বাগর্থবিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করেছে
৬ নং লাইন:
অর্থবিজ্ঞানীরা অর্থকে দুইটি প্রধান ভাগে ভাগ করেন: বক্তার অর্থ, এবং শব্দার্থ/বাক্যার্থ। বক্তার অর্থ বলতে কোন বক্তা কোন একটি ভাষাংশ ব্যবহারের মাধ্যমে আসলে কী বোঝাতে চাচ্ছেন তাকে বোঝায়; বক্তার অভিব্যক্তি-ই এখানে মুখ্য। অন্যদিকে শব্দার্থ/বাক্যার্থ বলতে কোন ভাষার শব্দ বা বাক্যের সমতুল কোন কিছুকে বোঝায়; অর্থাৎ এটি শব্দ বা বাক্যটির আভিধানিক অর্থ।
 
একই বাক্য বা শব্দ ভিন্ন ভিন্ন বক্তা পরিস্থিতিভেদে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে প্রয়োগ করতে পারেন। এমনকি কোন কোন বাক্যের আক্ষরিক অর্থ স্ববিরোধী বা অবাস্তব হলেও ঐ বাক্যগুলির মাধ্যমে বক্তা কোন অণুভূতিঅনুভূতি অপরের কাছে প্রকাশ করতে পারেন। অর্থবিজ্ঞানীরা চেষ্টা করেন বিধিসম্মতভাবে এই ঘটনাগুলি ব্যাখ্যা করতে। তাঁরা রসায়ন, ভূ-বিজ্ঞান ও অন্যান্য ভৌত বিজ্ঞানের মত অর্থ সম্পর্কিত তত্ত্ব দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা অর্থ সম্পর্কে কতগুলি সুনির্দিষ্ট, পরস্পর-সম্পর্কিত, সাশ্রয়ী সংজ্ঞা ও বিবৃতি গঠন করার চেষ্টা করেন, যেগুলি ভাষাতে অর্থ সম্পর্কিত বিপুল পরিমাণ সাধারণ তথ্য (fact) ব্যাখ্যা করতে সক্ষম। দেখা গেছে, বিভিন্ন ভাষার অর্থ সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য বা ঘটনাবলির মধ্যে অনেক মিল আছে (অনেক অমিল-ও আছে, কিন্তু অর্থবিজ্ঞানীরা মিলগুলির প্রতিই আগ্রহী)। অর্থবিজ্ঞানীরা এই সাদৃশ্যগুলি বিবেচনা মানুষের বলা সব ভাষার জন্য প্রযোজ্য একটি সাধারণ অর্থ বিষয়ক তত্ত্ব নির্মাণের চেষ্টা করেন।
 
প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক আরিস্তোত্‌ল অর্থ নিয়ে প্রথম গবেষণা শুরু করেন, তবে তার পর অর্থবিজ্ঞানের অনেক উন্নতি ঘটেছে। বর্তমান অর্থবিজ্ঞানীরা প্রতীকী যুক্তিবিজ্ঞান, সৃষ্টিশীল ব্যাকরণ, ইত্যাদি আধুনিক কলাকৌশলের সহায়তা নিয়ে থাকেন, যেগুলি আরিস্তোত্‌লের কাছে লভ্য ছিল না।
৫৯ নং লাইন:
অর্থ (sense) কোন বাস্তব বস্তুকে নির্দেশ করে না। এটা আসলে ঠিক কী নির্দেশ করে তা সংজ্ঞার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা কঠিন। অর্থ বিমূর্ত ও মানসিক। যখন একজন ব্যক্তি কোন কথা বুঝতে পারেন, তখন তিনি কথাটির অর্থ (sense) ধরতে পেরেছেন বলে গণ্য করা হয়।
 
সমস্ত কথা বা এক্সপ্রেশনেরই অর্থ (sense) আছে, তবে কোন এক্সপ্রেশনে নির্দেশন, অর্থাৎ বাস্তব জগৎেরজগতের কোন বস্তু, ব্যক্তি, ইত্যাদির প্রতি নির্দেশ থাকতেও পারে, না-ও থাকতে পারে।
 
কোন শব্দ বা শব্দগুচ্ছের যেমন একটি পূর্ণ বাক্যের মত ব্যাকরণগত সম্পূর্ণতা নেই, ঠিক একইভাবে কোন শব্দ বা শব্দগুচ্ছের অর্থ (sense) একটি বচনের মত আর্থিক সম্পূর্ণতা ও স্বাধীনতা প্রকাশ করতে পারে না। কোন শব্দ বা শব্দের অর্থ জেনেই এটি কোন্‌ অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে তা বলা যায় না, একটি বৃহত্তর বচনের কাঠামোয় ফেলে এর অর্থ (sense) বিশ্লেষণ করতে হয়।