket/32144906|title=Mustafa Kamal quits as ICC president after World Cup snub|publisher=BBC Sport|date=1 April 2015|accessdate=1 April 2015}}</ref> আইসিসির বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার [[ডেভ রিচার্ডসন]] [[হারুন লরগাত|হারুন লরগাতের]] স্থলাভিষিক্ত হন।<ref name=ISSC>{{cite web|last=International Sports Security Conference |title=Haroon Lorgat |url=http://www.securingsport.com/programme/speakers-2/ |work=Profile of speakers at the conference |deadurl=no |accessdate=19 September 2013}}</ref>
 
==ইতিহাস==
৫৫ নং লাইন:
আইসসিসির আয়ের প্রধান উৎস হল, তাদের আয়োজন বিভিন্ন প্রতিযোগিতাসমূহ বিশেষ করে [[ক্রিকেট বিশ্বকাপ]]। আইসিসি তাদের আয়ের একটি বড় অংশ সদস্যদেশগুলোর মাঝে বণ্টন করে দেয়। ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় বিভিন্ন প্রতিযোগিতার স্পন্সরশীপ ও টেলিভিশনসত্ত্ব বিক্রির মাধ্যমে আইসিসি ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে, যা এখন পর্যন্ত তাদের আয়ের প্রধান উৎস। ২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নয় মাস আইসিসি, সদস্য সাবস্ক্রিপশান ও স্পন্সরশিপ থেকে মোট ১২.৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। প্রতিটি প্রতিযোগিতার বিপরীতে আইসিসি ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ থেকে অর্জিত ২৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ, মোট ২৮৫.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। আইসিসি এই সময়ের মধ্যে তাদের বিভিন্ন বিনিয়োগ হতে ৬.৬৯৫ মিলিয়ন ডলার মার্কিন আয় করে।
 
আইসিসি দ্বি-পাক্ষিক আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো ([[টেস্ট ম্যাচ]], [[একদিনের আন্তর্জাতিক]], [[টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক| টুয়েন্টি২০]]) হতে কোন ধরণের আয় করে না, কেননা এসকল ম্যাচের সত্ত্বের মালিকানা সদস্যদেশগুলোর এবং তাদের দ্বারাই পরিচালিত হয়। তাই বিশ্বকাপের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে আইসিসি নতুন নতুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। [[আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি]] এবং ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত আইসিসি সুপার সিরিজ অন্যতম। যদিও এসকল প্রতিযোগিতা আইসিসির আশানুরূপ সফল হয়নি। আইসিসি সুপার সিরিজ চরমভাবে ব্যর্থ হয় এবং পুনরায় আয়োজন করা হয়নি। ২০০৬ সালে ভারত, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পুনরায় না আয়োজন করার আবেদন করে। ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে [[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেন ২০০৫]] সালের সংস্করণে "টার্কি অব ক্রিকেট" ও "চরম ব্যর্থ" হিসেবে আখ্যায়িত করে। যদিও নতুন ফরম্যাটের কারণে ২০০৬ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনেক সফল হয়।
 
২০০৭ সালে প্রথম [[আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০]] চালু হয়, যা ছিল একটি সফল প্রতিযোগিতা। আইসিসির বর্তমান পরিকল্পনা প্রত্যেক বছর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা এবং প্রতি দুইবছর অন্তর অন্তর আইসিসি টুয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করা। একই সাথে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতি চার বছর পর পর আয়োজিত হবে।
৭৫ নং লাইন:
{{মূল নিবন্ধ|আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সদস্যদের তালিকা}}
 
আইসিসি [[আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সদস্যদের তালিকা|তিন স্তরবিশিষ্ট সদস্যের]] ব্যবস্থা রেখেছে। পূর্ণাঙ্গ সদস্যভূক্ত ১০টি ক্রিকেট পরিচালনা বোর্ডের দলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণের অধিকারী। সহযোগী সদস্যভূক্ত ৩৮টি<ref name="ICC"/><ref name="new2">{{cite web |url= http://www.icc-cricket.com/news/2013/media-releases/70819/outcomes-from-icc-annual-conference-week-in-london |title= Outcomes from ICC Annual Conference week in London |accessdate=2013-06-29|work= |publisher=icc-cricket}}</ref><ref name="ICC"/> ক্রিকেট পরিচালনা বোর্ডের স্থায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে ও ক্রিকেট খেলা আয়োজন করে থাকে; কিন্তু তারা পূর্ণ সদস্যের পর্যায়ে পড়ে না। এছাড়াও আইসিসি স্বীকৃত ৫৭টি<ref name="ICC"/> ক্রিকেট পরিচালনা বোর্ড আছে যারা [[ক্রিকেটের আইন]] অনুসারে ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়ে থাকে।
 
সাম্প্রতিককালে আয়ারল্যান্ডসহ স্কটল্যান্ড ও আফগানিস্তানের ন্যায় আগ্রহী দেশগুলোর পূর্ণাঙ্গ সদস্যভূক্তিকরণে টেস্ট মর্যাদাপ্রাপ্তি না দেয়ায় আইসিসি ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে।<ref>{{cite web|url=http://www.espncricinfo.com/ci-icc/content/story/892955.html|title=Anger as 10-team World Cup not up for debate|work=Cricinfo}}</ref><ref>{{cite web|url=http://www.espncricinfo.com/blogs/content/story/874359.html|title=Kamran Abbasi|work=Cricinfo}}</ref> ২০০০ সালে বাংলাদেশকে পূর্ণাঙ্গ সদস্যের মর্যাদাদানের পর আইসিসি শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক ক্রীড়া ও বৈশ্বিক ক্রীড়ায় উদ্বুদ্ধকরণে আর কোন দলকে সম্পৃক্ত করেনি।<ref>{{cite web|url=http://www.icc-cricket.com/about/44/about-icc/about-icc|title=About ICC Cricket - International Cricket Council|work=icc-cricket.com}}</ref> পাশাপাশি, অনুমোদনপ্রাপ্ত সদস্য দেশসমূহের ক্ষেত্রেও সহযোগী সদস্যের পর্যায়েও কম সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তবে, আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় সুপার টেন পর্যায়ে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে অনুমোদনপ্রাপ্ত ও সহযোগী দেশসমূহ একে-অপরের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ রয়েছে।
৯৫ নং লাইন:
 
*[[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণী]]
**[[আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ|আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ]] (টেস্ট লীগ)
**[[ICC Intercontinental Cup|আইসিসি আন্তঃমহাদেশীয় কাপ]] (টেস্ট বহির্ভূত দেশসমূহের মধ্যকার প্রথম-শ্রেণীর খেলা)
*[[সীমিত ওভারের ক্রিকেট|একদিন]]
**[[আইসিসি ওডিআই চ্যাম্পিয়নশীপ|আইসিসি ওডিআই চ্যাম্পিয়নশীপ]] (একদিনের লীগ)
**[[ক্রিকেট বিশ্বকাপ|আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ]]
**[[আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি]] (বিশ্বকাপের ক্ষুদ্রতম সংস্করণ)
১১২ নং লাইন:
== আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেট কাউন্সিল ==
{{মূল নিবন্ধ|আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেট কাউন্সিল}}
[[চিত্র:ICC-cricket-member-nations.png|thumb|270px|মানচিত্রে [[আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল|আইসিসিভূক্ত]] দেশ। পূর্ণাঙ্গ দেশ - কমলা, সহযোগী দেশ - হলুদ এবং অনুমোদনপ্রাপ্ত দেশকে - বেগুনী রঙে চিত্রিত করা হয়েছে।]]
 
১৯৫৮ সালে [[মহিলা|মহিলাদের]] ক্রিকেট সংস্থারূপে [[আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেট কাউন্সিল]] গঠিত হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে মহিলাদের ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া]], [[ইংল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ড]], [[নিউজিল্যান্ড জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দল|নিউজিল্যান্ড]] এবং [[দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দল|দক্ষিণ আফ্রিকা]] - এই চারটি দেশের মধ্যেকার ক্রিকেট খেলা প্রচলিত ছিল।<ref>[http://www.stgeorgespark.nmmu.ac.za/content/women/displayarticle.asp?artid=wom_001 "The History of the SA & Rhodesian Women's Cricket Association". St George's Park. Retrieved 2009-11-22.]</ref> পরবর্তীতে ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেট কাউন্সিলকে আইসিসি'র সাথে একীভূত করা হয়। এরফলে একই [[ক্রীড়া সংস্থা|ক্রীড়া সংস্থারূপে]] ক্রিকেটের মানোন্নয়নে সহযোগিতা ও পরিচালনা করা আরো সহজতর হয়।<ref>[http://icc-cricket.yahoo.net/the-icc/pepsi_icc_development_programme/woman_cricket.php "Women's Cricket". International Cricket Council. Retrieved 2009-11-22.]</ref>