শুক্তো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Gangulybiswarup (আলোচনা | অবদান)
img+
Sujay25 (আলোচনা | অবদান)
+history
১ নং লাইন:
{{Infobox food
| name = শুক্তো
| image =
| caption =
| alternate_name =
| country =
| region = [[বাংলা]]
| national_cuisine =
| creator = <!-- or | creators = -->
| year =
| mintime =
| maxtime =
| type =
| course =
| served =
| main_ingredient = উচ্ছে, করলা, পল্‌তা, নালতে, নিম
| minor_ingredient = সিম, বেগুন, কাঁচা কুমড়ো, কাঁচকলা, মোচা
| minor_ingredient =
| variations =
| serving_size = 100 g
| calories =
| protein =
| fat =
| carbohydrate =
| glycemic_index =
| similar_dish =
| other =
}}
[[File:Vegetables Curry - Kolkata 2011-02-24 1725.JPG|thumb|শুক্তো, কলকাতা।]]
শুক্তো অথবা শুক্তুনি তিক্ত রসের এক ধরনের বাঙ্গালী খাবার যা সাধারনত আহারের শুরুতে মুখসুদ্ধি হিসাবে খাওয়া হয়ে থাকে। পদ্মপুরাণে বেহুলার বিয়ের নিরামিষ খাবারের মধ্যে শুক্তোর উল্লেখ পাওয়া যায়। ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গলেও বাইশ রকমের নিরামিষ পদের মধ্যে শুক্তুনিকে পাওয়া যায়। <ref name=A>{{বই উদ্ধৃতি|last1=রায়|first1=প্রণব|title=বাংলার খাবার|date=জুলাই, ১৯৮৭|publisher=সাহিত্যলোক|location=কলকাতা|page=১০-২৩}}</ref>
 
==ইতিহাস==
শুক্তো যে যে সব উপকরন দিয়ে তৈরী হয় সেগুলি স্বাস্থ্যের পক্ষ্যে উপকারী। তিক্ত রসে রুচী বাড়ে। পলতা, নালতে, উচ্ছে, করলা, কচি নিম পাতা ইত্যাদি শুক্তোর তিক্ত রসের জন্যে ব্যাবহার করা হয়। <ref name=b>{{বই উদ্ধৃতি|last1=মুখোপাধ্যায়|first1=বিপ্রদাস|title=পাক প্রনালী|publisher=গুরুদাস চট্টপাধ্যায় এন্ড সন্স|location=কলকাতা|page=৫৮}}</ref> পর্তুগিজরা বাংলায় আলুর ব্যাবহার চালু করবার পর থেকে এটি শুক্তোর একটি উপাদান হিসেবে ব্যাবহার করা হয়। <ref name=C>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|last1=দত্তরায়|first1=সুনন্দ|title=A window on history - Remains of Portuguese days|url=http://www.telegraphindia.com/1160604/jsp/opinion/story_89176.jsp#.V9OvDzV-aPU|work=The Telegraph, Calcutta, India|publisher=এবিপি গ্রুপ|date=৪ জুন, ২০১৬}}</ref>
মঙ্গলকাব্য ও বৈষ্ণবসাহিত্যে এই রান্নাটির বহুবার উল্লেখ পাওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানে আমরা 'শুক্তো' বলতে যেমন উচ্ছে, করলা, পল্‌তা, নিম, সিম, বেগুন প্রভৃতির সবজির তিক্ত ব্যঞ্জনকে বুঝি, প্রাচীনকালে তা ছিল না। একালের শুক্তোকে সেকালে 'তিতো' বলা হত। <ref name=B>{{বই উদ্ধৃতি|last1=রায়|first1=প্রণব|title=বাংলার খাবার|date=জুলাই, ১৯৮৭|publisher=সাহিত্যলোক|location=কলকাতা|page=১২২}}</ref>
 
সেকালে 'শুক্তা' রান্না করা হত- বেগুন, কাঁচা কুমড়ো, কাঁচকলা, মোচা এই সবজিগুলি গুঁড়ো বা বাটা মসলা অথবা বেসমের সঙ্গে বেশ ভালো করে মেখে বা নেড়ে নিয়ে ঘন 'পিঠালি' মিশিয়ে রান্না করা হত। <ref name=C>{{বই উদ্ধৃতি|last1=রায়|first1=প্রণব|title=বাংলার খাবার|date=জুলাই, ১৯৮৭|publisher=সাহিত্যলোক|location=কলকাতা|page=১২৩}}</ref>
 
কিন্তু 'চৈতন্যচরিতামৃতে' সুকুতা, শুকুতা বা সুক্তা বলতে একধরণের শুকনো পাতাকে বলা হয়েছে। এটি ছিল আম-নাশক। সম্ভবত এটি ছিল শুকনো তিতো পাটপাতা। রাঘব পণ্ডিত মহাপ্রভুর জন্য নলাচলে যেসব জিনিস নিয়ে গিয়েছিলেন তার মধ্যে এই দ্রব্যটিও ছিল।<ref name=C>{{বই উদ্ধৃতি|last1=রায়|first1=প্রণব|title=বাংলার খাবার|date=জুলাই, ১৯৮৭|publisher=সাহিত্যলোক|location=কলকাতা|page=১২৩}}</ref>
 
আবার 'সুকুতা' বলতে সেই সময় শুকনো শাকের ব্যঞ্জনকেও বোঝাত।<ref name=C>{{বই উদ্ধৃতি|last1=রায়|first1=প্রণব|title=বাংলার খাবার|date=জুলাই, ১৯৮৭|publisher=সাহিত্যলোক|location=কলকাতা|page=১২৩}}</ref>
 
==উপকরণ==
শুক্তো যে যে সব উপকরন দিয়ে তৈরী হয় সেগুলি স্বাস্থ্যের পক্ষ্যে উপকারী। তিক্ত রসে রুচী বাড়ে। পলতা, নালতে, উচ্ছে, করলা, কচি নিম পাতা ইত্যাদি শুক্তোর তিক্ত রসের জন্যে ব্যাবহার করা হয়। <ref name=bD>{{বই উদ্ধৃতি|last1=মুখোপাধ্যায়|first1=বিপ্রদাস|title=পাক প্রনালী|publisher=গুরুদাস চট্টপাধ্যায় এন্ড সন্স|location=কলকাতা|page=৫৮}}</ref> পর্তুগিজরা বাংলায় আলুর ব্যাবহার চালু করবার পর থেকে এটি শুক্তোর একটি উপাদান হিসেবে ব্যাবহার করা হয়। <ref name=CE>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|last1=দত্তরায়|first1=সুনন্দ|title=A window on history - Remains of Portuguese days|url=http://www.telegraphindia.com/1160604/jsp/opinion/story_89176.jsp#.V9OvDzV-aPU|work=The Telegraph, Calcutta, India|publisher=এবিপি গ্রুপ|date=৪ জুন, ২০১৬}}</ref>
 
==তথ্যসূত্র==