আন্তর্জাতিক আইন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
২৪ নং লাইন:
আন্তর্জাতিক আইনের উৎস দুই রকম: বস্তুগত ও অবস্তুগত। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিতে [[সার্বভৌমত্ব|সার্বভৌম রাষ্ট্রের]] ''সাধারণ সম্মতি'' সৃষ্টি হয়। এ সাধারণ সম্মতি আন্তর্জাতিক আইনের মূল ভিত্তি। রাষ্ট্রসমূহের এ সাধারণ সম্মতি আন্তর্জাতিক আইনকে বৈধতা দান করে। সুতরাং আন্তর্জাতিক আইন পালনের মূলসূত্র হিসেবে সাধারণ সম্মতিকে ধরে নিয়ে "জনগণের ইচ্ছা" যা রাষ্ট্রসমূহের সমন্বিত ইচ্ছা দ্বরা প্রতিফলিত হচ্ছে, তাকে আন্তর্জাতিক আইনের আনুষ্ঠানিক উৎস বলা হয়। আবার যেসব বিষয় বা বস্তু আন্তর্জাতিক আইনের উপস্থিতির সাক্ষ্য দেয় অর্থাৎ যে প্রকৃত উৎস থেকে আইন তার শক্তি আহরণ করে, তাকে বস্তুগত উৎস বলে। [[আন্তর্জাতিক চুক্তি]], [[প্রথা]], [[আন্তর্জাতিক আদালত|আন্তর্জাতিক আদালতের]] সিদ্ধান্ত বা [[জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ|জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের]] গৃহীত প্রস্তাবাবলী বস্তুগত উৎসের অন্তর্গত। আন্তর্জাতিক আইন মূলত প্রথাভিত্তিক আইনের একটি অন্যতম উৎস হিসেবে স্বীকৃত। প্রথাই আন্তর্জাতিক আইনের প্রাথমিক উৎস এবং অনেকাংশে প্রথাসমূহই ক্রমান্বয়ে চুক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক আইনের উৎস হিসেবে [[ন্যায়পরায়ণতা|ন্যায়পরায়ণতাকে]] বিবেচনায় আনা হয়।
 
আন্তর্জাতিক আইনের উৎস নির্ণয়ে [[আন্তর্জাতিক আদালত|আন্তর্জাতিক আদালতের]] সংবিধি ৩৮ (১) ধারা যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে।<ref>[http://www.icj-cij.org/documents/index.php?p1=4&p2=2&p3=0 আন্তর্জাতিক আদালতের সংবিধি ধারা ৩৮ (১)]</ref> এ ধারা অনুযায়ীঅণুযায়ী বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদালত যে আইন প্রয়োগ করবে তা হল:
 
# বিভিন্ন বিধি-বিধান সৃষ্টিকারী আন্তর্জাতিক কনভেনশন বা চুক্তি যা বিরোধপক্ষসমূহ কর্তৃক স্বীকৃত;
৩২ নং লাইন:
# বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান পণ্ডিত ব্যক্তিদের মতবাদ যা আইনের বিধান নির্ণয়ে সহায়ক ভূমিকা পালনে সক্ষম।
 
আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞদের মতে আন্তর্জাতিক আদালতের সংবিধি ধারা ৩৮-এর প্রথম অনুচ্ছেদেঅণুচ্ছেদে যে সমস্ত উৎসের কথা বলা হয়েছে সেগুলো মৌলিক এবং গুরুত্বের অনুক্রমিকঅণুক্রমিক অনুসারেঅণুসারে সাজানো হয়েছে।<ref>{{cite book|last=Slomanson|first=William|title=Fundamental Perspectives on International Law|year=2011|publisher=Wadsworth|location=Boston, USA|pages=26–27}}</ref>
 
== আন্তর্জাতিক আইনের বৈশিষ্ট্য ==
৫০ নং লাইন:
# আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা।
# আন্তর্জাতিক নদী ও সমুদ্র এবং তার তলদেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনা।
# আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংকট, যুদ্ধ, দ্বন্দ্বদ্বন্দ্ব্ব নিরসন ও শান্তি।
# মানবাধিকার বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন।
# বিরোধ মিমাংসায়মীমাংসায় আন্তর্জাতিক আদালত ও সালিশী আদালত।
# আঞ্চলিক সংগঠনসমূহ, যেমন- [[সার্ক]], [[আসিয়ান]], [[ন্যাটো]] ইত্যাদি।
# আন্তর্জাতিক বিশেষায়িত সেবাসংস্থাসমূহ, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যগত ক্ষেত্রসমূহ।