ম্যালেরিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
কায়সার আহমাদ (আলোচনা | অবদান) অ 18.111.61.12-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে শাহাদাত সায়েম-এর সম্পাদিত সর্ব... |
বানান সংশোধন ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১৭ নং লাইন:
'''ম্যালেরিয়া''' ({{lang-en|Malaria}}) হল মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদের একটি [[মশা-বাহিত রোগ|মশা-বাহিত]] [[সংক্রামক ব্যাধি|সংক্রামক রোগ]] যার মূলে রয়েছে [[প্লাজমোডিয়াম]] গোত্রের [[প্রোটিস্ট]] (এক ধরনের [[অণুজীব]])। এটি একটি সংক্রমিত স্ত্রী মশার ([[Anopheles|আনোফেলিস মশা]]) কামড় সাথে শুরু হয়, যা তার লালা মাধ্যমে প্রোটিস্টর [[সংবহন তন্ত্র|সংবহন তন্ত্রের]] মধ্যে প্রবেশ করে এবং শেষে যকৃতে পৌছায়, যেখানে তারা পরিপক্ক হয় এবং বংশবৃদ্ধি করে। ম্যালেরিয়ার সাধারণ রোগের লক্ষণসমূহ হল [[জ্বর]] এবং [[মাথা ব্যাথা]], যা খুব গুরুতর ক্ষেত্রে [[কোমা]] বা [[মৃত্যু]] কারণ হতে পারে। রোগটি [[ক্রান্তীয় অঞ্চল]], [[উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয়]] এবং অনেক [[সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা]], [[এশিয়া]] এবং [[আমেরিকা অঞ্চল]]সহ বিষুবরেখা ঘিরে ব্যাপক বিস্তৃত।
মানুষের দেহে পাঁচটি প্রজাতির ''প্লাজমোডিয়াম'' প্রেরণ এবং সংক্রমণ ঘটতে পারে। বেশিভাগ
ম্যালেরিয়া সাধারণত [[ব্লাড ফিল্মস]] ব্যবহার করে রক্তের দূরবীক্ষণ পরীক্ষা অথবা [[অ্যান্টিজেন]]-ভিত্তিক দ্রুত ডায়গনিস্টিক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়। আধুনিক প্রযুক্তিতে প্যারাসাইটের [[ডিএনএ]] সনাক্ত করার জন্য [[Polymerase chain reaction|পলিমারেজ শৃঙ্খল বিক্রিয়ার]] ব্যবহার উন্নত করা হয়েছে, কিন্তু এর খরচ ও জটিলতার জন্য ব্যাপকভাবে ম্যালেরিয়া-কবলিত এলাকায় ব্যবহার করা হয় না। ২০১০ সালে [[বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা]], আনুমানিক ২১৯ মিলিয়ন ম্যালেরিয়ার ঘটনার স্থলসমূহ নথিভুক্ত করেছে। সেই বছরই, ৬,৬০,০০০ থেকে ১.২ মিলিয়ন মানুষ ম্যালেরিয়ার রোগে মারা যায়,<ref name="Nayyar 2012">{{Cite journal |author=Nayyar GML, Breman JG, Newton PN, Herrington J |title=Poor-quality antimalarial drugs in southeast Asia and sub-Saharan Africa |journal=Lancet Infectious Diseases |year=2012 |volume=12 |issue=6 |pages=488–96 |doi=10.1016/S1473-3099(12)70064-6}}</ref>
যাদের অধিকাংশই ছিল
প্রত্যেক বছর, প্রায় ৫১.৫ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন এবং প্রায় দশ থেকে ত্রিশ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান যাদের মধ্যে বেশিরভাগই আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলের শিশু। ''ম্যালেরিয়া'' খুবই পরিচিত একটি [[সংক্রামক রোগ]] এবং এটি একটি বৃহৎ জনস্বাস্থ্য সমস্যা। রোগটি প্লাজমোডিয়াম বর্গের এককোষীয় পরজীবীর দ্বারা ঘটিত হয়। কেবল চার ধরনের প্লাজমোডিয়াম পরজীবী মানুষের মধ্যে সংক্রমন ঘটায়
''ম্যালেরিয়া'' স্ত্রী-[[অ্যানোফিলিস]] [[মশা|মশার]] কামড়ের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়। ম্যালেরিয়ার পরজীবী [[লোহিত রক্তকণিকা|লোহিত রক্তকণিকার]] মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে, ফলে রোগীর শরীরে
[[মশারি]] বা কীটনাষকে ডোবানো মশারি <ref name="avt"/> কিংবা অন্যান্য মশা প্রতিরোধক ব্যবহার করে, মশার কামড় প্রতিরোধ করার মাধ্যমে ''ম্যালেরিয়া'' সংক্রমণ হ্রাস করা সম্ভব। মশা নিয়ন্ত্রণের অন্যান্য উপায় হল [[কীটনাষক]] প্রয়োগ এবং
জমা জল বের করা দেওয়া
[[কুইনাইন]] অথবা আর্টিমেসিনিন গ্রুপের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়।
|