আবদুল মোনেম খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
"টেমপ্লেট:Persondata" অপসারণ
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
২৫ নং লাইন:
|footnotes =
}}
'''আবদুল মোনেম খান''' (২৮ জুন ১৮৯৯ – ১৩ অক্টোবর ১৯৭১) ছিলেন বাঙালি রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানের]] গভর্নর। তিনি ২৮ অক্টোবর ১৯৬২ থেকে ২৩ মার্চ ১৯৬৯ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরদের মধ্যে তার মেয়াদ সবচেয়ে দীর্ঘ ছিল।<ref name="Bangabhaban">[http://bangabhaban.gov.bd/Homes/banglahistory_submenu/12/51 Governors and Acting Governors of East Bengal/ East Pakistan 1947-1971 ২০ জুলাই ২০১৬ তারিখে সংগৃহিতসংগৃহীত]</ref> তিনি [[আইয়ুব খান|আইয়ুব খানের]] ঘনিষ্ঠ সহায়তাকারী ছিলেন। শাসনকালে বাঙালি জাতীয়তাবাদিদের প্রতি বিরূপ আচরণের জন্য তাকে দোষারোপ করা হয়। [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] সময় [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] পক্ষাবলম্বন করায় যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে [[ঢাকা|ঢাকায়]] নিজ বাসভবনে [[মুক্তিবাহিনী|মুক্তিবাহিনীর]] হাতে তিনি নিহত হন।
 
==জন্ম==
৪৩ নং লাইন:
১৯৪৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হন। একই বছরে নিখিল পাকিস্তান মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ সালে তিনি পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য হন। ১৯৫০ সালে তিনি বেঙ্গল ডিফেন্স কমিটি ও প্রভিন্সিয়াল আর্মড সার্ভিসেস বোর্ডের সদস্য হন।<ref name="Banglapedia"/> ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে তিনি অনেক ভোট হারান।<ref name="Bangabhaban" />
 
১৯৬২ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতায় পাকিস্তান জাতীয়জাতিয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। সেই বছর আইয়ুব খান তাকে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য, শ্রম ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী নিযুক্ত করেন।<ref name="Bangabhaban" /> কয়েক মাস পরে তাকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর নিযুক্ত করা হয়।<ref name="Bangabhaban" /> ১৯৬২ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ১৯৬৯ সালের ২৩ মার্চ তিনি এই পদে ছিলেন। তার শাসনামলে পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, ব্যবসা, কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি হয়েছিল। ১৯৬৩ সালে চট্টগ্রামে সংঘটিত জলোচ্ছ্বাস এবং ১৯৬৫ সালের সাইক্লোনের পর তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তার শাসনামলে [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়]], ইন্সটিটিউট অব পোস্ট-গ্রেজুয়েট মেডিসিন এন্ড রিসার্চ (বর্তমান [[বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়]]) এবং কয়েকটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি [[জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়]] প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৬৭ সালে তিনি দিঘাপতিয়ার রাজবাড়িকে [[উত্তরা গণভবন|উত্তরা গভর্নর হাউসে]] রূপান্তর করেন।<ref name="Bangabhaban" />
 
তিনি আইয়ুব খানের একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন। আইয়ুব খান প্রবর্তিত মৌলিক গণতন্ত্রের পক্ষে তিনি কাজ করেছেন এবং ১৯৬৫ সালের নির্বাচনে আইয়ুব বিরোধী জোটের (কপ) প্রার্থী [[ফাতেমা জিন্নাহ|ফাতেমা জিন্নাহর]] সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতায়প্রতিদ্বন্দ্ব্বীতায় তিনি আইয়ুব খানকে সহায়তা করেছেন। তার শাসনামলে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল।<ref name="Bangabhaban" /> তিনি শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা ও এগারো দফা দাবি এসবের বিরোধী ছিলেন। ফলে তাকে নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়।<ref name="Banglapedia"/>
 
==মৃত্যু==