ফিরোজ শাহ তুগলক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৯ নং লাইন:
|religion =[[ইসলাম]]
}}
'''সুলতান ফিরোজ শাহ তুগলক''' ({{lang-fa|فیروز شاہ تغلق}}, {{lang-hi|फ़िरोज़ शाह तुग़लक़}}; জন্ম: [[১৩০৯]]- মৃত্যু: ২০শে [[সেপ্টেম্বর]] [[১৩৮৮]]) [[তুগলক রাজবংশ|তুগলক রাজবংশের]] একজন শাষক যিনি [[মোহাম্মদ বিন তুগলক|মোহাম্মদ বিন তুগলক]] মৃত্যুর পর [[১৩৫১]] সালে [[দিল্লি|দিল্লির]] সিংহাসনে আরোহন করেন এবং ১৩৮৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকেন।<ref name=t>[http://dsal.uchicago.edu/reference/gazetteer/pager.html?objectid=DS405.1.I34_V02_404.gif তুগলক শাহীস অফ দিল্লি: Chart] The Imperial Gazetteer of India, 1909, v. 2, ''p. 369''.</ref> তার মা ছিলেন দীপালপূরের একজন হিন্দু রাজকন্যা এবং পিতার নাম ছিলো রজব যিনি [[গিয়াস উদ দিন তুগলক|গিয়াস উদ দিন তুগলকের]] ছোট ভাই এবং দীপালপুরের সিপাহসাহলার ছিলেন।<ref>{{Cite book|author1=Elliot, Henry Miers, Sir|author2=Dowson, John|year=1871|chapter=Chapter XVI, Táríkh-i Fíroz Sháhí of Shams-i Siráj 'Afíf|title=The history of India, as told by its own historians: The Muhammadan period|publisher=Trübner and Company|location=London|page=[http://books.google.com/books?id=psgNAAAAQAAJ&pg=PA273 273]}}</ref> সুলতান [[মুহাম্মদ বিন তুগলক]] অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুবরন করলে ১৩৫১ সালে তিনি ক্ষমতায় আসীন হন।ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর তার সাম্রাজ্যে অস্থিরতা ছড়িয়ে পরে তাই মোহাম্মদ বিন তুঘলকেরতুগলকের চেয়ে তার সম্রাজ্য অনেকটাই ছোট ছিল। তার রাজত্বকালে তিনি বাংলাকে আপাতঃ স্বাধীনতা দিতে বাধ্য হন।
== শাষন ব্যাবস্থা ==
[[চিত্র:West Gate of Feruzabad since destroyed.jpg|right|240px|thumb|১৮০২ সালে ধ্বংশপ্রাপ্ত ফিরোজাবাদ শহরের পশিম গেট। এই স্থানটি বর্তমানে ফিরোজ শাহ কোটলা নামে পরিচীত]][[মুহাম্মদ বিন তুগলক|মোহাম্মদ বিন তুগলকের]] মৃত্যুর পর তার চাচাত ভাই ফিরোজ শাহ তুগলক [[১৩৫১]] থেকে [[১৩৮৮]] সাল পর্যন্ত দিল্লির সুলতান ছিলেন। সিংহাসনে আরোহনের পর তিনি বাংলা, গুজরাট এবং অন্যান্য স্থান হতে বিভিন্ন সময়ে বিদ্রোহের শিকার হন। তার পরেও তিনি তার রাজ্যের ক্যানেল এবং অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে মনোযোগ দেন। তিনি ভ্রমণকারীদের জন্য বিশ্রামাগার, হাসপাতাল ও পানির চাহিদা মেটানোর জন্য কূপ খনন করেন। তিনি জয়পুর, ফিরোজপুর এবং হিসার-ফিরোজ সহ বিভিন্ন শহরের গোড়াপত্তন করেন। ১৩৫০ সালে দিল্লির কাছে একটি শহর প্রতিষ্ঠা করেন যার নাম হয় ফিরোজাবাদ।
২৬ নং লাইন:
[[চিত্র:Upper floors of Qutb Minar, Delhi.jpg|left|180px|thumb|দিল্লিতে অবস্থিত কুতুব মিনার যা ফিরোজ শাহ তুগলক ১৩৬৮ সালে পূনর্নিমান করেন]]
[[চিত্র:Feroze Sha's tomb with adjoining Madrasa.JPG|right|200px|thumb|[[দিল্লি|দিল্লিতে]] একটি মাদরাসা সংলগ্ন ফিরোজ শাহের মাজার।]]
ফিরোজ শাহ তুগলক তার রাজ্য তথা প্রজাদের প্রকৃত উন্নয়নের লক্ষে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রুপরেখা নির্ধারন করেন। তিনি জনগনের কাছে শিক্ষা পৌছে দেওয়ার জন্য অনেক মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি গরীব প্রজাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য অনেক হাসপাতাল স্থাপন করেন। এছাড়াও তিনি ডাক্তারদের ইউনানি চিকিৎসা ব্যাবস্থা উন্নত করার জন্য উৎসাহ দিতেন<ref>Tibb Firoz Shahi (1990) by [[Hakim Syed Zillur Rahman]], Department of History of Medicine and Science, [[Jamia Hamdard]], New Delhi, 79pp</ref>। কন্যা দায়গ্রস্থ পরিবারগুলোকে তিনি অর্থসহযোগিতা করতেন। তার শাষন আমলেই তিনি দিল্লিতে বিভিন্ন সরকারী কাজকর্ম ও রাজ প্রশাষনের কাজ পরিচালনার জন্য বড় বড় সরকারী দালান ও অবকাঠামো নির্মান করান। তার আমলেই দিল্লির আশেপাশে প্রায় ৩০০ গ্রামের গড়াপত্তন করা হয় এবং পাঁচটি বড় ক্যানেল খনন করা হয়, এতে করে সেচের সুবিধা হওয়ায় আবাদি জমির পরিমান বেড়ে যায় এবং অধিক জনসংখ্যার খাদ্যচাহিদা মেটাতে যথেষ্ট ছিল। শাষন কার্য পরিচালনার জন্য সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলকতুগলক মালিক মকবুলের উপর অতিমাত্রায় ভরসা করতেন। মালিক মকবুল একসময় ওয়ারেংগেল ফোর্টের সেনাপতি ছিলেন এবং সুলতান কতৃক ধৃত হন এবং পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন<ref>Sultan Firoz Shah Tughlaq by M. Ahmed, 1978, Chugh Publications, New Delhi p. 46 and 95</ref>। শোনা যায় যে সুলতান একবার সিন্ধ ও গুজরাট অভিযানে যাওয়ার ছয় মাস পরও কোন খোজ খবর পাওয়া না গেলে মালিক মকবুল একাই সক্ষমভাবে দিল্লির সালতানাতের সুরক্ষা করেছিলেন<ref>A History of India, H. Kulke and D. Rothermund, 1998, Routledge, p.167, ISBN 0-415-15482-0</ref>। ফিরোজ শাহ তুঘলকতুগলক মালিক মকবুলকে ভাই বলে ডাকতেন এবং তাকে খান-ই-জাহান উপাধি দেন<ref>The Delhi Sultanate: A Political and Military History, P. Jackson, 1999, Cambridge University Press, p. 186, ISBN 0-521-54329-0</ref>।
 
== আধুনিকায়ন ==
সুলতান ফিরোজ শাহ তুগলক তার চাচাতো ভাই [[মুহাম্মদ বিন তুগলক|মুহাম্মদ বিন তুগলকের]] রাজ্য পরিচালনা থেকেই অনেক কিছু শিখেছিলেন। সিংহাসনে আরোহন করে তিনি রাজ্যের হারানো অংশগুলো পূনরূদ্ধারের কোন চেষ্টাই করেন নি, বরং তার বদলে যতটুকু তার রাজ্যের অধীনে ছিল ততটুকুই ভালভাবে শাষন করার চেষ্টা করে যান। তার সম্রাজ্যের বিদ্রোহিদের বিরূদ্ধেও ব্যাবস্থা গ্রহন বন্ধ রাখেন কারন সমস্ত বিদ্রোহীই তার চাচাতো ভাই [[মুহাম্মদ বিন তুগলক|মুহাম্মদ বিন তুগলকের]] আমলে জন্ম নেয় এবং তিনি নতুন করে এগুলোকে উষ্কে দিতে চান নি। তিনি তার রাজ্যে পিতার বদলে পুত্র প্রথা চালু করেন। সেনাবাহিনী কিংবা রাজকার্য যেখানেই হোক পিতা যদি উপস্থিত না হতে পারতেন তাহলে পুত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া যেত। তিনি সরকারী কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি করেন এবং হাত কেটে ফেলা, গর্দান নেওয়া সহ সমস্ত প্রকার কঠোর শাস্তি দেওয়া বন্ধ করেন। এছাড়াও তিনি [[মুহাম্মদ বিন তুগলক|মুহাম্মদ বিন তুগলকের]] আমলে আরোপিত ভূমির উপর অতিরিক্ত কর প্রত্যাহার করেন। এটা মনে করা হয় যে সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলকেরতুগলকের আমল ভারতের মধ্যযুগের ইতিহাসে সবচেয়ে দূর্নিতীগ্রস্থ ছিল। একটা গল্প থেকে জানা যায় যে সুলতান একবার এক সিপাহীকে একটি সোনার টংকা দেন আস্তাবলের দাড়োয়ানকে ঘুষ দিয়ে তার ঘোড়া আস্তাবল থেকে ছাড়ানোর জন্য। এছাড়াও সূলতানের সেনবাহিনীর প্রধান ছিলেন ইমাদুল-মুল্ক বাশির যে প্রথমদিকে সুলতানের কৃতদাশ ছিল। সুলতানের এই সেনাপতি অবৈধ পথে প্রায় তের কোটি টংকার সম্পদ অর্জন করেছিল যেখানে পুরো সম্রাজ্যের উত্তোলিত করের পরিমান ছয় কোটি সাতান্ন লাখ টংকার বেশি ছিল না।
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist}}
৫৩ নং লাইন:
| PLACE OF DEATH =
}}
{{DEFAULTSORT:ফিরোজ শাহ তুঘলকতুগলক}}
[[বিষয়শ্রেণী:১৩০৯-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৩২৫-এ মৃত্যু]]