কোহিনূর হীরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
কিছু লাইনের অনাবশ্যক পৌনঃপুনিকতা শুধরে দিলাম।
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সাধারণ সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{Infobox Diamond
| image = [[চিত্র:Koh-i-Noor old version copy.jpg|150px]]
| caption = কাচের তৈরী কোহিনূর হীরার একটি অনুকৃতি : মিউনিখের ’রাইখ দার ক্রিস্টাল’ জাদুঘরে রক্ষিত
| caption = Glass replica of the Koh-I-Noor Diamond in its orginal form. From the [[Reich der Kristalle]] museum in [[Munich]].
| colour_scheme =
| gem_name = Koh-i-Noorকোহিনূর
| weight = 105.6
| grams = 21.6
| color = বর্ণহীন, শ্বেত শুভ্র
| cut =
| mine = কোল্লুর খনি , [[গুন্টুর জেলা]], [[অন্ধ্রপ্রদেশ]], [[ভারত]]<ref name="Mears1988">{{cite book|author=Kenneth J. Mears|title=The Tower of London: 900 Years of English History|url=http://books.google.com/books?id=D_kgAAAAMAAJ|year=1988|publisher=Phaidon|isbn=978-0-7148-2527-4|page=100}}</ref>
| country = [[Indiaভারত]]
| cutter =
| found = ত্রয়োদশ শতাব্দী
| original_owner = কাকাতিয়া রাজবংশ (১১৬৩-১৩২৩)
| owner = [[Britishব্রিটিশ Crownরাজ Jewels]]পরিবার <ref>{{cite web|url=https://www.royalcollection.org.uk/about/frequently-asked-questions|publisher=Royal Collection Trust|title=FAQ: Does the Queen own the Royal Collection?|accessdate=30 December 2015}}</ref>
| value =
}}
'''কোহিনূর''' বা আলোর পর্বত নামে খ্যাত হীরারহীরক খণ্ডের ইতিহাস অতি দীর্ঘ এবং বর্ণাঢ্য। এর ইতিহাসের সূচনা ১৩০৪ সালে।খ্রিস্টাব্দে। প্রাচীনকালের সুন্দরী কুমারীর মতো এটিও বিভিন্ন রাজা বাদশাহ ও শাসকের হাত ঘুরে এখন স্থান পেয়েছে [[টাওয়ার অফ লন্ডন|টাওয়ার অফ লন্ডনে]]। কোহিনূর শাব্দিক অর্থ ''আলোর পর্বত'' । হীরক খণ্ডটির ওজন ১০৮.৯৩ [[ক্যারট]] ।
 
==ইতিহাস ==
ষোড়শ শতাব্দীতে কোহিনূর মালওয়ার রাজাদের অধিকারে ছিল এবং পরবর্তীকালে তা [[মোগল]] সম্রাটদের হাতে আসে এবং সম্রাট শাহজাহান নির্মিত ময়ূর সিংহাসনের শোভা বর্ধন করে। মোগল সাম্রাজ্য যখন বিক্ষিপ্ত ও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তখন [[নাদির শাহ|নাদির শাহকে]] আমন্ত্রণ জানানো হয় মুসলিম শাসনের গৌরবোজ্জ্বল দিন ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করতে। কিন্তু তাকে প্রতিশ্রুত অর্থ না দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়। কৌশলে তিনি মোগলদের কাছ থেকে কোহিনূর উদ্ধার করে নিয়ে যান ইরানে। কোহিনূর নামটিও নাদির শাহের দেয়া। নাদির শাহ নিহত হবার পর কোহিনূর আসে [[আফগানিস্তান]] সম্রাট হুমায়ুনের পুত্রের কাছে।
===শিখ কর্তৃক অধিগ্রহণ===
পঞ্জাবের মহারাজা রঞ্জিত সিংহ আফগান শাসকের থেকে কোহিনুর হিরেহিরা পেয়েছিলেন। তিনি তা উইল করে পুরীর [[জগন্নাথ মন্দির, পুরী|জগন্নাথ মন্দিরকে]] দিয়ে যান।
 
===ব্রিটিশ কর্তৃক অধিগ্রহণ===
দ্বিতীয় ব্রিটিশ-শিখ যুদ্ধের পর শিখদের হারিয়ে ব্রিটিশরা শিখ সাম্রাজ্য দখল করে। তার জন্য [[লর্ড ডালহৌসি]] [[লাহোর|লাহৌরের]] শেষ চুক্তি তৈরি করেন। সেই চুক্তিতেই কোহিনুর-সহ মহারাজার যাবতীয় সম্পত্তি ইংল্যান্ডের মহারানি ভিক্টোরিয়াকে সমর্পণের কথা বলা হয়েছিল।
 
উত্তরসূরি দলীপ সিংহ ১৮৫০-এ [[ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির]] হাতে এ’টি তুলে দেন। শেষ পর্যন্ত সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮৫০ সালেখ্রিস্টাব্দে তুলে দেন [[রাণী ভিক্টোরিয়া|রাণী ভিক্টোরিয়ার]] হাতে। ১০৮.৯৩ [[ক্যারট]] ওজনবিশিষ্ট কোহিনূর প্রথমে রাণী ভিক্টোরিয়া ব্যবহার করতেন তার হাতে। এরপর সেটি স্থান পায় বৃটিশ মুকূটে। উপমহাদেশের এক সময়ের অহংকার এখন বৃটেনে।
 
==মালিকানা বিরোধ==
১৮৫০-এ দলীপ সিংহ ছিলেন নাবালক। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, নাবালক রাজাকে চাপ দিয়ে কোহিনুর নেওয়া হয় । এবং সেই যুক্তিতেই ১৯৪৭-এ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার সময় এবং তার পরে ১৯৫৩ সালেওখ্রিস্টাব্দেও বর্তমান রানিরাণী [[দ্বিতীয় এলিজাবেথ|দ্বিতীয় এলিজাবেথের]] রাজ্যাভিষেকের সময় কোহিনুর ফেরানোরপ্রত্যর্পণের দাবি তুলেছে [[ভারত]]। কিন্তু চুক্তির প্রসঙ্গ তুলে তা খারিজ করে দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
 
কোহিনূরের মালিকানা নিয়ে আশির দশকেও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। [[ইরান]], [[ভারত]], [[পাকিস্তান]], [[আফগানিস্তান]], এমনকি [[বাংলাদেশ]] পর্যন্ত এর সত্ত্ব দাবি করেছিল। তবে [[বৃটিশ]] সরকার সব দাবিই প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এসকল দাবী অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছে।