জগদানন্দ রায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বি
change
১ নং লাইন:
'''জগদানন্দ রায়''' উনবিংশ শতাব্দীর একজন বাঙালি [[বিজ্ঞান কল্পকাহিনী]] লেখক। তিনি [[১৮৭৯]] সালে [[শুক্র ভ্রমণ]] নামে একটি বই প্রকাশ করেন। অবশ্য তিনি [[১৯৫৭]] সালেই অর্থাৎ প্রায় ২২ বছর পূর্বেই বইটি লেখার কাজ শেষ করেছিলেন। এই বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক গ্রন্থ রচনার জন্যই মূলত তাকে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক সাহিত্য চর্চার অগ্রদূত হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। তার এই বইটি ভাষাতাত্ত্বিক ইতিহাসবিদদের জন্য বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি করতে পারে।
 
==জীবনী==
জগদানন্দ জন্মগ্রহণ করেন বর্তমান [[ভারত|ভারতের]] [[নদীয়া জেলা|নদীয়া জেলার]] কৃষ্ণনগরের একটি অভিজাত ও অবস্থাপন্ন পরিবারে। তার পড়াশোনা শুরু হয় একটি স্থানীয় মিশনারি স্কুলে। তখন থেকেই তার মধ্যে বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন মজার বিষয়ে লেখার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল। এই আগ্রহের কারণে তিনি [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] বিশেষ দৃষ্টিতে পরে যান। ঠাকুর তখন [[সন্ধ্যা (পত্রিকা)|সন্ধ্যা]] পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। রবী ঠাকুর তার লেখায় বিশেষ আগ্রহ বোধ করেন। জগদানন্দ যখন নিদারুণ ক্লেশের মধ্যে দিনাতিপাত করছিলেন তখন রবীন্দ্রনাথ তাকে নিজের ভূ-সম্পত্তিতে একটি চাকরি জোগাড় করে দেন।
 
ঠাকুর জানতেন যে চাকরিটি জগদানন্দের যোগ্যতাকে খাটো করে দেখা বই অন্য কিছু নয়। এ কারণে তিনি রায়কে নিজের ছলেমেয়ের পড়াশোনার ভার দিয়েছিলেন। পরবর্তিতে যখন ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন তখন তিনি জগদানন্দকে [[শান্তিনিকেতন|শান্তিনিকেতনে]] নিয়ে আসেন একজন শিক্ষক হিসেবে। তিনি সেই স্কুলের প্রথম সর্বাধ্যক্ষ ছিলেন। [[১৯৩২]] সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত তিনি নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক হিসেবে কাজ করে গেছেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে গণিত শিক্ষাদান শুরু করে জীবন কাটেন।
 
==সাহিত্যকর্ম==
বিজ্ঞান জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে তিনি বেশ কিছু বই লিখেছিলেন। বৈজ্ঞানিক সত্যকে সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরার তাগিদেই তিনি লিখা শুরু করেন আর লেখার আদল ছিল অনেকটা [[রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী|রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর]] মত। এছাড়া বিজ্ঞান কল্পকাহিনী রচনাও শুরু করেন। তার শুক্র ভ্রমণ নামক গ্রন্থের বিষয় ছিল অন্য গ্রহে মানুষের ভ্রমণ কাহিনী। মানুষ অন্য গ্রহে যাতায়াতের মাধ্যমে [[ইউরেনাস]] গ্রহে ভিনগ্রহী জীবের নাক্ষাৎ লাভ করে। সেই ভিনগ্রহী জীবের বিবর্তনের সাথে আধুনিক বিবর্তনবাদী তত্ত্বের আশ্চর্য মিল লক্ষ্য করা যায়। ভিনগ্রহী জীবের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি যেসব বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন তা হল: তারা অনেকটা আমাদের পূর্বপুরুষ বানরদের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের শরীর ঘন কালো পশমে ঢাকা, শরীরের তুলনায় মাথা অস্বাভাবিক রকমের মোটা, লম্বা লম্বা নখ রয়েছে এবং তারা সম্পূর্ণ নগ্ন। তার এই বর্ণনা প্রকাশিত হয় [[এইচ জি ওয়েল্‌স|এইচ জি ওয়েল্‌সের]] বিখ্যাত বিজ্ঞান কল্পকাহিনী [[দ্য ওয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস]] প্রকাশিত হওয়ারও আগে। এই বইয়েও এইচ জি ওয়েল্‌স [[মঙ্গল গ্রহ|মঙ্গল গ্রহে]] ভিনগ্রহী জীবের বর্ণনা দিয়েছিলেন।
 
===রচনাবলী===
* শুক্র ভ্রমণ
* গ্রহ-নক্ষত্র
* প্রকৃতিকা
* বৈজ্ঞানিকি
* জগদীশচন্দ্রের আবিষ্কার
* বাঙলার পাখি
 
==আরও দেখুন==