আলতাব আলী পার্ক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
৫ নং লাইন:
'''আলতাব আলী পার্ক''' এডলার স্ট্রীট, হোয়াইট চার্চ লেন এবং হোয়াইটচ্যাপেল হাই স্ট্রীট, লন্ডন ই১ (ইওয়ান)<ref>[http://lbth.sharedb.dnsalias.org/lgsl/451-500/461_parks.aspx Parks in Tower Hamlets]</ref> এ অবস্থিত একটি ছোট পার্ক, যেটির আগের নাম ছিল ''সেন্ট মেরিস পার্ক'' এটি ১৪শতকের পুরনো হোয়াইটচ্যাপেল, সেন্ট মেরি মার্টফেলেন-এর অংশ যা থেকে হোয়াইটচ্যাপেল এলাকার নামকরন করা হয়।<ref>[http://exploringeastlondon.co.uk/Whitechapel/Whitechapel.htm Exploring East London: Whitechapel]</ref>
 
আলতাব আলী পার্কের নাম করন করা হয় ''শহীদ আলতাব আলীর'' নামে যিনি ছিলেন বৃটেনে অভিবাসী বাংলাদেশি ফ্যাক্টরী শ্রমিক, যিনি ১৯৭৮ সালের ৪মে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে পূর্ব লন্ডনের এডলার স্ট্রিটে বর্ণবাদীদের হাতে খুন হন।<ref>[http://www.britbangla24.com/index.php?option=com_content&view=article&id=137:2012-05-02-03-43-22&catid=74:2012-04-05-23-37-28&Itemid=219 স্মরণ: শহীদ আলতাব আলী]</ref><ref>[http://sylheteralap.com/news/category/foregien%20news/detail/13605 ৪ মে আলতাব আলীর মৃত্যুদিবস]</ref> ১৯৯৮ সালে পূর্ব লন্ডনের এডলার স্ট্রীট, ওয়াইট ছারছ লেন এবং ওয়াইট চ্যাপল হাই স্ট্রীটস্থ সেন্ট মেরিস পার্ককে আলতাব আলী পার্ক নামকরণ করা হয়।<ref>[http://eurobd24news.com/?p=580 ‘আলতাব আলী’ শুধু বিলেতের বাংলা কমিউনিটির নয়, সমগ্র ইউরোবিডি কমিউনিটির অনুপ্রেরণা।অণুপ্রেরণা।]</ref>
 
== পার্কে শহীদ মিনার বানানোর ইতিহাস ==
১৯৯৯ সালে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের দক্ষিণ প্রান্তে একটি শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা করা হয় যেটি বাঙালির ভাষা-শহীদদের স্মরণে বহির্বিশ্বের বানানো প্রথম শহীদ মিনার।<ref name=minar>{{cite web |url=http://banglapedia.search.com.bd/HT/S_0264.htm |title=শহীদ মিনার |publisher=বাংলাপিডিয়া |accessdate=২০০৯-১১-০১}}</ref><ref>বিলেতের মাটিতে একুশে ফেব্রুয়ারি ও বাংলা ভাষার প্রসার। তারেক চৌধুরী, দৈনিক আমার দেশ, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১০, ঢাকা।</ref> তার আগে ব্রিটেনে বাঙালি সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ও প্রচীনতম সংগঠন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে পূর্ব লন্ডনের সাড়ে বায়ান্নো হ্যানবারি স্ট্রিটের একটি হলে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে এই শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা করা হতো। দীর্ঘ কয়েক বছর এভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে খোলা আকাশের নিচে একটি শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার জন্যে স্থানীয় কাউন্সিলের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে। এমনি এক পর্যায়ে ৮০ এর দশকে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ আলতাব আলীর নামে নামকরণ করে পূর্ব লন্ডনের [[হোয়াইট চ্যাপেল]] রোডের পার্কে ১৯৯৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে প্রথম অস্থায়ীভাবে একটি শহীদ মিনার স্থাপন করে। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সঙ্গে এ বিষয়ে দেন-দরবারের এক পর্যায়ে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণে কাউন্সিল-সম্প্রদায়ের ঐকমত্যে পৌঁছতে সক্ষম হয়। কাউন্সিলের পক্ষ থেকে সম্প্রদায়কে প্রস্তাব দেওয়া হয় যে জায়গা বরাদ্ধ দেবে কাউন্সিল, কিন্তু শহীদ মিনার তৈরির খরচ বহন করতে হবে সম্প্রদায়কে। এই প্রস্তাবে সম্প্রদায়ের সম্মতির ভিত্তিতে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অর্থ সংগ্রহের তৎপরতা শুরু করে।
 
এ তৎপরতায় এগিয়ে আসে [[বাংলাদেশ হাইকমিশন]], [[সোনালী ব্যাংক]], [[আওয়ামী লীগ]], [[বিএনপি]], [[জাতীয়জাতিয় পার্টি]], [[কমিউনিস্ট পার্টি]], [[একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি]], [[জাসদ]] ও [[উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী]]সহ ৫৪টির মতো সংগঠন। আর এই ৫৪ সংগঠনের যৌথ অংশগ্রহণে গঠন করা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কমিটি। [[টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল|টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের]] পক্ষ থেকে আলতাব আলী পার্কে স্থায়ী শহীদমিনার নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কমিটি এর ব্যয় নির্বাহে সম্মতি জানায়।
 
ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনসহ ৫৪টি সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনার নির্মাণের ব্যয় হিসেবে কাউন্সিলের কাছে তুলে দেওয়া হয় প্রায় ২২ হাজার পাউন্ড।
 
এভাবেই আলতাব আলী পার্কে স্থায়ীভাবে নির্মিত হয় শহীদ মিনার। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয়জাতিয় সংসদের তৎকালীন স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী।<ref>[http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=5d213468da8857324393c707fb3f6f67&nttl=2011021729853 ব্রিটেনে বাঙালির আত্মপরিচয়ের প্রতীক আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনার]</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==