পেয়ারা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
119.30.42.216-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে WikitanvirBot I-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
সন্দীপ সরকার (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৩ নং লাইন:
About 100, see text
}}
''' পেয়ারা''' একরকমের সবুজ রঙের [[বেরী]] জাতীয় ফল । তবে অন্যান্য বর্ণের পেয়ারাও দেখতে পাওয়া যায়। লাল পেয়ারাকে (Marroonguava) রেড আপেলও বলা হয়। পেয়ারার বৈজ্ঞানিক নাম ''Psidiun guajava'' । পেয়ারার প্রায় ১০০টিরও বেশি প্রজাতি আছে। [[মেক্সিকো]], মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রভৃতি স্থানে পেয়ারা বেশী জন্মে। অনুমান করা হয় ১৭শ শতাব্দীতে পেয়ারা আসে। এটি একটি পুষ্টিকর ফল। এটি [[ভিটামিন সি]], ক্যারোটিনয়েডস, ফোলেট, [[পটাশিয়াম]], আঁশ এবং [[ক্যালসিয়াম]] প্রভৃতিতে সমৃদ্ধ। একশ’ গ্রাম পেয়ারায় দুইশ’ মি.গ্রা. ভিটামনি সি আছে অর্থাৎ পেয়ারায় [[কমলা|কমলার]] চেয়ে ৪গুণ বেশী ভিটামিন সি আছে। পেয়ারার খোসায় কমলায় চেয়ে পাঁচগুণ বেশী ভিটামিন সি থাকে। এই ফলে লৌহ উপাদানও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান। পুষ্টিমানের বিবেচনায় কমলার মান যেখানে ১৮৬ পয়েন্ট সেক্ষেত্রে পেয়ারার পুষ্টি মূল্যমান ৪২১ পয়েন্ট। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধক। ১০০ গ্রাম পেয়ারায় পানি ৮৬.১০ গ্রাম, শক্তি ৫১ কি.ক্যালোরী, প্রোটিন ০.৮২ গ্রাম, আঁশ ৫.৪ গ্রা. ফসফরাস ২৫ মি.গ্রা. সোডিয়াম ৩ মি.গ্রা. ভিটামিন এ ৭৯২ আই ইউ থাকে। তদুপরি পেয়ারাতে [[ম্যাঙ্গানিজ]], [[সেলিনিয়াম]], [[ভিটামিন বি-১]], বি-২, বি-৩ ইত্যাদি মূল্যবান খনিজ ও ভিটামিন থাকে। রোগ প্রতিরোধে পেয়ারার অনেক গুণ রয়েছে। পেয়ারার বীজে [[ওমেগা-৩]] ও [[ওমেগা-৬]] পলিআন-সেচুরেটেড [[ফ্যাটি এসিড]] ও আঁশ বিদ্যমান। পেয়ারা পাতার রস [[ক্যান্সার]] প্রতিরোধী এবং সংক্রমণ, প্রদাহ, ব্যথা জ্বর, বহুমূত্র, [[আমাশয়]] প্রভৃতি রোগে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। <ref>[http://new.ittefaq.com.bd/news/view/64690/2011-12-27/3 পেয়ারার পুষ্টিগুণ ]</ref>
 
==বৈশিষ্ট্য ও চাষ পদ্ধতি==
পেয়ারা একটি [[দ্বিবীজপত্রী]] বহুবর্ষজীবী [[উদ্ভিদ]]। পেয়ারার সরল পত্রগুলির প্রান্ত অখণ্ড, পত্রাগ্র ভোঁতা ও [[পুষ্প]] [[উভলিঙ্গ]] । পুষ্পে পাঁচটি দল ও পাঁচটি বৃত্যংশ বর্তমান। ফল মিষ্টস্বাদ ও বীজপূর্ণ। উন্নত জাতের পেয়ারায় বীজের পরিমাণ কম থাকে। উত্তর প্রদেশে সফেদা আর চিত্তিদার অত্যন্ত জনপ্রিয় । সফেদা গোলাকার, খোসা মোলায়েম এবং শাঁস সাদা ও মিষ্ট। [[বিহার|বিহারে]] সফেদা, হরিঝা ও হাবসী জনপ্রিয়। হাবসীর শাঁস লাল এবং মিষ্টত্বে একটু কম হলেও অনেকের কাছেই এর স্বাদ বেশ পছন্দের। শীত ও উষ্ণ উভয় অঞ্চলেই পেয়ারা জন্মায়। পেয়ারা অত্যন্ত কষ্ট সহিষ্ণু উদ্ভিদ। এ অন্য ফসলের চেয়ে অনেক বেশি [[খরা]] সহ্য করতে পারে । কখনও কখনও বিনা সেচেই জীবীতবান থাকে। বীজ অথবা গুটিওকলমের চারা বর্ষার শুরুতে আষাঢ়-শ্রাবণে বসানো যায়। [[গুটিকলম]] সবচেয়ে উপযোগী এবং বাংলাদেশে এর বিপুল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ১×১×১ হাত গর্তে ১৫-১৬ হাত অন্তর ভালো জাতের এক বছর বয়সের কলম রোপণ করা যায়। দু-তিন বছরেই গাছে ফুল-ফল জন্মায়। বছরে দু-বার বসন্ত ও [[বর্ষাকাল|বর্ষাকালে]] ফুল ধরে; বসন্তের ফুলের ফল পাকে বর্ষায় আর বর্ষার ফুলের ফল পাকে শীতে। শীতের ফলই গুণমানে উৎকৃষ্ট আর বাজারদর ভালো থাকায় চাষীদের কাছে তা বেশ লাভজনক। তাই অনেক সময় চাষীরা বসন্তের ফুলে [[সেচ]] বন্ধ করে ঝরিয়ে দিয়ে থাকেন। এবং কেবল শীতেই [[ফল]] পাকতে দেন। তবে পেয়ারা চাষের প্রধান অন্তরায় এর ডগা শুকানো রোগ। এই [[রোগ]] একবার জমিতে এলে একে একে গাছগুলি শুকিয়ে যেতে থাকে। আক্রান্ত গাছগুলি সম্পূর্ণরূপে তুলে পুড়িয়ে ফেললে তবে পার্শ্ববর্তী গাছগুলিতে এর সংক্রমণ প্রবণতা কমে।<ref>W B. Hays, Fruit Growing in India, Allahabad, 1953;</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==
<references/>