হৈসল সাম্রাজ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৯৪ নং লাইন:
হোয়সল সাম্রাজ্যের অর্থনীতি ছিল কৃষিভিত্তিক। কৃষিক্ষেত্র থেকে আদায় করা রাজস্বের মাধ্যমে হোয়সল প্রশাসন পরিচালিত হত।<ref name="sagara">Kamath (2001), p132</ref> প্রজাসত্ত্বভোগীদের পরিষেবার বিনিময়ে রাজারা তাঁদের জমি উপহার দিতেন। প্রজাসত্ত্বভোগীরা সেই জমির ভূস্বামী হতেন। তাঁরা প্রজাদের মাধ্যমে সেই জমিতে কৃষিজাত ও বনজাত পণ্য উৎপাদন করতেন। ভূস্বামীদের বলা হত ‘গবুন্ড’। গবুন্ডদের দুটি শ্রেণি ছিল। যথা, ‘প্রজা গবুন্ড’ ও ‘প্রভু গবুন্ড’। প্রজা গবুন্ডেরা ছিলেন জনসাধারণের গবুন্ড। তাঁরা ছিলেন প্রভু গবুন্ড বা গবুন্ডদের ধনী প্রভুদের থেকে নিচু পদমর্যাদা সম্পন্ন।<ref name="gowda">Thapar (2003), p378</ref> [[মলনাড]] উচ্চভূমি অঞ্চলের নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু পশুচারণ এবং ফল ও মশলা উৎপাদনের জন্য প্রশস্ত। বৈলনাড ক্রান্তীয় সমভূমি অঞ্চলের শস্য ছিল ধান ও দানা শস্য। হোয়সলরা পুকুর, [[জলকপাট]] যুক্ত জলাধার, [[খাল]] ও কূপ প্রভৃতি সেচ প্রণালী থেকে কর আদায় করতেন। এগুলির নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ চলত স্থানীয় গ্রামবাসীদের অর্থে। বিষ্ণুসাগর, শান্তিসাগর, বল্লালরায়সাগর প্রভৃতি [[সেচ পুষ্করিণী|সেচ পুষ্করিণীগুলি]] রাষ্টীয় খরচে নির্মিত হয়েছিল।<ref name="sagara" />
পশ্চিম সমুদ্রউপকূলবর্তী অঞ্চলে সাধারণ পরিবহণ ও ভারতীয় রাজ্যগুলির অশ্বারোহী বাহিনীগুলির জন্য ঘোড়া আমদানি ছিল সেই সময়কার একটি উঠতি ব্যবসা।<ref name="horses">Marco Polo who claims to have travelled in India at this time wrote of a monopoly in [[horse trading]] by the Arabs and merchants of South India. Imported horses became an expensive commodity because horse breeding was never successful in India, perhaps due to the different climatic, soil and pastoral conditions (Thapar 2003, p383)</ref> [[সেগুন]] প্রভৃতি দামি কাঠের জন্য বনাঞ্চল রক্ষণাবেক্ষণ করা হত। এই কাঠ অধুনা [[কেরল]] রাজ্যের বন্দরগুলির মাধ্যমে রফতানি করা হত। [[চীন|চীনের]] [[সুং রাজবংশ|সুং রাজবংশের]] নথি থেকে দক্ষিণ চীনে ভারতীয় বণিকদের উপস্থিতির কথা জানা যায়। এর থেকে অনুমিত হয় যে ভারতের সঙ্গে বৈদেশিক রাজ্যগুলির সমুদ্রবাণিজ্য চলত।<ref name="china">Thapar (2003), p382</ref> দক্ষিণ ভারত থেকে বস্ত্র, মসলা, ঔষধি বৃক্ষ, মূল্যবান পাথর, মৃৎপাত্র, নুন-কুয়া থেকে উৎপাদিত লবণ, অলংকার, সোনা, হাতির দাঁত, গণ্ডারের শিং, [[আবলুস কাঠ]], [[ঘৃতকুমারী|ঘৃতকুমারী কাঠ]], সুগন্ধি দ্রব্য, [[চন্দনকাঠ]], [[কর্পূর]], গুঁড়োমসলা, আচার, চাটনি, কাসুন্দি প্রভৃতি চীন, [[
সরকারি ভূমিরাজস্ব আদায় করার দায়িত্বে ছিল গ্রামীণ পরিষদগুলি। ভূমিরাজস্বকে বলা হত ‘সিদ্ধয়’। নিরুপিত সম্পত্তিমূল্য (‘কুল’) ও বিভিন্ন উপকর এর অন্তর্ভুক্ত ছিল।<ref name="sagara" /> পেশা, বিবাহ, রথ ও যানবাহনে বাহিত পণ্য এবং গৃহপালিত পশুর উপর কর ধার্য করা হত। গ্রামীণ নথি থেকে পণ্যদ্রব্য (সোনা, মূল্যবান পাথর, সুগন্ধি, চন্দনকাঠ, দড়ি, সুতো, বাড়ি, উনুন, দোকান, গবাদি পশুর খামার, আখ প্রক্রিয়াকরণ) এবং উৎপাদিত পণ্য (কালো মরিচ, পান পাতা, ঘি, ধান, মশলা, তালপাতা, নারকেল, আখ) থেকে আদায় করা করের উল্লেখ পাওয়া যায়।<ref name="china" /> গ্রামীণ পরিষদ [[সেচ পুষ্করিণী|জলাশয়]] নির্মাণ ইত্যাদি নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে কর ধার্য করতে পারত।
|