ডিএনএ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
→‎ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম: বিষয়বস্তু হালনাগাদ করা হল
১৮ নং লাইন:
ডিএনএ সূত্রের মেরুদন্ড [[ফসফেট]] ও [[কার্বোহাইড্রেট|চিনি]] অণুর পুনরাবৃত্তিতে গঠিত।<ref name=Ghosh>{{cite journal | author = Ghosh A, Bansal M | title = A glossary of DNA structures from A to Z | journal = Acta Crystallogr D Biol Crystallogr | volume = 59 | issue = Pt 4 | pages = 620 – 6 | year = 2003 | id = PMID 12657780}}</ref> ডিএনএর চিনি হচ্ছে [[পেন্টোজ]] (পাঁচ [[কার্বন]] বিশিষ্ট) ২-ডিঅক্সিরাইবোজ। এই চিনি ফসফেট গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়ে পাশাপাশি চিনির অণুর মধ্যে তৃতীয় ও পঞ্চম কার্বন [[পরমাণু]]র স্থানে [[ফসফোডিয়েসটার বন্ধন]] গঠন করে। এই অপ্রতিসম [[কোভ্যালেন্ট বন্ধন|বন্ধন]] বোঝায় যে ডিএনএ অণুর মেরু বা দিক আছে। দ্বৈত হেলিক্সে এক সূত্রের নিউক্লিওটাইডের দিক অন্য সূত্রের ঠিক বিপরীত দিকে থাকে। ডিএনএ সূত্রের এই ধরনের বিন্যাসকে প্রতিসমান্তরাল<!--antiparallel-->। ডিএনএর অপ্রতিসম প্রান্তকে বলে [[৫' প্রান্ত|৫']] (''ফাইভ প্রাইম'') এবং [[৩' প্রান্ত|৩']] (''থ্রি প্রাইম'') প্রান্ত। ডিএনএ ও আরএনএর মধ্যকার একটি প্রধান পার্থক্য হলো চিনিতে, যেখানে ডিএনএতে ২-ডিঅক্সিরাইবোজ ব্যবহৃত হয় সেখানে আরএনএতে আরেকটি পেন্টোজ চিনি [[রাইবোজ]] ব্যবহৃত হয়।<ref name=berg/>
 
ডিএনএর দ্বৈত হেলিক্স [[হাইড্রোজেন বন্ধন|হাইড্রোজেন বন্ধনের]] মাধ্যমে স্থির থাকে, যা দুটি সূত্রের মধ্যে সংযুক্ত থাকে। ডিএনএতে যে চারটি ক্ষার পাওয়া যায় তা হল [[এডেনিন]] (সংক্ষেপে A), [[সাইটোসিন]] (C), [[গুয়ানিন]] (G) এবং [[থাইমিন]] (T)। এরা পরস্পরের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় [[এডেনিন]] (A) শুধুমাত্র [[থাইমিন|থাইমিনের]](T) সাথে এবং [[গুয়ানিন]](G) শুধুমাত্র [[সাইটোসিন|সাইটোসিনের]](C) সাথে যুক্ত হয়। নিম্নে এইচারটিএই চারটি ক্ষার দেখানো হয়েছে যারা চিনি/ফসফেটের সাথে যুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ নিউক্লিওটাইড গঠন করে, যেমনঃ এডিনোসিন মনোফসফেট।
 
<div class="thumb tright" style="background-color: #f9f9f9; border: 1px solid #CCCCCC; margin:0.5em;">
৩৬ নং লাইন:
<div style="border: none; width:500px;"><div class="thumbcaption">ডিএনএতে প্রাপ্ত চারটি ক্ষারের রাসায়নিক গঠন এবং এডিনোসিন মনোফসফেট নিউক্লিওটাইড</div></div></div>
 
এই ক্ষারগুলো দুই ভাগে ভাগ করা যায়; এডেনিন ও গুয়ানিন হল [[পিউরিন]] নামক ৫- ও ৬- কার্বনচক্রের [[হেটারোসাইক্লিক যৌগ]] এবং সাইটোসিন ও থাইমিন হল [[পাইরিমিডিন]] নামক কার্বনচক্রের যৌগ।<ref name=IUPAC/> [[ইউরাসিল]] (U) নামে পঞ্চম আরেকটি [[পাইরিমিডিন]] ক্ষার আছে যা সাধারণত আরএনএতে থাইমিনের বদলে থাকে। থাইমিনের সাথে এর পার্থক্য হচ্ছে কেবল একটি মিথাইল গ্রুপের অনুপস্থিতি। ডিএনএতে কেবল সাইটোসিনের ভাঙ্গনের ফলে উপজাত হিসেবে ইউরাসিল পাওয়া যেতে পারে, তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে পিবিএস-১ নামের একটি [[ফায|ব্যাকটেরিয়াল ভাইরাস]] যার ডিএনএতে ইউরাসিল রয়েছে।<ref name="nature1963-takahashi">{{cite journal | author=Takahashi I, Marmur J. | title=Replacement of thymidylic acid by deoxyuridylic acid in the deoxyribonucleic acid of a transducing phage for Bacillus subtilis | journal=Nature | year=1963 | pages=794 – 5 | volume=197 | id=PMID 13980287}}</ref> কিন্তু আরএনএ সংশ্লেষনের সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ইউরাসিল এনজাইমের প্রভাবে একটি মিথাইল গ্রুপ যুক্ত হয়ে থাইমিনে পরিনত হয়। মূলত গাঠনিক ও এনজাইম আরএনএ যেমনঃ [[ট্রান্সফার আরএনএ]] ও [[রাইবোজোমাল আরএনএ]]তেই এই ঘটনা ঘটে।<ref>{{cite journal |author=Agris P |title=Decoding the genome: a modified view |
url=http://www.pubmedcentral.nih.gov/articlerender.fcgi?tool=pubmed&pubmedid=14715921 |journal=Nucleic Acids Res |volume=32 |issue=1 |pages=223 – 38 |year=2004 |pmid=14715921}}</ref>
 
[[চিত্র:DNA orbit animated.gif|frame|right|ডিএনএ গঠনের এনিমেশন। ক্ষারগুলো সর্পিল সূত্রের মাঝে আড়াআড়িভাবে রয়েছে। [[:Image:DNA orbit animated.gif|বড় আকারে]]<ref>Created from [http://www.rcsb.org/pdb/cgi/explore.cgi?pdbId=1D65 PDB 1D65]</ref>]]
 
ডিএনএর দ্বৈত হেলিক্স ডান-হাতি সর্পিলাকার হয়ে থাকে। ডিএনএ সূত্রগুলো যখন প্যাঁচানো থাকে তখন তাদের ফসফেটের মেরুদন্ডের মাঝে জায়গা রাখা থাকে। এই জায়গাতে ক্ষারগুলো যুক্ত হয় (এনিমেশন দেখুন)। দ্বৈত হেলিক্সের তলে দুই জায়গায় এরকম প্যাচানোপ্যাঁচানো খাতখাঁজ (groove) থাকেঃথাকে। একটি খাতখাঁজ ২২&nbsp;Å প্রশস্ত ও অন্যটি ১২&nbsp;Å প্রশস্ত।<ref>{{cite journal | author = Wing R, Drew H, Takano T, Broka C, Tanaka S, Itakura K, Dickerson R | title = Crystal structure analysis of a complete turn of B-DNA | journal = Nature | volume = 287 | issue = 5784 | pages = 755 – 8 | year = 1980 | id = PMID 7432492}}</ref> বৃহত্তর খাতটিকেখাঁজটিকে বলে ''মেজর গ্রুভ'' ছোটটিকে বলে ''মাইনর গ্রুভ''। মাইনর গ্রুভের সরুতার অর্থ হলো ক্ষারের প্রান্তগুলো মেজর গ্রুভে তুলনামুলক বেশি সহজে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে কিছু প্রোটিন যা ডিএনএতে কিছু নির্দিষ্ট ক্রমে যুক্ত হতে পারে, তারা ডিএনএতে সেই ক্রম খুজে নেয় মেজর গ্রুভের সাথে থাকা ক্ষারের সংস্পর্শে এসে।এসে <!--সহজকাঙ্খিত বাংলাক্রম দরকার-->খুঁজে নেয়।<ref>{{cite journal | author = Pabo C, Sauer R | title = Protein-DNA recognition | journal = Annu Rev Biochem | volume = 53 | issue = | pages = 293 – 321 | year = | id = PMID 6236744}}</ref>
 
<div class="thumb tleft" style="background-color: #f9f9f9; border: 1px solid #CCCCCC; margin:0.5em;">
৫০ নং লাইন:
|[[চিত্র:Base pair AT.svg|230px]]
|}
<div style="border: none; width:230px;"><div class="thumbcaption">উপরে, একটি '''GC''' ক্ষার-জোড়া আছে তিনটি [[হাইড্রোজেন বন্ধন|হাইড্রোজেন বন্ধনে]] যুক্ত হয়ে। নিচে, একতটিএকটি '''AT''' ক্ষার-জোড়া আছে দু’টি হাইড্রোজেন বন্ধনের সাথে যুক্তাবস্থায়। হাইড্রোজেন বন্ধন ড্যাশ রেখা দ্বারা দেখানো হয়েছে। </div></div></div>
 
== তথ্যসূত্র ==