অমর একুশে গ্রন্থমেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করেছে
৩ নং লাইন:
[[চিত্র:Muktodhara 2010.jpg|thumb|right|অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১০-এ মুক্তধারার দোকান।]]
 
'''অমর একুশে গ্রন্থমেলা''', ব্যাপকভাবে পরিচিত '''একুশে বইমেলা''', স্বাধীন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] ঐতিহ্যবাহী [[মেলা|মেলাগুলোর]] অন্যতম। প্রতি বছর পুরো [[ফেব্রুয়ারি]] মাস জুড়ে এই মেলা [[বাংলা একাডেমী|বাংলা একাডেমীর]] [[বর্ধমান হাউজ]] প্রাঙ্গণে ও বর্ধমান হাউজ ঘিরে অণুষ্ঠিতঅনুষ্ঠিত হয়। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাংলা একাডেমির মুখোমুখি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
 
== নামকরণ ==
১৬ নং লাইন:
== বিবরণ ==
[[Image:Ekushey book fair banner.JPG|thumb|একুশে বই মেলা ২০১৬ ব্যানার]]
বেশ কয়েক বছর পূর্বে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রন্থমেলা নিয়মিতভাবে অণুষ্ঠিতঅনুষ্ঠিত হতো। এরপর ক্রেতা, দর্শক ও বিক্রেতাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারির শেষ দিন অবধি এই মেলা বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে অণুষ্ঠিতঅনুষ্ঠিত হয়। যেহেতু ফেব্রুয়ারি মাসে চার বছর পর পর [[অধিবর্ষ]] আসে, তাই কখনও এই মেলা মাসের [[ফেব্রুয়ারি ২৮|২৮ তারিখে]], কখনও [[ফেব্রুয়ারি ২৯|২৯ তারিখে]] শেষ হয়। [[গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার|গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের]] [[সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)|সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়]] মেলা নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে। প্রকাশনীসমূহের স্টলগুলো প্রকাশক এলাকা, প্রকাশক-বিক্রেতা এলাকা, শিশু কর্ণার, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং লিটল ম্যাগাজিন ইত্যাদি এলাকায় বিভাজন করে স্থান দেয়া হয়। এছাড়া মেলা চত্বরকে ভাষা শহীদ [[আব্দুস সালাম|সালাম]], রফিক, জব্বার, বরকত, শফিউর এবং [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]], [[কাজী নজরুল ইসলাম]], [[ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ]], [[আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ]] প্রমুখ ব্যক্তিত্বের নামে ভাগ করা হয়। এই মেলায় দেশের খ্যাতনামা সব প্রকাশনী, বই বিক্রেতা ছাড়াও দেশের বাইরে, যেমন [[ভারত]], [[রাশিয়া]], [[জাপান]] প্রভৃতি দেশ থেকেও নানা প্রকাশনা সংস্থা তাঁদের বই ও প্রকাশনা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। এই মেলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারেরও বহু রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান, যেমন: [[বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন]], [[বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর]] ইত্যাদি তাদের স্টল নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করে। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানও অংশ নেয়। মেলাতে ইদানিং বিভিন্ন ডিজিটাল প্রকাশনা যেমন সিডি, ডিভিডি ইত্যাদিও স্থান করে নিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানও তাদের সেবার বিবরণসহ উপস্থিত হয়। মেলাতে বেশ জনপ্রিয়তার সাথে স্থান করে নিয়েছে [[লিটল ম্যাগাজিন]]ও। মেলার মিডিয়া সেন্টারে থাকে ইন্টারনেট ও ফ্যাক্স ব্যবহারের সুবিধা। এছাড়া থাকে লেখক কর্ণার এবং তথ্যকেন্দ্র। মেলা প্রাঙ্গণ পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত। মেলায় বইয়ের বিক্রয়ে ২০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় থাকে। এছাড়া মেলায় শিক্ষাসহায়ক পরিবেশ ও তথ্যের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স রাখা হয়, যারা বইয়ের [[কপিরাইট]] বা মেধাসত্ত্ব আইন লঙ্ঘন করেছে কি-না শনাক্ত করেন ও যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেন।
 
মেলায় প্রবেশের জন্য ছুটির দিন ও ছুটির দিন বাদে অন্যান্য দিন আলাদা প্রবেশ সময় থাকে। মেলায় প্রবেশের জন্য কোনো প্রবেশ ফি ধার্য করা হয় না।
 
== অনুষ্ঠানাদি ==
== অণুষ্ঠানাদি ==
[[চিত্র:Boimela2011-Seminar.jpg|right|thumb|300px|২০১১ খ্রি বইমেলায় একটি সেমিনারে পুরোহিত অধ্যাপক পবিত্র সরকার ও আলোচকবৃন্দ]]
 
মেলা চলাকালীন প্রতিদিনই মেলাতে বিভিন্ন আলোচনা সভা, [[কবিতা]] পাঠের আসর বসে; প্রতি সন্ধ্যায় থাকে সাংস্কৃতিক অণুষ্ঠান।অনুষ্ঠান। এছাড়া মেলাতে লেখককুঞ্জ রয়েছে, যেখানে লেখকেরা উপস্থিত থাকেন এবং তাঁদের বইয়ের ব্যাপারে পাঠক ও দর্শকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এছাড়া মেলার তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রতিনিয়ত নতুন মোড়ক উন্মোচিত বইগুলোর নাম, তদীয় লেখক ও প্রকাশকের নাম ঘোষণা করা হয় ও দৈনিক প্রকাশিত বইয়ের সামগ্রিক তালিকা লিপিবদ্ধ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন [[বেতার|রেডিও]] ও [[টেলিভিশন]] চ্যানেল মেলার মিডিয়া স্পন্সর হয়ে মেলার তাৎক্ষণিক খবরাখবর দর্শক-শ্রোতাদেরকে অবহিত করে। এছাড়াও মেলার প্রবেশদ্বারের পাশেই স্টল স্থাপন করে বিভিন্ন রক্ত সংগ্রাহক প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে রক্ত সংগ্রহ করে থাকে।
 
[[২০১০]] খ্রিস্টাব্দ থেকে এই মেলার প্রবর্তক জনাব [[চিত্তরঞ্জন সাহা|চিত্তরঞ্জন সাহার]] নামে একটি পদক প্রবর্তন করা হয়। পূর্ববর্তী বছরে প্রকাশিত বইয়ের গুণমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।<ref>[http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2010-02-01&ni=7236 দৈনিক জনকণ্ঠ], ফেব্রুয়ারি ১, ২০১০ (বাংলা)</ref> পুরষ্কারটির আনুষ্ঠানিক নাম '[[চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার]]'। এছাড়া স্টল ও অঙ্গসজ্জার জন্য দেয়া হয় '[[সরদার জয়েনউদদীন স্মৃতি পুরস্কার]]'। সর্বাধিক গ্রন্থ ক্রয়ের জন্য সেরা ক্রেতাকে দেয়া হয় '[[পলান সরকার]] পুরস্কার'।<ref>{{cite news |title=একুশে বইমেলা ২০১০ |author= |url= |format=প্রিন্ট |agency= |newspaper=দৈনিক কালের কণ্ঠ |publisher= |location=ঢাকা |date=মার্চ ৮, ২০১০ |page=১৪ |pages=২৪ |accessdate=এপ্রিল ২২, ২০১০ |language=বাংলা }}</ref>