অতীশ দীপঙ্কর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করেছে
৩৪ নং লাইন:
 
== তিব্বত যাত্রা ==
[[গুজ]] রাজ্যের দ্বিতীয় রাজা [[ব্যাং-ছুব-য়ে-শেস'-ওদ]] [[নাগ-ত্শো-লো-ত্সা-বা-ত্শুল-খ্রিম্স-র্গ্যাল-বা]] সহ কয়েক জন ভিক্ষুর হাতে প্রচুর স্বর্ণ উপঢৌকন দিয়ে দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানকে [[তিব্বত]] ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানালে দীপঙ্কর সবিনয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে নিরাশ না হয়ে [[ব্যাং-ছুব-য়ে-শেস'-ওদ]] সীমান্ত অঞ্চলে সোনা সংগ্রহের জন্য গেলে [[কারাখানী খানাত|কারাখানী খানাতের]] শাসক তাঁকে বন্দী করেন ও প্রচুর সোনা মুক্তিপণ হিসেবে দাবী করেন। [[ব্যাং-ছুব-য়ে-শেস'-ওদ]] তাঁর পুত্র ল্হা-লামা-ব্যাং-ছুব-ওদকে মুক্তিপণ দিতে বারণ করেন এবং ঐ অর্থ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানকে [[তিব্বত|তিব্বতে]] আনানোর জন্য ব্যয় করতে বলেন। ল্হা-লামা-ব্যাং-ছুব-ওদ [[গুজ]] রাজ্যের রাজা হয়ে গুং-থং-পা নামে এক বৌদ্ধ উপাসককে ও আরো কয়েক জন অণুগামীকেঅনুগামীকে দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানকে [[তিব্বত|তিব্বতে]] আনানোর দায়িত্ব দেন। এরা নেপালের পথে বিক্রমশীলা বিহারে উপস্থিত হন এবং দীপঙ্করের সাথে সাক্ষাৎ করে সমস্ত সোনা নিবেদন করে ভূতপূর্ব রাজা [[ব্যাং-ছুব-য়ে-শেস'-ওদ|ব্যাং-ছুব-য়ে-শেস'-ওদের]] বন্দী হওয়ার কাহিনী ও তাঁর শেষ ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করলে দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান অভিভূত হন। আঠারো মাস পরে ১০৪০ খ্রিষ্টাব্দে বিহারের সমস্ত দায়িত্বভার লাঘব করে দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান [[তিব্বত]] যাত্রার জন্য প্রস্তুত হন। তিনি বারো জন সহযাত্রী নিয়ে প্রথমে [[বুদ্ধগয়া]] হয়ে নেপালের রাজধানীতে উপস্থিত হন এবং নেপালরাজের আগ্রহে এক বছর সেখানে কাটান। এরপর [[নেপাল]] অতিক্রম করে থুঙ বিহারে এলে তাঁর সঙ্গী র্গ্যা-লো-ত্সা-বা-ব্র্ত্সোন-'গ্রুস-সেং-গে ({{bo|w=rgya lo tsA ba brtson 'grus seng ge}}) অসুস্থ হয়ে মারা যান। ১০৪২ খ্রিষ্টাব্দে [[তিব্বত|তিব্বতে]] র পশ্চিম প্রান্তের ডংরী প্রদেশে পৌছন। সেখানে পৌছলে ল্হা-লামা-ব্যাং-ছুব-ওদ এক রাজকীয় সংবর্ধনার আয়োজন করে তাঁকে থোলিং বিহারে নিয়ে যান। এখানে দীপঙ্কর তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ [[বোধিপথপ্রদীপ]] রচনা করেন। ১০৪৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পুরঙে, ১০৪৭ খ্রিষ্টাব্দে [[সম-য়ে বৌদ্ধ বিহার]] ও ১০৫০ খ্রিষ্টাব্দে বে-এ-বাতে উপস্থিত হন।<ref name="তিব্বতে সওয়া বছর"/>
 
== তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ==
৪০ নং লাইন:
 
== রচনা ==
দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান দুই শতাধিক গ্রন্থ রচনা, অণুবাদঅনুবাদ ও সম্পাদনা করেন। [[তিব্বত|তিব্বতের]] ধর্ম, রাজনীতি, জীবনী, স্তোত্রনামাসহ তাঞ্জুর নামে বিশাল এক শাস্ত্রগ্রন্থ সংকলন করেন। বৌদ্ধ শাস্ত্র, চিকিৎসা বিদ্যা এবং কারিগরি বিদ্যা বিষয়ে তিব্বতী ভাষায় অনেক গ্রন্থ রচনা করেন বলে তিব্বতীরা তাকে অতীশ উপাধীতে ভূষিত করে। অতীশ দীপঙ্কর অনেক সংস্কৃত এবং পালি বই তিব্বতী ভাষায় অণুবাদঅনুবাদ করেন। দীপঙ্করের রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে [[বোধিপথপ্রদীপ]], চর্যাসংগ্রহপ্রদীপ, সত্যদ্বয়াবতার, মধ্যমোপদেশ, সংগ্রহগর্ভ, হৃদয়নিশ্চিন্ত, বোধিসত্ত্বমণ্যাবলি, বোধিসত্ত্বকর্মাদিমার্গাবতার, শরণাগতাদেশ, মহযানপথসাধনবর্ণসংগ্রহ, শুভার্থসমুচ্চয়োপদেশ, দশকুশলকর্মোপদেশ, কর্মবিভঙ্গ, সমাধিসম্ভবপরিবর্ত, লোকোত্তরসপ্তকবিধি, গুহ্যক্রিয়াকর্ম, চিত্তোৎপাদসম্বরবিধিকর্ম, শিক্ষাসমুচ্চয় অভিসময় ও বিমলরত্নলেখনা উল্লেখযোগ্য।<ref>স্বামী অভেদানন্দের কাশ্মীর ও তিব্বত ভ্রমণ - প্রকাশক- শ্রীরামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠ, কলকাতা ৭০০০০৬, ISBN 978-81-88446-83-4</ref> বিখ্যাত পণ্ডিত [[হরপ্রসাদ শাস্ত্রী]] এবং ইতালির বিখ্যাত গবেষক [[গ্যুসেপ তুচ্চি]] দীপঙ্করের অনেকগুলো বই আবিষ্কার করেন।<ref name="bangladeshbarta"/>
 
== মৃত্যু ==