নরেন্দ্র হিরওয়ানি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রারম্ভিক জীবন - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৯১ নং লাইন:
গোরখপুরের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান তিনি। শৈশবে ইন্দোরে চলে যান। মধ্যপ্রদেশের ক্রিকেটার সঞ্জয় জাগডালের তত্ত্বাবধানে মাঠের কাছাকাছি একটি কক্ষে থাকতেন। ১৬ বছর বয়সে মধ্যপ্রদেশের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর। খেলায় তিনি পাঁচ উইকেট দখল করেছিলেন। পরের মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে [[ভারত জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল|অনূর্ধ্ব-১৯]] স্তরের ক্রিকেটে ৩ টেস্টে ২৩ উইকেট পান। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশের বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-২৫ দলের সদস্য হিসেবে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসের ৬ উইকেটের সবগুলোই তাঁর দখলে ছিল। ফলশ্রুতিতে টেস্ট দলে খেলার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
 
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
জানুয়ারি, ১৯৮৮ সালে সফরকারী [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] বিপক্ষে মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত ও চতুর্থ টেস্টে তাঁর অভিষেক হয়। প্রথম ইনিংসে ৮/৬১ পান।<ref>[http://www.cricinfo.com/db/ARCHIVE/1980S/1987-88/WI_IN_IND/WI_IND_T4_11-15JAN1988.html]</ref> এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেওইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য ৪১৬ রানে ধাবিত হয়। কিন্তু ব্যাটসম্যানেরা ব্যর্থ হন ও উইকেট-রক্ষক কিরণ মোরে পাঁচ স্ট্যাম্পিং করেন। ঐ ইনিংসে ৮/৭৫ পেয়েছিলেন।পান ও টেস্টে সর্বমোট ১৬/১৩৬ তোলেন। এরফলে বিশ্বের চতুর্থ বোলার হিসেবে অভিষেক টেস্টের এক ইনিংসে আট উইকেট লাভের বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন। তাঁর পূর্বে [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলীয়]] বোলার [[Bob Massie|বব ম্যাসি]] জুন, ১৯৭২ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ৮/৮৪ ও ৮/৫৩ পেয়েছিলেন।<ref>[http://www.cricinfo.com/db/ARCHIVE/1970S/1972/AUS_IN_ENG/AUS_ENG_T2_22-26JUN1972.html]</ref> এছাড়াও ম্যাসির গড়া ১৬/১৩৭ রানের রেকর্ড ভেঙ্গে যায়। কিন্তু তাঁরা উভয়েই তাঁদের অভিষেক টেস্টের উভয় ইনিংসে আট উইকেট করে পেলেও পরবর্তীতে খেলায় ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেননি।
 
কয়েকমাস পর শারজায় অনুষ্ঠিত ত্রি-এদশীয় প্রতিযোগিতায় তিন খেলায় ১০ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার পান। পরের বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ টেস্টের সিরিজে তিনি ২০ উইকেট এবং তাঁর সঙ্গী [[আরশাদ আইয়ুব]] ২১ উইকেট তুলে নেন। তাঁর প্রথম চার টেস্টে ৩৬ উইকেট লাভ যে-কোন বোলারের জন্য সেরা সাফল্যরূপে বিবেচিত। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনি দারুণভাবে ব্যর্থ হন। এমনকি পোর্ট অব স্পেনের স্পিনারদের সহায়ক পিচেও তিনি তেমন সফলতা লাভ করতে পারেননি। ১৯৯০ সালে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একাধারে ৫৯ ওভার বোলিং করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন যা অদ্যাবধি টিকে রয়েছে।<ref>http://www.espncricinfo.com/magazine/content/story/637661.html</ref> তবে, ১৯৯১-৯২ মৌসুমে বিশ্ব সিরিজ কাপের শেষ খেলায় [[ব্রায়ান লারা]] ও [[রিচি রিচার্ডসন|রিচি রিচার্ডসনকে]] আউট করেন। কিন্তু তাঁর এ সাফল্য বিশ্বকাপে খেলার উপযোগী করতে পারেনি।
 
== অবসর ==
২০০৫-০৬ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদায় জানান। ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ তারিখে রঞ্জি ট্রফি প্রতিযোগিতায় মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
 
== তথ্যসূত্র ==