সুদান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৭৬ নং লাইন:
== ইতিহাস ==
৬০ হাজার বছর আগেও মানব বসতি ছিল। প্রততাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে এমনই প্রমাণ মেলে। প্রায় আট হাজার বছর আগে এ অঞ্চলে স্থায়ীভাবে মানববসতি শুরু হয়। তারা গৃহে পশুপালন করত, শস্য ফলাতো ও মাছ ধরত।
প্রাচীনকাল থেকেই সুদানের সাথে মিসরের শক্তিশালী ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন ছিল। সুদানে তখন সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাজ্য ছিল ‘কুশ’। কুশের রাজধানী ছিল ‘নাপাটা’। ৭৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে কুশ রাজা কাস্তা মিসর দখল করে নেন। পরে তার উত্তরাধিকারীরা ওই অঞ্চলে প্রায় ২০০ বছর কুশ সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখে। ৬৬৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সর্বশেষ কুশ রাজা মিসর থেকে রাজত্ব গুটিয়ে নাপাটে ফিরে আসেন।
৫৯০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এক মিসরীয় সেনা নাপাটার পতন ঘটান। তিনি সেখানে মিসর থেকে পৃথক মেরোটিক সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক পর্যন্ত তা টিকে ছিল। মিসর থেকে পৃথক সাম্রাজ্য গড়ে তোলা হলেও মেরোটিক শাসকদের মধ্যে ফেরউন শাসকদের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান ছিল। মেরোটিকরাও পিরামিড নির্মাণ করেছিল।
ষষ্ঠ শতকে নুবিয়ানরা নীল নদের পশ্চিম তীরে আধিপত্য বিস্তার করে। এ সময় তারা মেরোটিকদের সাথে যৌথ জাতিসত্তা গড়ে তোলে।
খ্রিষ্টান ও ইসলাম ধর্মের প্রসার : ষষ্ঠ শতকে মেরোটিক রাজ্যের তিনটি প্রদেশে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অভ্যুত্থান ঘটে। আনুমানিক ৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে বাইজানটাইন সম্রাজ্ঞী থিওডোরা নুবিয়াতে একদল মিশনারি পাঠান। এর মাধ্যমেই সেখানে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রসার ঘটে।
আরব বিজয়ীরা নুবিয়াতে বহুবার সেনা অভিযান পরিচালনা করে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত মিসরের আরব প্রধান নুবিয়ানদের সাথে একটি চুক্তি করেন। এ চুক্তি-পরবর্তী ৬৮৭ বছর টিকে ছিল। এ সময় দুই অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ অনেক বেড়ে যায়। পারস্পরিক বিবাহ, আরব বণিক ও বসতি স্থাপনকারীদের মাধ্যমে সেখানে ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটে। ১০৯৩ সালে সর্বপ্রথম একজন মুসলিম শাসক নুবিয়ার ক্ষমতায় আসেন।
পঞ্চদশ শতকে এ অঞ্চলে ফাঞ্জ সালতানাত প্রতিষ্ঠিত হয়। ষোড়শ শতকে এর আরো বিস্তৃতি ঘটে। তবে ধীরে ধীরে এ সালতানাত দুর্বল হতে থাকে। ১৮২০ সালে মিসরের রাজা মুহাম্মদ আলি সুদান দখলের জন্য প্রায় চার হাজার সেনা পাঠান। এতে দুর্বল ফাঞ্জ সালতানাতের পতন ঘটে। আত্মসমর্পণ করেন শেষ ফাঞ্জ শাসক সপ্তম বাদি।
== রাজনীতি ==
|