বর্ণ (বর্ণমালা): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অজয় মন্ডল (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
অজয় মন্ডল (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১২ নং লাইন:
 
===== বর্ণমালা =====
যে কোনো ভাষায় ব্যবহৃত লিখিত বর্ণসমষ্টিকে সেই ভাষার বর্ণমালা / Alphabet বলা হয়।
 
===== বঙ্গলিপি =====
যে বর্ণমালায় বাংলা ভাষা লিখিত হয় তাকে বলা হয় বঙ্গলিপি।বঙ্গলিপি ।
===== স্বরবর্ণ =====
স্বরধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় স্বরবর্ণ। যেমন : অ, আ, ই, ঈ, উ, উ ইত্যাদি।
 
===== ব্যঞ্জনবর্ণ =====
ব্যঞ্জনধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। যেমন : ক, খ, গ, ঘ ইত্যাদি।
 
 
বিশেষ দ্রষ্টব্য বা জ্ঞাতব্য : উচ্চারণের সুবিধার জন্য বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি ‘অ’ স্বরধ্বনিটি যোগ করে উচ্চারণ করা হয়ে থাকে। যেমন : ক্+অ=ক। স্বরধ্বনি সংযুক্ত না হলে অর্থাৎ উচ্চারিত ব্যঞ্জনধ্বনির প্রতীক বা বর্ণের নিচে ‘হস’ বা ‘হল’ চিহ্ন ( ্) দিয়ে লিখিত হয়। এরূপ বর্ণকে বলা হয় হসন্ত বা হসন্ত বর্ণ।
 
===== বাংলা বর্ণমালা =====
বাংলা র্বণমালায় মোট ৫০টি র্বণ রয়েছে। তার মধ্যে স্বরর্বণ ১১ টি এবং ব্যঞ্জনর্বণ ৩৯ টি
স্বরর্বণ : অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ ১১টি
ব্যঞ্জনর্বণ :
ক খ গ ঘ ঙ (ক-র্বগ) ৫টি
চ ছ জ ঝ ঞ (চ-র্বগ) ৫টি
ট ঠ ড ঢ ণ (ট-র্বগ) ৫টি
ত থ দ ধ ন (ত-র্বগ) ৫টি
প ফ ব ভ ম (প-র্বগ) ৫টি
য র ল ৩টি
শ ষ স হ ৪টি
ড় ঢ় য় ৎ ৪টি
ং ঃ ঁ ৩টি
৩৯টি
মোট ৫০টি
বশিষেবিশেষ দ্রষ্টব্য বা জ্ঞাতব্য : ‘ঐ ঔ’ দুটি দ্বস্তির বা যুগ্ম স্বরধ্বনরি প্রতীক। যমেন: অই (অ+ই/ও+ই), ঔ (অ+উ/ও +উ)
র্বণমালার সংখ্যা
র্বণমালা সংখ্যা নমুনা
৬৬ ⟶ ৫৯ নং লাইন:
* র্স্পশ ব্যঞ্জন ২৫টি ক-ম র্পযন্ত
* উষ্মধ্বন/িশশিধ্বনি ৪টি শ, ষ, স, হ
বিশেষ দ্রষ্টব্য বা জ্ঞাতব্য : উচ্চারণের সুবিধার জন্য বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি ‘অ’ স্বরধ্বনিটি যোগ করে উচ্চারণ করা হয়ে থাকে। যেমন : ক্+অ=ক। স্বরধ্বনি সংযুক্ত না হলে অর্থাৎ উচ্চারিত ব্যঞ্জনধ্বনির প্রতীক বা বর্ণের নিচে ‘হস’ বা ‘হল’ চিহ্ন ( ্) দিয়ে লিখিত হয়। এরূপ বর্ণকে বলা হয় হসন্ত বা হসন্ত বর্ণ।
===== স্বরবর্ণ =====
স্বরধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় স্বরবর্ণ। যেমন : অ, আ, ই, ঈ, উ, উ ইত্যাদি।
 
===== ব্যঞ্জনবর্ণ =====
ব্যঞ্জনধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। যেমন : ক, খ, গ, ঘ ইত্যাদি।
 
===== স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ (কার) =====
কার : স্বরবর্ণের এবং কতগুলো ব্যঞ্জনবর্ণের দুটি রূপ রয়েছে। স্বরবর্ণ যখন নিরপেক্ষ বা স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ কোনো বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় না তখন এর পূর্ণরূপ লেখা হয়। একে বলা হয় প্রাথমিক বা পূর্ণরূপ। যেমন : অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।
 
৯২ ⟶ ৯০ নং লাইন:
ব্যঞ্জনবর্ণের পূর্বে ও পরে দুই দিকে যুক্ত হয় : ও-কার, ঔ-কার। যেমন : মো, মৌ
 
===== স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ (ফলা) =====
ফলা : স্বরবর্ণ যেমন ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে আকৃতির পরিবর্তন হয়, তেমনি কোনো কোনো ব্যঞ্জনবর্ণও কোনো কোনো স্বর কিংবা অন্য ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে আকৃতির পরিবর্তন হয় এবং কখনো কখনো সংক্ষিপ্তও হয়। যেমন : মা, ম্র ইত্যাদি। স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে যেমন ‘কার’ বলা হয় তেমনি ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় ‘ফলা’। এভাবে যে ব্যঞ্জনটি যুক্ত হয় তার নাম অনুসারে ফলার নামকরণ করা হয়। যেমন : ম-এ য-ফলা=ম্য, ম-এ র-ফলা=ম্র, ম-এ ল-ফলা=ম্ল, ম-এ ব-ফলা=স্ব র-ফলা ব্যঞ্জনবর্ণের পরে হলে লিখতে হয় নিচে। ‘ম্র’, আবার ‘র’ যদি ম-এর আগে উচ্চারিত হয়। যেমন : ম-এ রেফ ‘র্ম’ তবে লেখা হয় ওপরে ব্যঞ্জনটিতে মাথায় রেফ (র্ ) দিয়ে। ‘ফলা’ যুক্ত হলে যেমন তেমনি ‘কার’ যুক্ত হলেও বর্ণের আকৃতি পরিবর্তন ঘটে। যেমন : হ-এ উ-কার-হু, গ-এ উ-কার=গু, শ-এ উ-কার=শু, স-এ উ-কার-সু, র-এ উ-কার=রু, র-এ ঊ-কার=রূ, হ-এ ঋ-কার=হৃ।
===== স্পর্শধ্বনি =====
 
ক থেকে ম পর্যন্ত পঁচিশটি স্পর্শধ্বনি / Plosive -কে উচ্চারণ স্থানের দিক থেকে পাঁচটি গুচ্ছে বা বর্গে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি গুচ্ছের প্রথম ধ্বনিটির নামানুসারে সে গুচ্ছের সবগুলো ধ্বনিকে বলা হয় ঐ বর্গীয় ধ্বনি। বর্গভুক্ত বলে এ ধ্বনির প্রতীকগুলোও ঐ বর্গীয় নামে অভিহিত করা হয়। যেমন :