আকরাম খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

'''মোহাম্মদ আকরাম হুসেইন খান''' ([[জন্ম]]: [[নভেম্বর ১]], [[১৯৬৮]], [[চট্টগ্রাম]]) সাবেক [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] [[ক্রিকেট|ক্রিকেটার]], যিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ৮টি [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট]] ও ৪৪টি [[একদিনের আন্তর্জাতিক]] খেলায় [[বাংলাদেশ জাতিয়জাতীয় ক্রিকেট দল|বাংলাদেশের]] প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ১৫টি সীমিত ওভারের একদিনের খেলায় বাংলাদেশের [[অধিনায়ক (ক্রিকেট)|নেতৃত্ব]] দিয়েছেন। মারকুটে [[ব্যাটিং (ক্রিকেট)|ব্যাটসম্যান]] '''আকরাম খান''' [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] [[চট্টগ্রাম বিভাগ]] দলের হয়ে খেলেন।

উদ্বোধনী টেস্ট থেকে শুরু করে তিনি বাংলাদেশের হয়ে ৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। তার ব্যাটিং গড় ১৬.১৮ এবং সর্বোচ্চ রান ৪৪ যা ২০০১ সালে [[হারারে|হারারেতে]] হয়েছিল [[জিম্বাবুয়ে জাতিয়জাতীয় ক্রিকেট দল|জিম্বাবুয়ের]] বিপক্ষে।

১৯৮৮ সালের অক্টোবর মাসে আকরাম খানের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক ঘটে তার শহর [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামেই]]। তিনি সেদিন ৮ নম্বর অবস্থানে খেলতে নামেন এবং দুর্দান্ত পাকিস্তানি বোলারদের মোকাবেলা করে ৩৫ বলে ২১ রান করেন। ১৯৯৫ সালে [[শারজাহ ক্রিকেট এ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম|শারজায়]] অণুষ্ঠিতঅনুষ্ঠিত [[এশিয়া কাপ|এশিয়া কাপে]] তিনি বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন। তার প্রথম অর্ধশত রান আসে [[কলম্বো|কলম্বোয়]] ১৯৯৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। তিনি এবং [[আতহার আলী খান]] ১১০ রানের জুটি গড়েন। তার সর্বোচ্চ একদিনের আন্তর্জাতিক রান ৬৫ আসে ১৯৯৯ সালে [[কেনিয়া জাতিয়জাতীয় ক্রিকেট দল|কেনিয়ার]] বিপক্ষে ঢাকায়। তিনি [[১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|১৯৯৯]] এবং [[২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|২০০৩ সালের]] [[ক্রিকেট বিশ্বকাপ|ক্রিকেট বিশ্বকাপে]] অংশগ্রহণ করেন। ৪২ রান করে ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে [[পাকিস্তান জাতিয়জাতীয় ক্রিকেট দল|পাকিস্তানের]] বিপক্ষে স্মরণীয় জয়ে তিনি বড় অবদান রাখেন।<ref>[http://stats.cricinfo.com/ci/engine/player/56221.html?class=2;template=results;type=allround;view=innings] ক্রিকইনফো: আকরাম খানের একদিনের আন্তর্জাতিক</ref>

১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে আকরাম খান বাংলাদেশ জাতিয়জাতীয় দলের [[বাংলাদেশ জাতিয়জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তালিকা|অধিনায়কত্ব]] গ্রহণ করেন। যখন দল সবেমাত্র [[আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব|আইসিসি ট্রফি]] ১৯৯৪ থেকে হতাশাব্যাঞ্জক ফলাফল করে ফিরেছে এবং দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ঐক্যের অভাব ও অসন্তোষ রয়েছে। যদিও অধিনায়ক হিসেবে তার তেমন কোন অভিজ্ঞতা ছিল না তবু এই ঝুঁকি নেয়া হয়েছিল।

১৯৯৪ সালে ঢাকায় অণুষ্ঠিতঅনুষ্ঠিত চারদেশীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় তার দল ফাইনাল খেলে এবং তিনি সেই ম্যাচে সাহসিকতাপূর্ন ব্যাটিং করে ৬৬ রান করেন যদিও ৫২ রানে বাংলাদেশ দল ভারত এ দলের কাছে পরাজিত হয়। তার অধিনাকয়ত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন জয়টি আসে ১৯৯৭ সালে [[মালয়েশিয়া|মালয়েশিয়ার]] [[কুয়ালালামপুর|কুয়ালালামপুরে]] অণুষ্ঠিতঅনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়া। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ১৯৯৮ সালে আকরাম খানের হাত ধরেই কেনিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ তার প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জয় পায়।

আকরাম খানের পরিবার একটি ক্রিকেটীয় পরিবার। তার ভাতিজা [[নাফিস ইকবাল]] এবং [[তামিম ইকবাল]] বাংলাদেশ জাতিয়জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন । তারা দুই জনই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। [[তামিম ইকবাল]] বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটে অতি মারমুখী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একজন।

title=[[বাংলাদেশ জাতিয়জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কদের তালিকা|বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক]]|

[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ জাতিয়জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক]]