সূরা ফালাক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক সূরা
{{Infobox Sura
| Name_of_Surahনাম = আল-ফালাক
| Arabic_nameআরবি নাম = الْفَلَقِ
| সূরার স্ক্রীনশট =
| Screenshot_of_Surah =
| Captionস্ক্রীনশটের বিবরণ =
| Classificationশ্রেণী = মাদানী সূরা
| Meaning_of_nameনামের অর্থ = নিশিভোর
| Other_namesঅন্য নাম =
| অবতীর্ণ হওয়ার সময় =
| Time_of_revelation =
| Sura_numberসূরার ক্রম = ১১৩
| Para_numberপারার ক্রম = ৩০ পারা
| Number_of_Rukusরুকুর সংখ্যা = ১
| Number_of_Ayatsআয়াতের সংখ্যা = ৫
| Number_of_wordsশব্দের সংখ্যা =
| অক্ষরের সংখ্যা =
| Number_of_letters =
| বিষয় সম্পর্কে আয়াত =
| Subjectwise_ayat =
| Number_of_sijdahsসিজদাহ্‌র সংখ্যা = নেই
| Previous_Suraপূর্ববর্তী সূরা = [[সূরা ইখলাস|আল-ইখলাস]]
| Next_Suraপরবর্তী সূরা = [[সূরা নাস|আন-নাস]]
| soundশব্দ =
| sound_titleশব্দের শিরোনাম =
| sound_descriptionশব্দের বিবরণ =
}}
{{কুরআন}}
 
'''সূরা আল-ফালাক''' ({{lang-ar|سورة الفلق}}; ''নিশিভোর'') [[মুসলমান|মুসলমানদের]] ধর্মীয় গ্রন্থ [[কুরআন|কুরআনের]] ১১৩ নম্বর [[সূরা]]; এর [[আয়াত]], অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৫ এবং [[রূকু]], তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১। সূরা আল-ফালাক [[মদীনা|মদীনায়]] অবতীর্ণ হয়েছে; যদিও কোন কোন বর্ণনায় একে [[মক্কা|মক্কায়]] অবতীর্ণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।<ref nameনাম="তাকু১" >{{cite book |last=মওদুদী |first=সাইয়েদ আবুল আ'লা |title=তাফহীমুল কুরআন |year=১৯৭২|publisher= |isbn= }}</ref> এর পাঁচ আয়াতে [[শয়তান|শয়তানের]] অনিষ্ট থেকে সুরক্ষার জন্য সংক্ষেপে [[আল্লাহ|আল্লাহর]] নিকট প্রার্থণা করা হয়। এই সূরাটি এবং এর পরবর্তী [[সূরা নাস|সূরা আন-নাসকে]] একত্রে ''মু'আওবিযাতাইন'' (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু'টি সূরা) নামে উল্লেখ করা হয়।<ref nameনাম="তাকু১" /> অসুস্থ অবস্থায় বা ঘুমের আগে এই সূরাটি পড়া একটি ঐতিহ্যগত [[সুন্নাহ|সুন্নত]]।<ref nameনাম="বুখারী">{{cite book| author = ইমাম বুখারী| title = সহীহ আল-বুখারী| pages = ৫০১৭ নং হাদীস}}</ref>
 
== নামকরণ ==
সূরা ফালাক ও [[সূরা নাস|সূরা আন-নাস]] আলাদা আলাদা সূরা হলেও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এত গভীর ও উভয়ের বিষয়বস্তু পরস্পরের সাথে এত বেশি নিকট সম্পর্কিত যে এদেরকে একত্রে “মু’আওবিযাতাইন” (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু’টি সূরা) নামে ডাকা হয়; আর এই সূরা দু’টি নাযিলও হয়েছে একই সাথে একই ঘটনার পরি-প্রেক্ষিতে।<ref nameনাম="মাক্বো" >{{cite book |last=শাফী' |first=মুহাম্মদ |title=তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন |year=১৯৯১ |publisher=খাদেমুল-হারামাইন বাদশাহ ফাহদ কোরআন মুদ্রণ প্রকল্প, মদীনা মোনাওয়ারা, সৌদী আরব |isbn= }}</ref><ref nameনাম="দান">{{cite book| last=বায়হাকী |first=ইমাম |title=দালায়েলে নবুওয়াত |year=১৯৯০ |publisher= |isbn= }}</ref><ref nameনাম="তাকু">{{cite web| url=http://www.banglatafheem.com/index.php?option=com_quran&id=114&view=quran| title=সূরার নামকরণ| website=www.banglatafheem.com| accessdate=: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫| publisher=''তাফহীমুল কোরআন'', ২০ অক্টোবর ২০১০}}</ref>
 
== শানে নুযূল ==
সূরা আল ফালাক ও পরবর্তী [[সূরা নাস]] একই সাথে একই ঘটনায় অবতীর্ণ হয়েছে। মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, জনৈক ইহু্দী [[মুহাম্মাদ|রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)]]- এর উপর [[জাদু (মায়াবিদ্যা)|জাদু]] করেছিল। ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। [[জিবরাঈল]] আগমন করে সংবাদ দিলেন যে, জনৈক [[ইহুদি ধর্ম|ইহু্দী]] জাদু করেছে এবং যে জিনিসে জাদু করা হয়েছে, তা অমুক কুপের মধ্যে আছে। রসুলুল্লাহ (সাঃ) লোক পাঠিয়ে সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করে আনলেন। তাতে কয়েকটি গিরু ছিল। তিনি এই সূরা দুটি পড়ে ফুক দেওয়ায় গিরুগুলো সাথে সাথে খুলে য়ায এবং সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে শয্যা ত্যাগ করেন।<ref nameনাম="কোরআন">তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন (১১ খন্ডের সংহ্মিপ্ত ব্যাখ্যা)।</ref>
 
[[হযরত আয়েশা (রাঃ)]] থেকে বর্ণিত আছে, রসুলুল্লাহ (সাঃ)- এর উপর জাদু করলে তার প্রভাবে তিনি মাঝে মাঝে দিশেহারা হয়ে পড়তেন এবং যে কাজটি করেননি, তাও করেছেন বলে অনুভব করতেন। একদিন তিনি হযরত আয়েশা (রাঃ)-কে বললেনঃ আমার রোগটা কি, আল্লাহ্ তা'আলা তা আমাকে বলে দিয়েছেন। (স্বপ্নে) দুব্যক্তি আমার কাছে আসল এবং একজন শিয়রের কাছে ও অন্যজন পায়ের কাছে বসে গেল। শিয়রের কাছে উপবিষ্ট ব্যক্তি অন্য জনকে বলল, তাঁর অসুখটা কি? অন্যজন বললঃ ইনি জাদুগ্রস্ত। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলঃ কে জাদু করেছে? উত্তর হল, ইহুদীদের মিত্র মুনাফিক লবীদ ইবনে আ'সাম জাদু করেছে। আবার প্রশ্ন হলঃ কি বস্তুতে জাদু করেছে? উত্তর হল, একটি চিরুনীতে। আবার প্রশ্ন হল, চিরুনীটি কোথায়? উত্তর হল, খেজুর ফলের আবরণীতে 'বির যরোয়ান' কূপে একটি পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) সে কূপে গেলেন এবং বললেনঃ স্বপ্নে আমাকে এই কূপই দেখানো হয়েছে। অতঃপর চিরুনীটি সেখান থেকে বের করে আনলেন।<ref nameনাম="বোখারী শরীফ">সহীহ্‌ বোখারী শরীফ।</ref>
 
মুসনাদে আহমদের রেওয়ায়েতে আছে, রসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর এই অসুখ ছয় মাস স্থায়ী হয়েছিল।<ref>[http://www.onlineholyquran.com/index.php?option=com_content&view=article&id=681&catid=52&Itemid=261 মারেফুল কোরআন], পৃষ্ঠা নং ১৪৮৫।</ref>
৬৩ নং লাইন:
 
== হাদিস ==
* আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মিসীবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। - (ইবনে-কাসীর)<ref nameনাম="মারেফুল কোরআন ১">[http://www.onlineholyquran.com/index.php?option=com_content&view=article&id=681&catid=52&Itemid=261 মারেফুল কোরআন], পৃষ্ঠা নং ১৪৮৩।</ref>
* সহীহ মুসলিমে ওকবা ইবনে আমের (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ তোমরা লক্ষ্য করেছ কি, অদ্য রাত্রিতে আল্লাহ তাআলা আমার প্রতি এমন আয়াত নাযিল করেছেন, যার সমতুল্য আয়াত দেখা যায় না। অর্থা ''ক্বুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক'' এবং ''ক্বুল আউযু বিরাব্বিল নাস'' আয়াতসমূহ। অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, তওরাত, ইঞ্জীল, যাবুর এবং কোরআনেও অনুরূপ অন্য কোন সূরা নেই।
* এক সফরে রসূলুল্লাহ (সাঃ) ওকবা ইবনে আমেন (রাঃ)-কে সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করালেন, অত:পর মাগরিবের নামাযে এ সূরাদ্বয়ই তেলাওয়াত করে বললেনঃ এই সূরাদ্বয় নিদ্রা যাওয়ার সময় এবং নিদ্রা শেষে বিছানা থেকে উঠার সময়ও পাঠ করো। অন্য হাদীসে তিনি প্রত্যেক নামাযের পর সূরাদ্বয় পাঠ করার আদেশ করেছেন। - (আবু দাউদ, নাসায়ী)<ref nameনাম="মারেফুল কোরআন ২"/>
* হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হাবীব (রাঃ) বর্ণনা করেন, এক রাত্রিতে বৃষ্টি ও ভীষণ অন্ধকার ছিল। আমরা রসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে খুঁজতে বের হলাম। যাখন তাঁকে পেলাম, তখন প্রথমেই তিনি বললেনঃ বল। আমি আরয করলাম, কি বলব? তিনি বললেনঃ সূরা এখলাস ও কূল আউযু সূরাদ্বয়। সকাল-সন্ধ্যায় এগুলো তিন বার পাঠ করলে তুমি প্রত্যেক কষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে। - (মাযহারী)<ref nameনাম="মারেফুল কোরআন ২">মারেফুল কোরআন, পৃষ্ঠা নং ১৪৮৪-৮৫</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==