রেশম চাষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidHossain (আলোচনা | অবদান) "Sericulture" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে |
NahidHossain (আলোচনা | অবদান) নিবন্ধ সম্প্রসারণ বানান/ব্যাকরণ সংশোধন বহিঃসংযোগ যোগ/অপসারণ |
||
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Silkworm_&_cocoon.jpg|thumb|200x200px|রেশমপোকা এবং কোকুন]]
রেশম সুতা উৎপাদনের লক্ষ্যে [[রেশম|রেশমপোকা]] প্রতিপালনকে রেশম চাষ বলে। রেশম চাষের [[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]] শব্দ Sericulture - এর আভিধানিক অর্থ Culture of Sericine বা সেরিসিন নামক এক ধরনের [[প্রোটিন]] এর লালন।<ref>{{cite book |title=Chinese Silk: A Cultural History |last=Vainker |first=Shelagh |authorlink= |year=2004 |publisher=[[Rutgers University Press]] |location= |isbn=0813534461 |page=20}}</ref> এই সেরিসিন হলো রেশমের মূল গাঠনিক পদার্থ। অর্থাত যে জীব সেরিসিন নামক প্রোটিন বস্তু প্রস্তুত করে তার লালন-পালন ই হচ্ছে সেরিকালচার বা রেশম চাষ। রেশম কীট ই ব্যবহার যোগ্য রেশম তৈরি করে থাকে।
== ইতিহাস ==
খ্রিষ্ট জন্মের প্রায় ২০০০ বছর আগে [[চীন]] দেশে সর্বপ্রথম রেশম সুতা আবিস্কৃত হয়। এরপর প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার বছর পর্যন্ত চীনারা একচেটিয়াভাবে অত্যন্ত গোপনীয়নতার সাথে রেশমী সুতা ও রেশমী কাপড় তৈরি করত। খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় সাড়ে পাঁচশত বছর পর দুজন [[ইউরোপ|ইউরোপীয়]] পাদ্রী চুরি করে রেশম উৎপাদনের কৌশল শিখে নেন। এবং ইউরোপে কিছু রেশম পোকার ডিম ও তুঁত গাছের বীজ নিয়ে এসে রেশম চাষ শুরু করেন।<ref>{{cite book |title=Prehistoric textiles: the development of cloth in the Neolithic and Bronze Ages with special reference to the Aegean |last=Barber |first=E. J. W. |authorlink= |edition=reprint, illustrated |year=1992 |publisher=[[Princeton University Press]] |location= |isbn=978-0-691-00224-8 |page= 31|pages= |url=http://books.google.co.in/books?id=HnSlynSfeEIC&lpg=PA31&dq=yangshao%20dynasty%20silkworm%20discovery&pg=PA31#v=onepage&q&f=false |accessdate=6 November 2010}}</ref> বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশ উন্নতমানের রেশম সুতা ও রেশম পোকার চাষ করে।
== রেশম মথ ==
১২ নং লাইন:
=== রেশম প্রস্তুতি ===
রেশম পোকার জীবনে চারটি পর্যায়। তা হল [[ডিম]], শূককীট, মূককীট ও পূণাঙ্গ পোকা। পূর্ণাঙ্গ পোকার নাম মথ। পোকারা নিশাচর অর্থাৎ রাতের বেলায় চলাফেরা করে। পোকার রঙ উজ্জ্বল নয়। স্ত্রী মথ পাতা বা কাগজের উপর চরে বেড়ায়। মথ কাগজ বা পাতায় ৪০০- ৫০০ শ ডিম পাড়ে। ডিমের রঙ ফ্যাকাশে হলুদ। প্রায় ১০ দিন পর ডিম ফুটে শূককীট বের হয়। শূককীট দুষ্টু ছেলের মত চঞ্চল। সে বেজায় ছুটোছুটি করে আর গ্রোগাসে গিলতে থাকে। তুঁত গাছের পাতা কুচি কুচি করে কেটে এদের খেতে দিতে হয়। শূককীট কয়দিন পর পর চারবার খোলস বদলায়। খোলস বদলালনোকে মোল্টিং বলে। মোল্টিং অর্থ ত্বক পরিবর্তন। শূককীট বড় হলে বাদামী লাল রঙের দেখায়।
শূককীট চতুর্থবার খোলস বদলানোর পর মূককীটে পরিণত হতে শুরু করে। এ সময় এদের খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। শূককীট, মূককীটকে যে বাঁশের ডালায় গালা হয় তার নাম চন্দ্রকী। চন্দ্রকীতে অনেক গুলি কুঠুরি থাকে। শূককীট দেহের ভিতরে একটি লম্বা রেশম গ্রন্থি থাকে। গ্রন্থিতে থাকে এক প্রকার রস। নালী দিয়ে এ রস মুখের বাইরে আসে। নালীর নাম স্পিনারেট। বাতাসের সংস্পর্শে রস শক্ত হয়ে যায়। মূককীট মিনিটে ৬৫ বার মুখ ঘুরিয়ে রস দিয়ে দেহের চারপাশে আবরণ তৈরি করে। এই রসকে সাধারণ কথায় মুখের লালা বলে।▼
আবরণসহ মূককীটকে গুটি বলে। গুটির ইংরেজি নাম কুকুন। গুটির মধ্যে মুককীটের অদ্ভুত রূপান্তর ঘটে। এই পরিবর্তনকে মেটামরফসিস বলে। মূককীট পরিবর্তিত হয়ে সুন্দর মথের রূপ ধারণ করে। মথই রেশম পোকার পূর্ণাঙ্গ অবস্থা।<ref>{{cite web|last=Bezzina|first=Neville|title=Silk Production Process|url=http://www.senature.com/sensemagazine/research-technologies/silk-production-process-go-behind-the-scenes-1701.html|publisher=Sense of Nature Research}}</ref> মথ হবার আগেই গুটিকে বাষ্প বা গরম জলে রাখতে হয় । না হলে মথ গুটি কেটে বেরিয়ে যায়। গুটি কেটে গেলে সুতা নষ্ট হয়ে যায়। গুটি গরম পানিতে পড়লে এর সুতোর জট খুলে যায়। একটি গুটিতে ৪০০ – ৫০০ গজ সুতা থাকে। প্রায় ২৫০০০ গুটি থেকে ১ পাউন্ড সুতা পাওয়া যায়।▼
▲শূককীট দেহের ভিতরে একটি লম্বা রেশম গ্রন্থি থাকে। গ্রন্থিতে থাকে এক প্রকার রস। নালী দিয়ে এ রস মুখের বাইরে আসে। নালীর নাম স্পিনারেট। বাতাসের সংস্পর্শে রস শক্ত হয়ে যায়। মূককীট মিনিটে ৬৫ বার মুখ ঘুরিয়ে রস দিয়ে দেহের চারপাশে আবরণ তৈরি করে। এই রসকে সাধারণ কথায় মুখের লালা বলে।
== বহিঃসংযোগ ==▼
* [http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AE রেশম - বাংলাপিডিয়া]
▲মথ হবার আগেই গুটিকে বাষ্প বা গরম জলে রাখতে হয় । না হলে মথ গুটি কেটে বেরিয়ে যায়। গুটি কেটে গেলে সুতা নষ্ট হয়ে যায়। গুটি গরম পানিতে পড়লে এর সুতোর জট খুলে যায়। একটি গুটিতে ৪০০ – ৫০০ গজ সুতা থাকে। প্রায় ২৫০০০ গুটি থেকে ১ পাউন্ড সুতা পাওয়া যায়।
* [http://www.infokosh.gov.bd/atricle/%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AE-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B7 রেশম চাষ | জাতীয় ই-তথ্যকোষ]
* [http://www.bsb.gov.bd বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড]
== তথ্যসূত্র ==
{{
{{প্রাণিবিজ্ঞানের শাখাসমূহ |state=expanded}} ব্যবহার করুন।
▲== বহিঃসংযোগ ==
[[বিষয়শ্রেণী:কৃষি]]
|