অণুজীববিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
১ নং লাইন:
'''অণুজীব বিজ্ঞান''' (Microbiology)হল জীববিজ্ঞান এর একটি শাখা যেখানে অণুজীব নিয়ে আলোচনা করা হয়।"Microbiology" শব্দটি এসেছে গ্রীকগ্রিক শব্দ "Mikros" যার অর্থ ক্ষুদ্র, "Bios" যার অর্থ জীবন এবং "Logos" যার অর্থ বিজ্ঞান। অণুজীব বিজ্ঞান এর বিস্তারিত আলোচনায় রয়েছে "Virology" বা ভাইরাস বিজ্ঞান, "Mycology" বা ছত্রাক বিজ্ঞান, "Parasitology" বা পরজীবী বিজ্ঞান, "Bacteriology" বা ব্যাক্টেরিয়া বিজ্ঞান, "Immunology" বা রোগপ্রতিরোধ বিজ্ঞান ইত্যাদি। অণুজীব বিজ্ঞানের এসব শাখায় অভিজ্ঞ ও দক্ষ বেক্তিই হলেন অণুজীব বিজ্ঞানী বা "Microbiologist"। মূলত ভাইরাস, বাকটেরিয়া ও অ্যামিবা অণুজীব। অণুজীব তিন প্রকার।
 
== অণুজীব ==
[[চিত্র:Bacteria shape.png|right|thumb|বিভিন্ন ধরণেরধরনের ব্যাক্টেরিয়া]] [[ব্যাক্টেরিয়া]] [http://en.wikipedia.org/wiki/Bacteria (Bacteria)], [[ভাইরাস]] [http://en.wikipedia.org/wiki/Virus (Virus)], [[ছত্রাক]] [http://en.wikipedia.org/wiki/Fungi (Fungi)], [[শৈবাল]] [http://en.wikipedia.org/wiki/Algae (Algae)], [[প্রটোজোয়া]][http://en.wikipedia.org/wiki/Protozoa (Protozoa)], [[আরকিয়া]] [http://en.wikipedia.org/wiki/Archaea (Archaea)] ইত্যাদি জীব অণুজীবের অন্তর্গত (যদিও বহুকোষী [[ছত্রাক]] ও [[শৈবাল]] পাওয়া যায়)। এরা হয় প্রাক-কেন্দ্রিক না হয় সু-কেন্দ্রিক।
 
== অণুজীব বিজ্ঞানী ==
১৮ নং লাইন:
 
=== ফলিত অণুজীব বিজ্ঞান ===
অনুজীবঅণুজীব বিজ্ঞানের এই শাখায় অণুজীবে বিভিন্ন ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
 
==== অণুজীব ও খাদ্য ====
২৪ নং লাইন:
 
==== অণুজীব ও জৈবপ্রযুক্তি ====
চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ, কাগজের মন্ড প্রস্তুতি, কাপড় উৎপাদন ইত্যাদি শিল্পে অণুজীবের ঊৎসেচক ([[:en:enzyme|enzyme]]) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে এই সব শিল্প-কারখানায় অণুজীব বিজ্ঞানীর উপস্থিতি অপরিহার্য। তাছাড়া বিভিন্ন বানিজ্যিকভাবেবাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক পদার্থ যেমন এসিটিক এসিড ([[:en:acetic acid|Acetic acid]]) , সাইট্রিক এসিড ([[:en:Citric acid|Citric acid]]), এলকোহল([[:en:Alcohol|Alcohol]]), এসিটোন ([[:en:Acetone|Acetone]]), বিউটানল ([[:en:Butanol|Butanol]]), ফিউমারিক এসিড([[:en:Fumaric acid|Fumaric acid]]), ইত্যাদি জৈবিক পদ্ধতিতে উৎপাদন, রাসায়নিক পদ্ধতিতে উৎপাদন অপেক্ষা সাশ্রয়ী। আর এই জৈবিক কাজটি করে দেয় অণুজীব। জীবনরক্ষাকারী ঔষধ অ্যান্টিবায়োটিক ([[:en:Antibiotic|Antibiotic]])অণুজীব বিজ্ঞানের এক বিশাল আবিষ্কার। অ্যান্টিবায়োটিক হল এমন সব পদার্থ যা কিনা একধরনের অণুজীব তৈরি করে এবং তা অন্য অণুজীবের বিপক্ষে কাজ করে।
 
==== অণূজীব ও পরিবেশ দুষণ ====
আমাদের এই আধুনিক দৈনদ্দিন জীবনে বিজ্ঞানের এক অভিশাপ হচ্ছে দূষণ। এটা থেকে পরিত্রাণের অন্যতম পথ হল অণূজীব। কিছু পদার্থ (যা বিগত কয়েক শতকে আমরা পৃথিবীতে আবির্ভাব ঘটিয়েছি, যেমনঃ প্লাস্টিক, ডিডিটি ইত্যাদি) ছাড়া আর সব পদার্থই কোনো না কোনো অণুজীব তার খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। অবশেষে সে যা নিসৃত করে তা হয় পরিবেশ বান্ধব (Environment friendly)অথবা সেই সাথে বানিজ্যিকবাণিজ্যিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল অনেক দেশে বিভিন্ন কীট-পতঙ্গ থেকে ফসলকে রক্ষা করতে অণুজীব ব্যবহৃত হচ্ছে।
 
==== অণুজীব ও জ্বালানি ====
অণুজীবের আর এক চমক হল জৈবজ্বালানী (biofuel)। কিছু কিছু অনুজীবঅণুজীব মিথেন (Methen) গ্যাস উৎপাদন করতে পারে। বাংলাদেশে যে প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায় তার প্রায় ৯৬% হল মিথেন, অন্যদিকে অণুজীব কর্তৃক উৎপাদিত জৈবগ্যাসে মিথেন এর পরিমাণ প্রায় ৬০-৭০%। জৈবডিজেল (Biodiesel) দ্বারা এখন ব্রাজিলে গাড়ি চালানো সম্ভব হয়েছে। আসলে জৈবডিজেল হল এলকোহল (মূলত মিথানল), উদ্ভিদ তেল, প্রানিজ তেলের মিশ্রণ। এলকোহল শিল্প-কারখানায় শর্করার হতে গাজন প্রক্রিয়ায় অণূজীবের সাহায্যে তৈরি করা হয়।
 
==== অণুজীব ও খনিজ পদার্থ ====
৩৬ নং লাইন:
 
==== অণুজীব ও কৃষি ====
জৈবসারও আসলে অণুজীবের কার্যাবলীর ফসল। জৈবসার হিসেবে মাটিতে নাইট্রোজেন সংবন্ধনকারী ব্যাক্টেরিয়া (যেমনঃ ''Rhizobium, Azorihobium, Azotobacter'') ব্যাবহারব্যবহার করা হয় যা মাটিতে প্রয়োজন মতো নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে। তবে আমাদের দেশে ব্যবহৃত গোবরও জৈবসার বলে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশে সার তৈরির প্রধান কাঁচামাল গ্যাস শেষ হয়ে গেলে, আমাদের জন্য জৈবসার ব্যবহার করা অনেক লাভজনক হবে। তাছাড়া জৈবসার পরিবেশের উপর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।
 
==== অণুজীব ও ভেষজবিদ্যা(Pharmacy) ====
 
==== অণুজীব বিজ্ঞান ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ====
অণুজীবের সবচাইতে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল এদের অনেক বৈশিষ্ট্য জেনেটিক রিকম্বিনেশনের (Genetic Recombination দ্বারা পরিবর্তণ, পরিবর্ধণ করা যায়। ডায়াবেটিক রুগীর এক অত্যাবশকীয় ঔষধ ইন্সুলিন (Insulin) এখন বানিজ্যিকভাবেবাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করা যাচ্ছে কারণ মানুষের ইন্সুলিন সংশ্লেষণকারী জিন (Gene) আমাদের অন্ত্রের ব্যাক্টেরিয়া ইসচেরিচিয়া কোলাই (Escherichia coli)এর জিনে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। শিল্প ক্ষেত্রে এখন এই রিকম্বিনেন্ট ব্যাক্টেরিয়া থেকেই ব্যাপক পরিমাণে ও সস্তায় ইন্সুলিন প্রস্তুত করা হয়।
 
[[বিষয়শ্রেণী:অণুজীব বিজ্ঞান]]