১৪৪ ধারা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Amanbd (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Amanbd (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
১ নং লাইন:
[[১৪৪ ধারা]] হল বাংলাদেশের ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর একটি ধারা। এই আইনের ক্ষমতাবলে কোনো জেলার [[নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট]] কোন এলাকায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সভা-সমাবেশ করা, আগ্নেয়াস্ত্র বহনসহ যেকোন কাজ নিষিদ্ধ করতে পারেন।<ref>[http://bdlaws.minlaw.gov.bd/print_sections_all.php?id=75] ফৌজদারী কার্যবিধি, ধারা ১৪৪।</ref> জরুরী অবস্থা বা সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এই আইনের প্রয়োগ করা হয়।<ref>[http://www.acpf.org/WC7th/PapersItem4/PpBangladeshHossainItem4.html] Role of Criminal Law in the protection of the Environment: Bangladesh context, Asian Crime Prevention Foundation. Retrieved: July 01, 2007.</ref> ১৯৭৬ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠনের পর শুধু মহানগরী এলাকার জন্য এই ধারা রহিত করে নতুন বিধান চালু করা হয়েছে।<ref>[http://www.newagebd.com/2006/jun/15/edit.html Dhaka siege: Some unanswered questions] The New Age. Retrieved: July 01, 2007.</ref>
 
== ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ==
কোন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সন্তোষজনক কারণ বিদ্যমান থাকলে তিনি লিখিত আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তি বা জনসাধারণকে যেকোন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে অথবা তাদের দখলে থাকা সম্পত্তিতে কোন নির্দেশিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আদেশ দিতে পারেন। এই আদেশের উদ্দেশ্য হতে হবে কোন ব্যক্তির বা জনগণের জীবন, স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি দূর করা, অথবা জনশৃঙ্খলা বা জনশান্তি রক্ষা করা।<ref>[http://bdlaws.minlaw.gov.bd/print_sections_all.php?id=75] ফৌজদারী কার্যবিধি, ধারা ১৪৪।</ref> নোটিস প্রদানের মতো সময় বা পরিস্থিতি না থাকলে এই আদেশ একতরফা হতে পারে। ১৪৪ ধারা প্রয়োগ করা হলে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ঐ আদেশ বাতিল বা পরিবর্তন করার আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট এরূপ ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত শুনানীর সুযোগ দিয়ে আদেশটি পরিবর্তন বা বাতিল করতে পারেন অথবা আবেদন নামঞ্জুর করতে পারেন।<ref>[http://bdlaws.minlaw.gov.bd/sections_detail.php?id=75&sections_id=20789] ফৌজদারী কার্যবিধি, ধারা ১৪৪(৫)।</ref> ১৪৪ ধারার আদেশ দুই মাসের বেশি সময় ধরে বলবত রাখতে হলে সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারী করতে হবে।<ref>[http://bdlaws.minlaw.gov.bd/sections_detail.php?id=75&sections_id=20789] ফৌজদারী কার্যবিধি, ধারা ১৪৪(৬)।</ref>
 
=== মহানগরী এলাকায় প্রয়োগ ===
৮ নং লাইন:
 
== অপব্যবহার ==
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ শাসকদের দ্বারা চালুকৃত ১৪৪ ধারার বিধান বিভিন্ন সময়ে বিরোধী মত দমনে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।<ref>[http://www.dawn.com/news/1132080] Laws that allow govts to round up protesters, The Dawn, September 15, 2014.</ref> ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে ছাত্রদের আন্দোলন দমন করতে ১৪৪ ধারা জারী করা হয় এবং এই ধারা ভঙ্গ করায় পুলিশ গুলি করে সালাম, বরকত, রফিক-সহ আরো অনেককে হত্যা করে।<ref>[http://en.banglapedia.org/index.php?title=Language_Movement] Language Movement, Banglapedia.</ref> ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যত্থান দমনে ১৪৪ ধারা প্রয়োগ করা হয় এবং এই ধারা ভঙ্গের কারণে শহীদ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা,<ref>[http://en.banglapedia.org/index.php?title=Shamsuzzoha,_Shaheed_Mohammad] Shamsuzzoha, Banglapedia.</ref> শহীদ আসাদ-সহ অনেক প্রতিবাদী মানুষ নিহত হন।<ref>[http://en.banglapedia.org/index.php?title=Asad,_Shaheed] Asad, Banglapedia.</ref> স্বাধীন বাংলাদেশেও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের দমনে ১৪৪ ধারার অপব্যবহারেঅপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।<ref>[https://www.gov.uk/government/uploads/system/uploads/attachment_data/file/406042/BGD_CIG_Political_opponents_v1_0.pdf] Country Information, Bangladesh: Opposition to the Government, UK Home Office, February 2015.</ref> মানবাধিকার সংস্থা অধিকার এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৩ সালে বাংলাদেশে ৫৪বার৫৪ বার ১৪৪ ধারা জারী করা হয়েছে যার অধিকাংশই বিরোধী দলসমূহের সমাবেশকে নিষিদ্ধ করেছে।<ref>[https://www.fidh.org/IMG/pdf/odhikar_ahrr_2013.pdf] Human Rights Report 2013, Odhikar, April 15, 2014.</ref>