পঞ্জিকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
৭ নং লাইন:
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার থাইল্যান্ডে একটি সৌর বর্ষপঞ্জি প্রচলিত আছে যা বুদ্ধাব্দ নামেই পরিচিত। এই অব্দটিও "সূর্যসিদ্ধান্ত" দ্বারা প্রভাবিত এবং এই অব্দে সূর্যসিদ্ধান্তের সৌরবর্ষ গণনার পদ্ধতিটি অনুসৃত হয়ে থাকে। সূর্যের একেকটি রাশিতে অবস্থানের উপর ভিত্তি করে একেকটি মাস গণিত হয়। ভারতে প্রচলিত বঙ্গাব্দে এবং প্রাচীন শকাব্দেও অনুরূপ প্রণালীতেই গণিত হয় মাস এবং দিনাঙ্ক। এই অব্দে একেকটি মাসের নামকরণ হয়েছে সৌরমণ্ডলে অবস্থিত একেকটি রাশির সংস্কৃত নামানুসারে।
 
=== চান্দ্র পঞ্জিকা ===
===হিজরী বর্ষপঞ্জী===
ইসলামি বর্ষপঞ্জি বা মুসলিম বর্ষপঞ্জি (হিজরী বর্ষপঞ্জি হিসাবেও পরিচিত) একটি চন্দ্রনির্ভর বর্ষপঞ্জি। বিভিন্ন মুসলিম দেশ এই বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে, আর পৃথিবীব্যাপী মুসলমানগণ অনুসরণ করেন ইসলামের পবিত্র দিনসমূহ উদযাপনের জন্য। ইসলাম ধর্মের শেষ বাণীবাহক মুহাম্মদ(সাঃ) মক্কার ক্বুরায়েশদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে মক্কা থেকে মদীনা চলে যান। তাঁর এই জন্মভূমি ত্যাগ করার ঘটনাকে ইসলামে 'হিজরত' আখ্যা দেয়া হয়। রাসুল মুহাম্মদ (সা:)-এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যেই হিজরী সাল গণনার সূচনা। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা:)-এর শাসনামলে ১৭ই হিজরী অর্থাৎ রাসুল মুহাম্মদ (সা:)-এর মৃত্যুর সাত বছর পর চন্দ্র মাসের হিসাবে এই পঞ্জিকা প্রবর্তন করা হয়। হিজরতের এই ঐতিহাসিক তাৎপর্যের ফলেই হযরত ওমর রা. এর শাসনামলে যখন মুসলমানদের জন্য পৃথক ও স্বতন্ত্র পঞ্জিকা প্রণয়নের কথা উঠে আসে তখন তাঁরা সর্বসম্মতভবে হিজরত থেকেই এই পঞ্জিকার গণনা শুরু করেন। যার ফলে চান্দ্রমাসের এই পঞ্জিকাকে বলা হয় ‘হিজরী সন’। রতিদিন সূর্যাস্তের মাধ্যমে দিন গণনার শুরু হয়। তবে মাস গণনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভূখন্ডে খালি চোখে অথবা খালি চোখানুগ যন্ত্রপাতির (যেমন: দূরবীণ, সাধারণ দূরবীক্ষণ যন্ত্র) সহায়তায় চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। মাসগুলো চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ২৯ অথবা ৩০ দিনের হয়। যেমাসে ২৯ দিন শেষ হলে নতুন মাসের চাঁদ দেখা যায় না, সে মাসে ৩০ দিন পূর্ণ করে মাস শেষ করা হয়।
 
===বুদ্ধাব্দ===
বুদ্ধাব্দ অথবা বুদ্ধনির্বাণাব্দ হল শাক্যমুনি বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ দিবস থেকে গণিত অব্দ। খ্রিস্টজন্মের ৫৪৩ বছর পূর্বে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে কুশীনগরে ভগবান বুদ্ধ পরিনির্বাণ (পালি: পরিনিব্বাণ) লাভ করেন। সেই বিশেষ দিন থেকেই ১ বুদ্ধাব্দের সূচনা ধরে নিয়ে প্রচলিত হয় "বুদ্ধাব্দ"। প্রত্যেক বছর চান্দ্র বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে (যা "বুদ্ধপূর্ণিমা" নামে খ্যাত) আরম্ভ হয় এই অব্দ। এটি সম্পূর্ণ চান্দ্রাব্দ এবং এই অব্দের মাস এবং দিনাঙ্কের গণনাপদ্ধতি অপরাপর সকল ভারতীয় অব্দের ন্যায় প্রাচীন "সূর্যসিদ্ধান্ত" থেকে গৃহীত। ভারতীয় চান্দ্রাব্দ গণনাপদ্ধতি অনুসারে বুদ্ধাব্দেও মলমাস গণনার রীতি প্রচলিত আছে। এর ফলস্বরূপ বুদ্ধাব্দ চান্দ্রাব্দ হওয়া সত্ত্বেও সম্পূর্ণ ঋতুনিষ্ঠ।